ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের মামলা: ওবামা-হিলারি কেন ঢাকায় আসছেন না?


প্রকাশ: 24/02/2024


Thumbnail

গতকাল ডয়েচ ভেলের সাথে সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস দাবি করেছেন যে, সরকার হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামাকে তার মামলার কাগজপত্র দেখার জন্য ঢাকায় আসতে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে সরকারের আগ্রহ নেই। সরকারের বাঁধার কারণে তারা আসতে পারছেন না। প্রশ্ন ছিল যে, বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটন যে ইউনূসের ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছিল এবং তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে এসে সরেজমিনে মামলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন সেটির কী হলো? জবাবে ইউনূস এই বক্তব্যটি দিয়েছেন। কিন্তু ড. ইউনূসের এই বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, তারা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশে আসতে চান বা বাংলাদেশে আসার জন্য ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনে কোনো রকম চিঠি বা মৌখিক আবেদন করেছেন এমন কোনও প্রমাণ নেই। হিলারি ক্লিনটন বা বারাক ওবামা যদি বাংলাদেশে আসতে চান তাহলে তাদের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিশ্চয়ই যোগাযোগ করার কথা। সেখান থেকে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নেওয়ার কথা। এ রকম কোনো ভিসার আবেদন তারা করেননি।

তাছাড়া যদি এই সমস্ত আবেদন তারা নাও করেন, তবুও তাদের টুইটার একাউন্টে তারা বাংলাদেশে যাবার ঘোষণা দিতে পারেন। কিন্তু হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামা যখন প্রথম বিবৃতি দিয়েছিলেন, সেই বিবৃতিতে তারা ড. ইউনূস এর মামলার ব্যাপারে স্বচ্ছতা দাবি করেছিলেন এবং একটি নিরপেক্ষ কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগু্লো তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর পরপরই প্রায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে মামলার কার্যক্রম দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং সমস্ত কাগজপত্র তাদের দেখানো হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এরপর ড. ইউনূসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব জানান যে, তারা বাংলাদেশে আসবেন। কিন্তু তার এটি ছিলো একটি চতুরতা, প্রতারণামূলক বক্তব্য। কারণ বারাক ওবামা বা হিলারি ক্লিন্টন কেউই বাংলাদেশে আসবেন এমন কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন নাই।

সাধারণত এই ধরণের বিশ্ব নেতাদের যে কোনও দেশ সফরের আগে থেকেই আগাম ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সমস্ত নেতারাই বক্তব্য দেন। তারা জানান যে, তারা একটি দেশে যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন? বারাক ওবামা পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন তার বহু আগে থেকেই তিনি এ ব্যাপারে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে নিজে ঘোষণা দেন। একই রকম অভ্যাস আছে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনেরও। তিনিও কোনো কর্মকাণ্ড করলে বা কোনো বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গেলে বা কোনো দেশ সফরে যেতে গেলে তার টুইটার একাউন্টে এ বিষয়ে জানান দেন। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে বারাক ওবামা বা হিলারি ক্লিনটন কেউই তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে কিছু বলেননি।

বাংলাদেশ সরকার কি করতে পারে, প্রধানমন্ত্রী যখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন তারপর ড. ইউনূস সেন্টার বারাক ওবামা বা হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে যোগাযোগ কুড়িয়েছিলো? বারাক ওবামা বা হিলারি ক্লিনটন কি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর বা ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাস বা কোনো মহলে তাদের আসার আগ্রহের কথা বলেছিলেন? তারা কিছুই বলেননি। তার মানে এটি ইউনূসের আরেকটি প্রবঞ্জনা। সরকারকে হেউ করা এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে যে তিনি সবসময় মিথ্যার আশ্রয় নেন, বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটন ইস্যুটি তার একটি জলজ্যান্ত প্রমাণ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭