ইনসাইড পলিটিক্স

যেসব মন্ত্রণালয়ে আসতে পারে নতুন মন্ত্রী


প্রকাশ: 25/02/2024


Thumbnail

মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাও বলেছেন যে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হবে। বর্তমানে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৩৭। একাধিক মন্ত্রণালয়ে কোন মন্ত্রী নেই। এই মন্ত্রিসভার চেহারা দেখলেই বোঝা যায় যে, এটি একটি খণ্ডিত মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে কোন কোন মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হতে পারে তা বর্তমান মন্ত্রিসভার চেহারা দেখলেই অনুমান করা যায়। যেমন- মন্ত্রিসভায় শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় কাউকে দেওয়া হয়নি। এই মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে নতুন মন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা কল্পনা রয়েছে। 

অনেকে মনে করেন, যেহেতু মন্নুজান সুফিয়ানকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করে সংসদে নিয়ে আসা হয়েছে। কাজেই এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব তার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। কারণ তিনি ২০১৮ মেয়াদে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে এই মতের সঙ্গে অনেকেই একমত নন। তারা মনে করেন যে, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মন্নুজান সুফিয়ান বিবেচনায় নাও আসতে পারে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক শ্রম আইন এবং নতুন শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের দফায় দফায় বিভিন্ন ধরনের বৈঠক চলছে। আর এ কারণেই এই মন্ত্রণালয়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে দেওয়া হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, সামনের দিনগুলোতে গার্মেন্টস এবং শ্রমিকদের নানা বিষয় রয়েছে। এ কারণেই মন্ত্রণালয়ে একজন রাজনীতিবিদ মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত এই মন্ত্রণালয়ে যেই আসুক না কেন একজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী যে নিয়োগ দেওয়া হবে সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে যে, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মধ্যে থেকেই কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আলোচিত নাম তারানা হালিমের। আবার যদি তারানা হালিম না দেওয়া হয় তাহলে কেউ কেউ এই মন্ত্রণালয়ে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর কথাও আলোচনা আছে বলে জানাচ্ছেন। তবে এই মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে এটিও নিশ্চিত। 

সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দেওয়া হবে এমন আলোচনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে হেভিওয়েট কোন রাজনৈতিক নেতাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে যাকেই দেওয়া হোক না কেন, তিনি ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের সাথে সম্পর্ক রাখেন এবং তাদের ওপর তার এক ধরনের অভিভাবকত্ব আছে এমন ব্যক্তিকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দেখা যেতে পারে। 

অর্থমন্ত্রণালয় একজন পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন। একাধিক সূত্র বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে টেকনোক্রেট কোটায় প্রতিমন্ত্রী দেওয়ার গুঞ্জন সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে ড. আহমদ কায়কাউস পদত্যাগ করেছেন। কাজেই এই মন্ত্রণালয়ে তার প্রতিমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। তবে পদত্যাগের পরপরই তাকে আবার মন্ত্রী করা হবে কি না তা নিয়েও বিতর্ক আছে। 

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণমন্ত্রী রয়েছে। অনিবার্য ভাবে এখানে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিভিন্ন সূত্র আভাস দিচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনামন্ত্রীর শারীরিক ভাবে কিছু অসুস্থতা রয়েছে। সে কারণে এখানে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। প্রতিমন্ত্রী টেকনোক্র্যাট কোটায় দেওয়া হতে পারে, আবার বর্তমানে যারা সংসদ সদস্য আছেন তাদের মধ্যে থেকেও কাউকে দেওয়া হতে পারে। তবে যাকেই দেওয়া হোক না কেন, তিনি অর্থনীতি এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে অভিজ্ঞ এটা বিবেচনা করে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। এখানে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। এখানে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। গত মেয়াদেও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কোন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী ছিলেন না। একজন প্রতিমন্ত্রী এবং একজন উপমন্ত্রী দিয়ে মন্ত্রণালয় চালানো হয়েছিল। এবার সেখানে একজন পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গতবারের মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পল্লী উন্নয়ন সমবায় বিভাগে কোন প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। গত মেয়াদে স্বপন ভট্টাচার্য এখানে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব করেছিলেন। কিন্তু এবার তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। কাজেই এই জায়গায় একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। সেক্ষত্রে রাজনীতিবিদ কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এই ভাবে মন্ত্রিসভায় যে মন্ত্রণালয়গুলো বড় সেখানে একাধিক মন্ত্রী এবং যেখানে যেখানে কোন মন্ত্রী নেই সেখানে অত্যন্ত একজন করে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭