এডিটর’স মাইন্ড

নেতাদের মুক্তি, বিএনপির মুক্তি কবে


প্রকাশ: 27/02/2024


Thumbnail

একে একে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে যে তাণ্ডব হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হন। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। এসব গ্রেপ্তারে বিএনপির আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। আন্দোলন পথ হারায়। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। কিন্তু তাদের নির্বাচন বর্জন আন্দোলন সফল হয়নি। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি তার অক্ষমতা ও দুর্বলতা প্রকাশ করে। বিএনপি এবং তার মিত্রদের নামমাত্র আন্দোলন নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার শপথ নেয়। টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের পর বিএনপি নেতারা আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। বিএনপির কালো পতাকা বা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পানসে। এসব কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরাও স্বীকার করেন আন্দোলন পথহারা। মুখে তারা যাই বলেন না কেন, তাদের হতাশার দীর্ঘশ্বাস এখন সর্বত্র শোনা যায়। বিএনপির নেতারা যখন হতাশ, ক্লান্ত, বিধ্বস্ত; ঠিক তখনই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক নেতারা মুক্ত হচ্ছেন। নেতারা স্বীকার করেছেন, তাদের মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করবে। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরুর মুক্তিতে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে একধরনের উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের মুক্তির পর আমার মনে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো—নেতাদের তো মুক্তি হলো, কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কি মুক্ত?

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি রাজনৈতিক দল একটি স্বাধীন সত্তা। রাজনৈতিক সংগঠন যদি নিজ ইচ্ছায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন সেই দল বা সংগঠনকে মুক্ত বা স্বাধীন বলা যায়। অন্যদিকে একটি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা দল নির্ধারণ করে, দলটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া যদি গণতান্ত্রিক না হয় এবং দলের অভ্যন্তরে যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে, তাহলে সেই দলটি মুক্ত থাকে না। মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত রাজনৈতিক সংগঠন জরুরি। মুক্ত গণতন্ত্র ও মুক্ত রাজনৈতিক সংগঠনের ধারণাটি এসেছে মূলত কমিউনিস্ট পার্টির উত্থানের পর থেকে। উদার ও মুক্ত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা দেশে দেশে কমিউনিস্ট পার্টিগুলোকে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রধান যুক্তি ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলো সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। এসব দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা নেই। দলের ভেতর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই এবং গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। জার্মানিতে নাৎসি পার্টির উত্থানের পর দলের ভেতর গণতন্ত্রের চর্চা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একটি দলে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে রাজনৈতিক দলটি ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত হতে পারে। নাৎসিবাদের উত্থান ও বিপর্যয় নিয়ে বিশ্বে যত গবেষণা হয়েছে, তাতে একক সিদ্ধান্ত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার বিষয়টি সামনে এসেছে। গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রোইকা তত্ত্বের মাধ্যমে বিশ্বে কমিউনিস্ট আন্দোলন বিপর্যয়ে পড়ে। এ সময় গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হিসেবে রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একটি দলের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতার বিষয়টিও সামনে আসে। এভাবে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা এবং তার পরিধি বিস্তৃত হয়। একটি দেশে গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়; রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার বিষয়টি স্বীকৃত পায়। এ তত্ত্বকে সামনে রেখে আমরা প্রশ্ন করতেই পারি, বিএনপি কি স্বাধীন, মুক্ত?

আমার বিবেচনায় বিএনপি পরাধীন, শৃঙ্খলিত এক রাজনৈতিক দল। একটি মুক্ত স্বাধীন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে জবাবদিহিতা থাকাটা জরুরি। নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তাদের সরে দাঁড়াতে হয়। দেশে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই চর্চা প্রচলিত। বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই, ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেসের কথাই ধরা যাক। ঐতিহাসিকভাবে এই দলটি নেহরু পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ২০১৪ সালের নির্বাচনের শোচনীয় পরাজয়ের পর সোনিয়া গান্ধী দলের নেতৃত্বে থেকে সরে দাঁড়ান। রাহুল গান্ধীকে করা হয় ঐতিহ্যবাহী দলটির সভাপতি। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেস বিজেপির কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। এবার সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধীও। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কংগ্রেস নতুন সভাপতি নির্বাচন করে। মল্লির্কাজুন খড়গে এখন কংগ্রেসের সভাপতি। কংগ্রেসে রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তরুণরা তাকেই সভাপতি হিসেবে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাহুল তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। বিএনপি ২০০৮-এর নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। পরাজয়ের পরও খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্বে থেকে সরে দাঁড়াননি। ২০১৪ সালে বিএনপির আন্দোলনের কৌশল ব্যর্থ হয়। পাঁচটি সিটি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও বিএনপি কেন সংসদ নির্বাচন বর্জন করল—সেই প্রশ্নের উত্তর নেই। নেই জবাবদিহি। একইভাবে ২০১৫ সালের আন্দোলনেও বিএনপি শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হলো। এ নিয়েও দলে কোনো সমালোচনা নেই। নেই নেতৃত্বের পরিবর্তন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেই দুটি দুর্নীতির মামলার দণ্ডিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। যে কোনো গণতান্ত্রিক দলের নিয়ম হলো দুর্নীতির দায়ে কেউ দণ্ডিত হলে তিনি তার দলীয় পদে থাকার অধিকার হারান। বিএনপির গঠনতন্ত্রেও এমন বিধান ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার আগেই কোনোরকম কাউন্সিল ছাড়াই তড়িঘড়ি করে গঠনতন্ত্রের বিধানটি বাতিল করা হয়। বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাই দণ্ডিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির শোচনীয় বিপর্যয়ে পড়ে। এরপর দলের ভেতর কিছু আত্মসমালোচনা লক্ষ করা যায়। নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি তোলেন অনেক নেতা। ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টে’ যোগদান, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন ইত্যাদি ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত নিয়ে কথাবার্তা হয়। কিন্তু এত ভুলের পর একজন নেতাও পদত্যাগ করেননি। একজনও পদ হারাননি। এবারও বিএনপির আন্দোলন এবং নির্বাচন বর্জনের কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। লন্ডন থেকে যে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল বাস্তবতা-বিবর্জিত। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ নেতারা কি পদত্যাগ করবেন? তারা যদি পদত্যাগ করে নতুন নেতৃত্ব সামনে আনেন তাহলে বিএনপি মুক্ত হবে।

একটি মুক্ত রাজনৈতিক দলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো দলের ভেতর গণতন্ত্র চর্চা। দলের ভেতর কতটুকু গণতন্ত্র আছে তা বোঝা যায়, সাংগঠনিক বিন্যাসে, নিয়মিত সম্মেলনে। আট বছর ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হয় না। দলের স্থায়ী কমিটিতে শূন্য পদ পূরণের কোনো উদ্যোগ নেই। প্রায় অর্ধেক জেলায় কমিটি নেই। অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো এখনো জেলায় জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। এরকম অবস্থায় একটি দল কীভাবে চলছে, সেটাই এক বড় প্রশ্ন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিএনপির নীতিনির্ধারণী সংস্থা হলো স্থায়ী কমিটি। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটি এখন অকার্যকর, অসম্পূর্ণ। একে তো স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ খালি, অন্যদিকে যারা আছেন তাদের কয়েকজন অসুস্থ। দলীয় কাজকর্মে অংশগ্রহণের মতো অবস্থা তাদের নেই। স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। গত দুই বছর বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এক ব্যক্তির ইচ্ছায় সবকিছু হচ্ছে। লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যা নির্দেশ দিচ্ছেন, নেতারা বিনা প্রশ্নে তা প্রতিপালন করছেন। একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনার সুযোগ নেই বিএনপিতে। বিএনপির অনেক প্রবীণ নেতাই ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় স্বীকার করেন, বেগম জিয়া যখন দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করতেন তখন যে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতো। বেগম জিয়া কথা বলতেন কম, শুনতেন বেশি। এখন বিএনপিতে ঠিক উল্টো ধারা চলছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই শুধু কথা বলেন, বাকিরা শোনেন এবং নির্দেশ প্রতিপালন করেন। যে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে হয় সামনে থেকে। বাংলাদেশের বাস্তবতা, জনগণের মনোভাব ইত্যাদি অনুধাবন করার জন্য প্রয়োজন সার্বক্ষণিক নেতৃত্ব। বিএনপি এখন চলছে খণ্ডকালীন নেতৃত্বে। দূর থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই দেওয়া হচ্ছে কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি বুমেরাং হচ্ছে দলটির জন্য। বিএনপির ভেতরই গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই দলের ভেতর। ভিন্নমতকে দমন করা হচ্ছে কঠোরভাবে। বিএনপি কি এক ব্যক্তির ইচ্ছার কারাগার থেকে মুক্তি পাবে? বিএনপিতে অনেক পোড়খাওয়া ত্যাগী নেতা রয়েছেন। তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা প্রমাণিত, বাংলাদেশে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে যারা রাজনীতি করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। এরকম কাউকে দলের নেতৃত্ব দিলে সমস্যা কোথায়? কেন দূর থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোলে দল চালাতে হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে বিএনপিকেই।

বিএনপি যে আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে, নির্বাচনে যাওয়ার বা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা কি স্বাধীন চিন্তার ফসল নাকি কারও আশ্বাসে বিএনপি এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দলটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কতটা স্বাধীন, মুক্ত? ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছিল কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের পরামর্শে। বিএনপির অন্তত দুজন প্রয়াত নেতা একাধিক সাক্ষাৎকারে এরকম অভিযোগ করেছেন। তারা বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা। বিএনপি নির্বাচন না করলেই ১৯৯৬ বা ২০০৭ সালের মতো ঘটনা ঘটবে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে—এমন নিশ্চিত আশ্বাস ছিল তাদের পক্ষ থেকে। আবার ২০১৮ সালে বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল বিদেশি রাষ্ট্র। তাদের বুদ্ধিতেই ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জোট করে বিএনপি। বিএনপির অনেক নেতাই এ সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছিলেন। অনেকেই এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। গত দুই বছর বিএনপি আন্দোলন করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের পরিস্থিতি দেখে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছিল, তাতেই বিএনপি আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখেই বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি বেগবান হচ্ছিল। নিজেদের ইচ্ছা, লাভ-ক্ষতি হিসাব, প্রতিপক্ষের শক্তি কিংবা বিশ্ব মেরূকরণ ইত্যাদি কোনো কিছুই মাথায় নেয়নি দলটি। অনেক সময় মনে হয়েছে, বিএনপি বোধহয় পশ্চিমাদের ইচ্ছে পূরণের হাতিয়ার কিন্তু স্বাধীনভাবে দলের কৌশল নির্ধারণ না করলে যে শেষতক হতাশার সাগরে হাবুডুবু খেতে হয়, বিএনপির এবারের আন্দোলন তার প্রমাণ।

এখন বিএনপি নতুন করে হিসাব কষছে। অনেকে মনে করেন, দলের সিনিয়র নেতারা মুক্ত হয়েছেন, নিশ্চয়ই তারা নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন। আমার কিন্তু তা মনে হয় না। আমি মনে করি, বিএনপিকে আগে মুক্ত হতে হবে। দলে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ব্যর্থদের সরে দাঁড়াতে হবে। নতুন নেতৃত্ব সামনে আনতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিএনপিতে মতপ্রকাশের, চিন্তার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা দিতে হবে। না হলে দল হিসেবে বন্দি বিএনপির মৃত্যু হবে নিজেদের তৈরি কারাগারেই। নেতারা মুক্ত হলো, বিএনপি কি মুক্ত হবে।


লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল: poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭