প্রকাশ: 23/02/2024
শেরপুরের
নকলার চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ মুক্তিপণ
দাবির মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তাসলিমা'কে ১৩ বছর
পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে
র্যাব-১৪।
২২ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৪
জামালপুর ও চট্টগ্রাম যৌথ
অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত
মোছাঃ তাসলিমা খাতুন নকলা উপজেলার পাঁচকাহনিয়া
গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত
তাসলিমা খাতুন আত্মীয়তার সুযোগে বিগত ২০১১ সালের
৯ অক্টোবর নকলা উপজেলার শালখা
গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিলের
বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরদুইদিন পর
জলিলের শিশু কন্যা আকলিমা
খাতুন (০৪) কে অপহরণ
করে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখান
থেকে তাছলিমা জলিলের কাছে একলাখ টাকা
মুক্তিপণ দাবি করে।
বিষয়টি
নকলা থানা পুলিশকে জানালে
পুলিশ ঢাকা থেকে অপহৃত
আকলিমাকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নকলা
থানায় তাসলিমাকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের
করে শিশুটির বাবা আব্দুল জলিল।
এ ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা
পালিয়ে যায়।
মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে উক্ত মামলার
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে ২০২০ সালের
১৪ ডিসেম্বর শেরপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন
ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি মোছাঃ তাসলিমা'কে নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনের ০৭
ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম
কারাদন্ড ও ১০,০০০
টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম
কারাদন্ড এবং ০৮ ধারায়
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০
টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০১ বছরের বিনাশ্রম
কারাদন্ডের আদেশ দেন।
বিভিন্ন
তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে
আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-৭, হাটহাজারী ক্যাম্প,
চট্টগ্রাম ও র্যাব-১৪, জামালপুর যৌথ
অভিযান চালিয়ে মোছাঃ তাসলিমাকে ২২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে
গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭