ইনসাইড ইকোনমি

আমদানির সঙ্গে বেড়েছে ডালের দাম


প্রকাশ: 28/02/2024


Thumbnail

পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগেই ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। খেসারির সঙ্গে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে ছোলা ও অন্য ডালের। গত এক মাসের ব্যবধানে ছোলার দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ থেকে ৫০ টাকা। আর সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ডালের চাহিদার বড় অংশই আমদানি করা হয়। ডলার সংকটের কারণে আমদানি বিল পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ডালের দামে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব পণ্যের দামে লাগাম টানতে এখনই প্রশাসনের কড়া নজরদারি দরকার। তা না হলে রমজানজুড়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভোক্তাদের ভোগাবে।

জানা যায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় দু-তিন গুণ বেড়েছে ডাল আমদানি। এর মধ্যে মসুর ডাল, মুগডাল, মাষকলাই ও মটর ডালের আমদানি বেড়েছে। গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয় ১৯ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন মসুর ডাল। কানাডা ও রাশিয়া থেকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই মটর ডাল আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসেছে ৫০২ মেট্রিক টন। শুধু চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই এসেছে ২৪ হাজার ২১০ মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই মাস কলাই আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসেছে ৫ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, নির্বাচনের পর এসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে, যা আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খুলছে না। ফলে ভোগ্যপণ্য আমদানির বিষয়টি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ কারণে চাহিদা স্বাভাবিক থাকলেও আমদানিকারকদের বাড়তি মুনাফা করার প্রবণতায় এসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, ডাল জাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা এক-দুমাস আগেও বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। অর্থাৎ এই সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুগডালের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। একই সময়ে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে মটর ডালের দামও। এক মাস আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি মটর ডাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা মসুর (অস্ট্রেলিয়ান) ১০২ এবং চিকন মসুর (দেশি ও ভারতীয়) ১৩৪-১৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রতি কেজি মোটা মসুর ৯০ এবং চিকন মসুর ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে প্রতি কেজি ছোলা ৯০ টাকার নিচে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে সব ধরনের ডালের দাম বেড়ে বর্তমানে চিকন বা দেশি মসুর ডালের কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫, মোটা মসুর ১১০, মুগডাল ১৮০, মটর ডাল ৯০ এবং ছোলা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাগবে ভ্রাম্যমাণ আদালত কিংবা সমন্বিত বাজার তদারকির কার্যক্রম শুরু হলে তা অকার্যকর করতে নানা চক্রান্ত চলে। প্রশাসন অভিযান চালালেই ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠানো হয়। পরে সেই অভিযান বন্ধে চালানো হয় নানা অপতৎপরতা। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭