ইনসাইড গ্রাউন্ড

রোমাঞ্চকর এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিদায়, পরের পর্বে বরিশাল


প্রকাশ: 26/02/2024


Thumbnail

জিতলে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে, অন্যদিকে হারলেই বিদায়—এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এলিমিনেটরের ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও পথ খুঁজে পায়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অন্যদিকে দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৭ উইকেটের বড় জয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে তামিম ইকবাল বাহিনী।

আর ক্রিকেটে একটি প্রবাদ খুব প্রচলিত- ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। প্রবাদটি যে কতটা সত্য আর নিষ্ঠুর, সেটাই যেন টের পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কারণ ক্যাচ মিসের মহড়া না দিলে ম্যাচের ফল হয়তো অন্যরকমও হতে পারতো!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে প্লে অফ পর্বে এলিমিনেটরের লড়াইয়ে আজ ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যেখানে চটগ্রামকে ব্যাটে-বলে নাস্তানাবুদ করে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছায় বরিশাল। বাকি ছিল আরো ৩১ বল। দাপুটে জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে তারা।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারকে হারায় চট্টগ্রাম। সিলভার ডাক খেয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন তামিম ইকবাল।

২৬ বলে ৫০ রান করে মেয়ার্স সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৯৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এরপর চারে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন ডেভিড মিলারও। তবে ১৩ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি এই প্রোটিয়া হার্ডহিটার ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন তামিম ইকবাল।

মিলার দ্রুত ফিরলেও আরেক প্রান্তে অবিচল ছিলেন তামিম। ফরচুন অধিনায়ক অপরাজিত ফিফটিতে দলকে জিতিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। এই জয়ে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিল বরিশাল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বরিশালের মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দল।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ বলে ২ রান।

তিনে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে ইমরানুজ্জামান। তবে এক প্রান্তে ভালোই খেলছিলেন জশ ব্রাউন। এই ওপেনার অবশ্য ফিরতে পারতেন ২০ রানেই। ইনিংসের ৫ম ওভারের ঘটনা। ওবেদ ম্যাকয়ের করা ওভারের পঞ্চম বলটি ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি জশ ব্রাউন। বল দূরত্ব না পেলেও অনেকটাই উপরে উঠে যায়, এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা তামিমক ইকবাল বলের নিচেই ছিলেন।

জায়গায় দাঁড়িয়েও বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তামিম। চলিত বাংলায় বলা যায়—ডাল-ভাত ক্যাচ ছিল, সেটাও হাতে জমাতে পারলেন না বরিশালের অধিনায়ক। তাতে ২০ রানে জীবন পান ব্রাউন।

অবশ্য তামিমের এই ভুলের খেসারত হিসেবে বড় কিছু গুণতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ম্যাকয়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন ব্রাউন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ম্যাকয়কে তুলে মারতে গিয়ে আরও একবার মিস টাইমিং হয় ব্রাউনের। এবার বল চলে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা ডেভিড মিলারের হাতে।

তামিম ভুল করলেও মিলার ভুল করেননি। সহজ ক্যাচ লুফে নেন এই প্রোটিয়া। তাতে ২২ বলে ৩৪ রান করে থেমেছেন ব্রাউন। তার এই ইনিংসে ২ চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল।

ব্রাউনের মতোই ভালো শুরু পেয়েছিলেন টম ব্রুসও। তবে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এদিন শুভাগত হোমও ব্রুস-ব্রাউনদের পথে হেটেছেন। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৬ বলে ২৪ রান করে।

এরপর আর কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি। ফলে ২০ ওভার খেলেও দেড়শ স্পর্শ করতে পারেনি চট্টগ্রাম।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭