ইনসাইড বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীরকে মারধরে গর্ভপাত


প্রকাশ: 28/02/2024


Thumbnail

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক নারীর বাবা ও প্রতিবেশীদের মারামারির ঘটনাস্থল দেখিয়ে দেওয়ায় মারধরের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় সে হারিয়েছে তার পেটে থাকা সন্তানকে।

এর প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেছে ওই নারী। কিন্তু আদালতে সার্টিফিকেট দাখিলের জন্য বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধরণা দিয়েও মিলছে না সার্টিফিকেট।

অভিযোগে জানাযায়, ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কাশুয়া বিহারি পাড়া বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের খোরশেদ আলীর সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলায় প্রতিবেশীদের সাথে মারামারির ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা হয়।

গত ১১ই জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে খোরশেদের মেয়ে রুপালী আক্তার (২৬) তদন্ত কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল দেখিয়ে দেয়। এতে একই এলাকার সমশের আলীসহ আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেলে খোরশেদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

এসময় তারা রুপালীকে পেয়ে তার হাত, পা, পেটে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া সত্বেও ডাক্তার ১৫ই জানুয়ারি সকালে তাকে রিলিজ দেয়। বাড়িতে গিয়ে রুপালীর অবস্থা আরও বেগতিক হওয়ায় তাকে আবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এসময় রুপালীর ৬মাসের পেটে থাকা সন্তান গর্ভপাত হয়।

রুপালী অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ই জানুয়ারি তিনি বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বালিয়াডাঙ্গী থানায় সমশের, সুহেল রানা, রানা, নাসিমাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত সার্টিফিকেট দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

রুপালী বলেন, ‘যেখানে হাসপাতালের ছাড়পত্রে ডাক্তার স্পষ্ট করে লিখে দিয়েছেন কমপ্লিট এবরশন। সেখানে এবরশন লিখে সার্টিফিকেট দিতে ডাক্তার গড়িমসি করছে। তারা বলছে তোমার পেটে বাচ্চাই ছিলনা। অথচ মৃত বাচ্চা প্রসবের ছবি-ভিডিও সবই হাসপাতালে এবং আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। আরএমও অদৃশ্য কোন ঈশারায় এমন কথা বলছেন, আমি ন্যায়বিচারের স্বার্থে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকৃত ঘটনার ডাক্তারি সার্টিফিকেট চাই’।

এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার সজিবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তারা আমাকে বিরক্ত করছে। যেহেতু এটা আদালতের ব্যাপার সেহেতু এই সার্টিফিকেট পুলিশের মাধ্যমেই যাবে। আর সে অসুস্থ থাকা কালীন তাকে বারবার করে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করতে বলা হয়েছিল, সে করেনি। তাই কিভাবে এবরশন হলো আমি জানিনা। কাগজে যেটা লিখা আছে সেই অনুপাতেই সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭