ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার চাপ আসছে সুশীলদের ওপর?


প্রকাশ: 17/02/2024


Thumbnail

টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেশের সুশীল সমাজের সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে সুশীল সমাজের একটি অংশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এর কারণ সুশীল সমাজের একটি অংশ এখন রাজনীতিতে নিজেরাই জড়িয়ে পড়ছেন, বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় বসার একটি স্বপ্ন সুশীল সমাজের মধ্যে স্পষ্ট ভাবে প্রতিভাত হচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৭-এ এক- এগারোর সময় বাংলাদেশের সুশীল সমাজের ক্ষমতার লোভ এবং উচ্চাভিলাষ সকলের নজরে পড়েছে। সেখান থেকে সুশীল সমাজের একটি অংশ এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। 

আওয়ামী লীগ যেমন একদিক দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা এবং রাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতা কেন্দ্রে রাখার নীতিতে বিশ্বাসী, তেমনই ২০০৭ এর পর সুশীল সমাজে একটি মেরুকরণ ঘটেছে, যারা চাচ্ছে রাজনীতিবিদদেরকে মাইনাস করে একটি অনির্বাচিত সুশীল সরকার দীর্ঘদিনের জন্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এই বাস্তবতায় সুশীলদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দ্বৈরথ নির্বাচনের আগেও প্রকাশ ছিল। 

লক্ষ্য করা যায় যে, সুশীলরা বিভিন্নভাবে নানা রকম ভুল তথ্য উপাত্ত দিয়ে নানা রকম মন্তব্য এবং তথাকথিত গবেষণার নামে সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজ করে। আর এই লক্ষ্যে এবার সুশীল সমাজের এই ধরনের মিথ্যাচার, অপপ্রচার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে সুশীলদের কিছু কিছু ঘটনাকে সরকার নির্মোহ আইনের দৃষ্টিতে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শুধুমাত্র সমাজের প্রভাবশালী গণ্যমান্য এজন্য তারা আইনের ঊর্ধ্বে এমন সংস্কৃতি থেকে সরকার বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আর এরই অংশ হিসেবে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনের পক্ষপাতহীন প্রয়োগ ঘটছে। অন্য সময় হলে ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পার পেয়ে যেতেন। যেমন তিনি এর আগেও গৃহকর্মীকে যৌন নিপীড়ন করেও আইনের ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন। এবার সেটি ঘটেনি। গৃহকর্মীকে যৌন নিপীড়ন এবং হত্যার অভিযোগে তাকে এবং তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিলম্ব হলেও সরকার যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের নিজস্ব সম্পত্তি ইউনূস যে ভাবে জবরদখল করে রেখেছিলেন তা শুধুমাত্র ড. ইউনূস জন্য সরকার এড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সরকার এদের ব্যাপারে একটা অবস্থান নিচ্ছে। এ ছাড়াও টিআইবি’র অর্থের উৎস এবং তাদের কাজের পরিধি এবং পরিব্যাপ্তি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। এনজিও ব্যুরোতে টিআইবি কোন কোন বিষয় নিবন্ধন করেছে এবং কোন কোন বিষয়ে তারা কাজ করছে, তাদের কাজের স্বচ্ছতা কতটুকু এই বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।

বদিউল আলম মজুমদার একজন একটি বাড়ি অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তিনি প্রকৃত মালিককে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এ বিষয় আইনি যথাযথ প্রতিকার যেন পায় সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

সুশীল সমাজ বা সমাজের প্রভাবশালী গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে, তারা কোন অপরাধ করলে তাদের বিচার করা যাবে না—এমন সংস্কৃতি সুশাসন এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী। আর এই সংস্কৃতি থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে চায়। আর বাংলাদেশের সুশীল সমাজরা পচাঁত্তরের পর থেকে যে স্বেচ্ছাচারিতা করেছে আইনের আত্ততায় যদি আনা হয় তাহলে তারা চাপে পড়বেন এটি নিশ্চিত।





প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭