ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শুরু হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান


প্রকাশ: 27/02/2024


Thumbnail

নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে অনিবন্ধিত হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোকে বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে সরেজমিনে যাচ্ছেন। তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেনাকাটার যে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি তারও উত্স খুঁজে খুঁজে বের করেছেন নবনিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব। এই দুজনই সৎ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আর সে কারণে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতি মুক্ত করার এক অভিযান এ নেমেছেন। আর এই অভিযানের প্রথম ভাগে তারা যে অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি গুলো হয়েছে সেগুলো বন্ধ করা এবং ভবিষ্যতে যেন সব কিছু নিয়ম নীতির মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যেই নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন। 

বিগত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তা অধিকাংশই সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পছন্দের এবং তার একান্ত অনুগত। যোগ্যতার বিবেচনায় নয়, শুধু মাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ হয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে—এরকম বিবেচনাতেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে। 

নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এই বিষয়গুলো অবহিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুদ্ধি অভিযানের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এই বাস্তবতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি ১৮ ব্যাচের কর্মকর্তা। কোন ভাবেই তিনি অতিরিক্ত মহাপরিচালক হওয়ার জন্য যোগ্য নন। কিন্তু তারপরও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন হওয়ায় তাকে ওই পদে বসানো হচ্ছে। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক, প্রশাসন পদে এমন ব্যক্তিকে বসানো হয়েছে যার বিরুদ্ধে অতীতে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নানা রকম দুর্নীতিবাজ এবং নানারকম দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে বসানো হয়েছে। এই সমস্ত জায়গাগুলোতে শুদ্ধি অভিযান শুরু করা হবে। 

তবে বিভিন্ন মহল মনে করছেন যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গোড়ায় গলদ রয়েছে। দু দুবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সবকিছু জেনে শুনে নীরব থেকেছেন। তিনি নিজে দুর্নীতি না করলেও দুর্নীতিবাজদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী যা নিদের্শ দিয়েছেন সেই নিদের্শ অন্যায় হলেও প্রতিপালন করেছেন। যার ফলে এই দুর্নীতি সর্বব্যাপী বিস্তৃতি হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। বিশেষ করে কেনাকাটায় দুর্নীতি এবং হাসপাতালগুলো যে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা তার দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কিছুতেই এড়াতে পারেন না। খুব শিগগির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে পরিবর্তন দেখা যাবে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭