এডিটর’স মাইন্ড

সাবেক বামদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র?


প্রকাশ: 26/02/2024


Thumbnail

বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের নেতিবাচক এবং বিভ্রান্তি মূলক মনোভাব তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশের মানবাধিকার, সুশাসন, আইনের শাসন ইত্যাদি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেকগুলো নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেছিল। আর এই নেতিবাচক ধারণাগুলো প্রধান কারণ ছিল বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রাপ্তি। এই তথ্য প্রাপ্তির যে উৎসগুলো ছিল তার উৎসের একটি বড় অংশই দিয়েছিল ব্যাধিগ্রস্ত বামরা। 

সাবেক বাম হিসেবে পরিচিত যারা বামপন্থার বাল্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, এখন তারা পুঁজিবাদের ধারক বাহক হয়েছেন এরকম কিছু উচ্চাভিলাষী দুর্বৃত্ত বাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছিল এবং তাদের দেওয়া তথ্যগুলো ছিল বিভ্রান্তিমূলক। একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে যে, সমস্ত ব্যক্তিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গত দুই বছর ধরে অবিরল ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা, অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আসছিল। আর এই সমস্ত ব্যক্তিরা যে এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, বিশেষ করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তার প্রমাণ পাওয়া গেল মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে। এই বৈঠকে যে কয়েকজনকে ডাকা হয়েছিল তারা সবাই পরিত্যক্ত বাম থেকে আসা নব্য পুঁজিবাদ এবং উদার গণতন্ত্রের ধারক বাহক হয়েছেন। অথচ তারা জীবনেও গণতান্ত্রিক ধারার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা দেখেননি। 

গত দুই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন  ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আলী রীয়াজ বাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এক সময় হয় বিপ্লবের মাধ্যমে সরকার পতন করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন বিভ্রান্তি চোরাগলিতে আটকে গেছে। এখন তিনি বিশ্বের পুঁজিবাদের ধারক বাহক। আর এই সুযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশের অনেক বিষয় নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেন, নালিশ করেন, পরামর্শ দেন। সাবেক এই বাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা বিবেচনা করা যায়। 

আরেক বিভ্রান্ত বাম জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমান মূলত আলী রীয়াজের শিষ্য হিসাবেই পরিচিত। বলা যায় যে বাংলাদেশে আলী রীয়াজের স্বার্থরক্ষাকারী। তিনি এখন সুশীল সমাজ হলেন কী ভাবে সে নিয়ে হাস্যকৌতুক সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সাবেক এই বিভ্রান্ত বামও বাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার সঙ্গে জামাতেরও একটা গভীর সংযোগ রয়েছে। আর এই কারণেই মার্কিন দূতাবাসের কিছু বাঙালি কর্মকর্তার সাথে জিল্লুরের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া যায়। 

আদিলুর রহমান খান: আদিলুর রহমান খান এক সময় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী বাম ছিলেন। এই বামরাই গণবাহিনী তৈরি করেছিল। সন্ত্রাস, সহিংসতার রাজনীতি বাজারজাত করেছিল। আদিলুর রহমান খান এখন অধিকার নামে একটি বিতর্কিত মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এই সংগঠনটি নানা সময়ে অসত্য মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার জন্য আলোচিত। বিশেষ করে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতকে নিয়ে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকারের ভূমিকা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। 

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: বাকি তিন জন চৈনিক বাম হলেও দেবপ্রিয় সোভিয়েত বাম ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নে তিনি পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু বিভ্রান্ত হয়ে এখন তিনি বিশ্বে ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তক কিন্তু তিনি যে সমস্ত তথ্য উপাত্ত প্রদান করেন তা সবই ভুলে ভরা। কোন বৈজ্ঞান ভিত্তিক ডাটা বা গবেষণা তার নেই। তবে তাকে একজন কথক অর্থনীতিবিদ বলা হয়। মৌলিক কোন গবেষণা ছাড়া শুধুমাত্র জ্যোতিষীর মতো বিভিন্ন বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করার জন্য তিনি সমালোচিত বিতর্কিত। এই সমস্ত বামদের খপ্পর থেকে যদি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বেরিয়ে না আসে তাহলে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের যে অংশীদারিত্বের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে তা কখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। মার্কিন দূতাবাসের উচিত অবিলম্বে নির্মোহ নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল সূত্রের সাথে একটা সুসম্পর্ক এবং সেতুবন্ধন তৈরি করা। তাহলেই বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭