প্রকাশ: 20/02/2024
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক যতদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন এবং দেশ পরিচালনা করছেন, ততদিন বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে আছে। এটা বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অধিকাংশের ধারণা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাও তা-ই বলে। অল্প কিছু মানুষের কাছে এটা বিশ্বাসযোগ্য না। তারা এর বিপরীত কথা বলেন।
এরা কারা? এরা হচ্ছেন বুদ্ধিজীবী। আরও পরিষ্কারভাবে বলার সময় এসেছে। এরা হচ্ছে ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো কর্তৃক তৈরি বুদ্ধিজীবী। কারণ উদাহরণ হিসেবে একটা আর্টিকেল পরে দেখলাম। আনু মুহাম্মদ একজন ভাল ইকনমিস্ট এবং দেশের জন্য খুব চিন্তা করেন। তার ব্যবহার খুবই ভাল। অনেকদিন আগে বিবিসি বাংলা সার্ভিসে আমি তার সাথে আলাপ করেছিলাম। সে জায়গায় আমি খুব কঠিন একটি কথা বলেছিলাম। যখন পরিচালক বললেন যে, এই আনু মুহাম্মদ একজন ইকনমিস্ট এবং এই ব্যাপারে জানেন। ওই সময়ে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পর্কে তিনি একটা স্ট্যান্ট নিয়েছিলেন। তার স্ট্যান্টটাকে আমি অবশ্যই রেসপেক্ট করি। কারণ, ডেমোক্রেসির এটাই সৌন্দর্য যে, এক একজনের একেক মত। কিন্তু আমি যেটা বলেছিলাম পরে মনে করেছি যে, বিষয়টা ওইভাবে না বললেই ভাল হতো। আমি বলেছি যে, উনি তো এই বিষয়ে একমাত্র বিজ্ঞ না। আরও অনেক বিজ্ঞ লোক আছে। আমি বলেছিলাম এবং সেটা এখনও আমার মনে আছে। এখন মনে হচ্ছে যে, ওই সময়ে আমি আসলে ভুল বলিনি। কারণ, এদেশে বুদ্ধিজীবী বানানোর একটি কারখানা আছে। এই কারখানার মালিক হলো এই প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার। আরও স্পেসিফিক্যালি বলা চলে যে, এখানে মতিউর রহমান সাহেব আর মাহফুজ আনাম। এরা ছাড়া এই পত্রিকায় যদি আপনি না লেখেন, এদের ফাংশনে যদি ঠিক মতো না যান তাহলে আপনি বুদ্ধিজীবী হতে পারলেন না। এমনকি বর্তমান সরকারের অনেক মন্ত্রীও সেখানে যেত কিন্তু, তাদের সংখ্যা এখন একটু কম। তা বিশাল বিজ্ঞাপন দেয়, খাতিরও রাখে। কারণ, তারা জানে যে, এত কিছু করেও বুদ্ধিজীবী হতে পারবে না। তবুও তাদের বিরুদ্ধে যেন না লেখে। এই তেলটা তারা ঠিক মতোই দেন। এই প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারা যেহেতু বুদ্ধিজীবী এবং মানবাধিকারকর্মী তৈরি করেন, মানবাধিকার রক্ষার নেতা তৈরি করেন, বলা চলে তারা এ দেশের আরও একটা কাউন্টার সরকার।
তাদের কথা, তারা বিশ্বে যেটা প্রচার করবে সেটাই। তারা আইনেরও উর্ধ্বে এবং বাংলাদেশে যে মানবাধিকার তারও ঊর্ধ্বে। কিন্তু একটি দেশ এইভাবে চলতে পারে না। সম্প্রতিকালে এই ডেইলি স্টারের একজন সিনিয়র পার্সন তার বাসায় পরপর দুইজন কাজের মেয়ে মারা গেল এবং এই নিয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। সেই জায়গায় আমি অবাক হয়ে গেলাম যে, আনু মুহাম্মদের মত লোক, তিনি যেসব ইস্যু নিয়ে ডেইলি স্টারে লিখছেন, আমি এর কোন আগা-মাথা বুঝলাম না। হয়তো আমার বুদ্ধি কম। তিনি এই বিষয়টি না লিখে বাচ্চাদের কোথায় খাটছে, কোথায় বাচ্চাদের কী করা হয়েছে? তা নিয়ে লিখলে, এটা তো সেই ইস্যু না। আসলে, ওই বাসায় বাচ্চাদের প্রতি আইন অমান্য করেছে কি না বলতে পারছি না। এরপরও আইনকে বাঁচিয়ে বলছি, সাধারণের ধারণা যে নিশ্চয়ই এখানে কোন ব্যাপার আছে। সেটা আইন রক্ষাকারী অর্থাৎ যারা দায়িত্বে তারা দেখবেন, কোর্ট দেখবেন। এটা আগের থেকেই আমার তো নয়ই কারও রিমার্ক করা ঠিক না। তবে একটা জনধারণা আছে, যেটা সকলে প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু তা প্রকাশ করা হয় তারা অ্যাফেকটেড হলে। এটি যদি অন্য কোন পত্রিকা হতো তাহলে আনু মুহাম্মদের মতো লোক এই সকল বুদ্ধিজীবী এবং মানবাধিকার নেতাদের খোঁজ পাওয়া যেত না। এ রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে তাদের পাওয়া যায় না।
সেই জিয়াউর রহমান সাহেবের সময় থেকে শুরু করে বিএনপির সময় ২০০১ সালে যেরকম ভাবে মানুষের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে, নির্বাচনের নামে বিভিন্ন কিছু হয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে কিছু বলে না। অথচ, এরপরও তারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে এদেশে অনেক জায়গায় গিয়ে চিফ গেস্ট হন, অ্যাউয়ার্ড পান। কিছুই পেতেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা কয়বার লেখেন? তা নিয়ে তো উচ্চবাচ্য শোনা যায় না। আপনারা হচ্ছেন আসলে ফ্যাক্টরিতে তৈরি। সুতরাং, ফ্যাক্টরির মালিক সেভাবে চাইবে সেভাবেই হবে। যেমন তুলা যদি তৈরি করা হয়, সেই তুলার যেমন মূল্য থাকে, আপনাদের মূল্যও সেইভাবে। যদি কাগজ তৈরি করে, কাগজের মূল্য যেমন আপনারও তাই। একটা কাগজ, সুতা কিংবা কাপড় বানানো হয় একটি কারখানায়। আর আপনারা এই দুই পত্রিকার কারখানায় তৈরি বুদ্ধিজীবী এবং একই সাথে আপনারাই আবার সিভিল সোসাইটির মেম্বার। আপনারাই আবার মানবাধিকার সংগঠনের সোল এজেন্ট।
আজ ড. ইউনূসকে নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি কি কি আইন ভঙ্গ করেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি করলো কারা? তাদের সম্পত্তি তাদের অধীনে থাকবে না, সেখানে আপনারা এসব বাইরে পর্যন্ত প্রচার করা শুরু করে দিয়েছেন। আপনাদের সকলের রুট তো এক! দালালি আর কতকাল করবেন? উপরে ভাব দেখাবেন বাম দলের, আর পয়সা-বেনিফিট নেবেন আমেরিকায়।
উদাহরণ দিয়ে যদি বলি, আজকে যদি আনু আহম্মদের মতো একটা লোক ভিসা চায় আমেরিকায় বা ওয়েস্টার্ন দেশে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ভিসা দিয়ে দেবে সময় লাগবে না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলাম পাঁচ বছর। আমি গেলেও এতো তাড়াতাড়ি দেবে না, সময় লাগবে। কারণ, আমি তো বুদ্ধিজীবী না। আমি তো আর আপনাদের মতো না। মানুষের বিবেক হিসেবে আপনারা পরিচিত। একটা গরীব মানুষের বাচ্চা প্রাণ হারিয়েছে, আর তারা ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের লোক। আজ যদি ইত্তেফাকের কারও ক্ষেত্রে এমন ঘটতো? তাহলে তো ফাটিয়ে দিতেন। তাহলে দেখা যেত যে, যত বুদ্ধি আছে এবং প্রয়োজনে ভাড়া করে বা লোক নিয়ে চালিয়ে দিতেন।
আমার মনে হয়, দেশে এখন আইনের শাসন সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার। এর আগেও আমি একটা লেখায় লিখেছি, এখনো বলি। তাতে যদি আমাদের প্রতি স্যাংশন আসে, না খেয়েও থাকতে হয় তবুও সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে দেশে আমি একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং আমি মৃত্যু পর্যন্ত নিজেকে গর্বিত ভাবি। রাষ্ট্র বা কোন ব্যক্তি আমায় মূল্যায়ন করে কি করে না বা অ্যাউয়ার্ড দেয় নাই, এটা কোন বিষয় না। বিষয় হচ্ছে, আমার বিবেক বলে যে আমি ঠিক কাজ করেছি। অন্তত আপনাদের মতো কোন ফ্যাক্টরিতে তৈরি মুক্তিযোদ্ধা আমি না। আপনারা তো ফ্যাক্টরিতে তৈরি হন। যে কারণে, আপনাদের প্রত্যেকের রোল জানা দরকার।
টাকা পয়সার কথা নিয়ে বলি। প্রথম যখন একতা চালাতেন, তখন বিজনেস ম্যানদের কাছ থেকে টাকা পয়সা খুঁজতেন। আমি তো ওপেন চ্যালেঞ্জ করি। আমি এবং আমার ছেলে-মেয়ে; এমনকি দেশের বাইরে যারা আছে তাদের সম্পূর্ণ সম্পত্তি সম্বন্ধে যে কোন ডিসক্লোজার দিতে রাজি আছি। আমার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করেছি তারাও রাজি আছে। কারণ, এখানে কোন হারাম পয়সা নাই। কিন্তু, আপনাদের যদি বলা হয় যে, মতিউর রহমান সাহেব একতায় থাকতে আপনার কি ইনকাম ছিল, আর এখন আপনি সর্বোচ্চ ট্যাক্সপেয়ার কিভাবে হন? আপনারা তো আলাদিনের প্রদীপ দেখেন। আপনারা মানুষ আটকে কিভাবে বিজ্ঞাপন নেওয়া যায় তাও দেখেন। আর আমাদের মন্ত্রীরাই আপনাদের দেখে ভয়ে খুত খুত করে। তারাই বড় বড় বিজ্ঞাপন দেয়, অন্যরা তো দূরের কথা। আপনাদের পত্রিকা চলে, তো দেবে না কেন।
স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে, যে কোন দেশে যারা সরকারে থাকে তাদের বিরুদ্ধে বললে সকলে তা আগ্রহ নিয়ে পড়ে। এটা ঠিক এবং স্বাভাবিক সাইকোলজি। এটা আমার মধ্যেও আছে, আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু, সরকারের ভালোটা দেখার জন্য অবজেকটিভ হতে হয়, নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করতে হয়। যে কোন কাজ পছন্দ না হলে তা আমি বলি। কিন্তু, আপনাদের কি কোন কাজই কি চোখে পড়ে না যা লেখার মতো? এই পত্রিকায় একটা এডিটোরিয়াল লিখে একটা অন্যায়কে আপনাদের জাস্টিফাই করতে হবে। আপনারা কি এতো পঁচে গেছেন? আপনারা হচ্ছেন দুর্গন্ধযুক্ত বুদ্ধিজীবী, দুর্গন্ধযুক্ত সিভিল সোসাইটির মেম্বার এবং দুর্গন্ধযুক্ত মানবাধিকার নেতা সাজা মানুষ। এই দুর্গন্ধ যদি সমাজ থেকে দূর না হয় তাহলে সমাজ সঠিক হবে না। সব সরকারি দুর্নীতি যদি ঠিক হয়ে যায় তাতেও আমি বিশ্বাস করি না বাংলাদেশের দুর্নীতি বন্ধ হবে। কারণ, আমি বিশ্বাস করি এই সমস্ত দুর্নীতির গোড়াপত্তন করেন আপনাদের মতো ভাড়াটিয়া, কারখানায় তৈরি বুদ্ধিজীবীরা।
আমি বলবো এখন আর দেরি করার নতুন এক্সপেরিমেন্ট করার সময় নাই। সমাজ দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। আগে ছিল একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ, আরেকদিকে রাজাকার আল-বদর। তারা রয়ে গেছে, তাদের ভাগ হয়নি। কিন্তু যেটা নতুন উপদ্রব সৃষ্টি হয়েছে দিনে দিনে সেটা হচ্ছে প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারের বদান্যতায় এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সিভিল সোসাইটি আর মানবাধিকার কর্মী এই তিনদল। এদের যদি ঠিক মতো আইনের আওতায় না রাখা যায় তাহলে বিপাক। সরকার কিছু করে না, করে আইন। যেমন ড. ইউনূসের ব্যাপারে সরকারের কিছু করণীয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক ক্ষমতাশালী এবং অনেক কিছু করতে পারলেও আইন এবং কোর্টের ব্যাপারে তার কোন ক্ষমতা নাই। তিনি সম্পূর্ণভাবে এর বাইরে থাকেন। ব্যাপারটা এমন না যে, মাহফুজ সাহেব ডিজিএফআইয়ের কাছ থেকে রিপোর্ট এনে লিখে দিলেন যে, শেখ হাসিনা চুরি করেছেন। এরকম রেকর্ড নাই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। তিনি দর্শন দিয়ে দেশ পরিচালনা করে, বিশ্ব পরিচালনা করেন। যার জন্য কেউ যে পয়েন্ট বলতে সাহস করেন নাই, অথচ তিনি খুব দামি কথা বললেন এবার জার্মানিতে গিয়ে। ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন। আর অফ দ্যা রেকর্ডে আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে বুঝেছি যে, শুধুমাত্র ন্যাটো মেম্বারশীপের জন্য অগণিত মানুষ যুদ্ধে মারা যাবে, বিশ্বের বহু মানুষ এর ভুক্তভোগী হবে, এটা কাম্য হতে পারে না। সুতরাং, এই বিষয়টি ফয়সালা করুন। এটা কেবল দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কের পক্ষেই সম্ভব, শুধু শেখ হাসিনা হলে তিনি এটা পারতেন না। আর আমরা এরকম একজন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কই চাই এবং অনেকদিন পর্যন্ত চাই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনেও এই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কই আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিবেন এবং আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমাদের দেশ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে কিন্তু এর আগে এই আগাছা পরিস্কার করতে হবে। সব জায়গায় আগাছা পরিস্কার না করলে কোন ফসল ঠিক মতো হয় না। আমার মতে এই আগাছা হচ্ছে এই দুই পত্রিকা। আমি এই দুই পত্রিকা বন্ধ করার পক্ষে না। যে যার ভিউ তারা লিখুক। কিন্তু, আইনের যারা সামান্য একটু বাইরেও যারা যাবে তাদের সাথে সাথে এর আওতায় নেওয়া উচিত। বিএনপির দুইজন নেতা যদি এতোদিন জেল খাটতে পারে, তাদের নিয়ে কয়টা লেখা লিখেছে এসব বুদ্ধিজীবীরা। আমার তো একটাও চোখে পড়ে না। বুঝলাম আমি বিএনপির আদর্শে বিশ্বাস করি না। কিন্তু, যে দুইজন জেলে থাকলে তাদের নিয়ে তো লেখা যেত। তা নিয়ে কোন এডিটোরিয়াল বের হয় না। আপনাদের কারখানা যখন এফেকটে হলো তখন এডিটোরিয়াল বের হলো। এই আপনাদের বুদ্ধিজীবী। আর কতকাল এই সব ভাঁওতাবাজি করবেন? আমরা ভাঁওতাবাজি ফ্রি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক আইনের শাসন এবং একই সাথে সিভিল সোসাইটি যেন সুসংগঠিত হয়, মানবাধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সংগ্রামে প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই শেষ বয়সে এসেও যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত আছি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭