কালার ইনসাইড

আজ নায়ক মান্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী


প্রকাশ: 17/02/2024


Thumbnail

নায়ক মান্না তার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক সিনেমায়। ২০০৮ সালের আজকের দিনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্থায় ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মান্না। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মান্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার পারিবারিক নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার হলেও চলচ্চিত্রের নায়ক হয়ে পরিচিতি পান নায়ক মান্না নামে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় ১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল নায়ক মান্না জন্মগ্রহণ করেন। নিজ এলাকায় স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন মান্না। ১৯৮৪ সালে তিনি এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে আসেন।  

মান্নাকে প্রথম চলচ্চিত্রে সুযোগ করে দেন নায়করাজ রাজ্জাক। ‘তওবা’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর একের পর এক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন মান্না। কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমাতে দুর্দান্ত অভিনয় করে মান্না হয়ে ওঠেন পরিচালক-প্রযোজকদের ভরসার নাম।

মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘অন্ধ প্রেম’, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দেশদ্রোহী’ ছবিগুলো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে তুমুল জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯৯৯ সালে মান্না ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’র মতো সুপার-ডুপারহিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাড়ে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় এ সুপারস্টার।

উল্লেখ্য, একসময় বড় পর্দায় চিত্রনায়ক মান্নার সিনেমা মানেই ছিল হলভর্তি দর্শক আর সফল ব্যবসা। দেশের চলচ্চিত্র যখন অশ্লীলতার সংকটে পড়েছিল, তখন সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে মান্না গঠন করেন ‘কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা। তার প্রযোজনায় তৈরি হয় ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’সহ অনেক ব্যবসাসফল ও প্রশংসিত সিনেমা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭