ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আন্তর্জাতিক চাপ সামলে কতদূর এগোতে পারবে রাশিয়া


প্রকাশ: 24/02/2024


Thumbnail

রাশিয়া ২০২২ সালের শুরুর দিকে ইউক্রেনকে প্রথম বারের মতো আক্রমণ করে রাশিয়া।  এই আক্রমণটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

নিজস্ব ভূখণ্ডে রাশিয়ার লাগাতার হামলার জবাব হিসেবে ইউক্রেনও পালটা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। 

যুদ্ধে বিস্তৃত পরিসরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। এতে মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস হচ্ছে। এই যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্মের ওপর পড়বে।

এই যুদ্ধ লাখ লাখ বেসামরিক মানুষের জীবনে তীব্র দুর্দশা নিয়ে এসেছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই যুদ্ধের কোনো শেষ দেখা যাচ্ছে না।

যুদ্ধের ময়দানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রবল চাপ সামলে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও পুতিন সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমা দেশগুলো। 

আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, এতে ধসে পড়বে দেশটির অর্থনীতি। তবে ব্যবসার বিকল্প অংশীদার খুঁজে ধাক্কা সামলে নেয় মস্কো। ইউরোপ-আমেরিকায় তেল বিক্রি বন্ধ হলেও তা কয়েক গুণ বেড়ে যায় চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশে। 

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র গতকাল রাশিয়ার পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন করা চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরান, তুরস্ক, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, দুই বছর আগে পুতিন ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন। এসব নিষেধাজ্ঞা বিদেশে আগ্রাসন এবং দেশের ভেতরে নিপীড়ন চালানোর জন্য তার চরম মূল্য দেওয়া নিশ্চিত করবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭