ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশ ত্যাগের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস


প্রকাশ: 28/02/2024


Thumbnail

ডয়চে ভেলে এর পর এবার সিএনএন এর আশ্রয় নিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করা। ড. ইউনূস গতকাল সিএনএন এর ক্রিশ্চিয়ান আমানপোরের কাছে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি একই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। অবশ্য এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, গ্রামীণ টেলিকম সহ গ্রামীণ কল্যাণের আওতায় যে আটটি প্রতিষ্ঠান সেই আটটি প্রতিষ্ঠান তিনি ফিরে পেয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংক প্রথমে তা দখল করলেও পরে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপরও ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ছাড়েননি।

 ড. ইউনূসকে ক্রিশ্চিয়ান আমানপোর প্রশ্ন করেছিলেন যে, তার কোন রাজনৈতিক অভিপ্রায় আছে কিনা। ড. ইউনূস যথারীতি উত্তর দিচ্ছেন যে, তার কোন রাজনৈতিক অভিপ্রায় নাই। 

৮৩ বছর বয়সে তিনি দেশ ত্যাগ করতে চান কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন ড. ইউনূস। বরং তিনি বলেছেন যে, আমি ৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপনা ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছি এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এটাই আমার জীবনের লক্ষ্য। 

কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের সুদ নিয়ে বিভিন্ন মত নিয়ে ক্রিশ্চিয়ান আমানপোর প্রশ্ন করলে সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ড. ইউনূস। বিশেষ করে ক্রিশ্চিয়ান আমানপোর যখন জানতে চেয়েছিলেন যে, গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার অনেক বেশি এবং এটি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কোন কাজ দিচ্ছেনা বলে না অনেকে অভিযোগ করেন, এই প্রশ্নের উত্তর তিনি না দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস যথারীতি দাবি করেন যে, গ্রামীণ কল্যাণ তার নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংকের ৬৯ কোটি টাকার হিসেব না দিয়ে গ্রামীণ কল্যাণকে নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান হিসাবে তিনি কিভাবে দাবি করেন, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। 

এছাড়া ড. ইউনূসের এই সাক্ষাৎকারে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যেটি সম্পূর্ণ ভাবে পড়ে সাব জুডিস এবং আদালত অবমাননার সামিল।

ড. ইউনূস বলেছেন যে, সমস্ত দেশি বিদেশিরা আইনজীবীরা বলেছেন তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো অযৌক্তিক। কিন্তু বাস্তবতা হলো যে, ড. ইউনূসের কোন মামলাই সরকার বাদী নয়। শ্রম আদালতে যে মামলাটি সেই মামলাটি দায়ের করেছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এর মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে যা একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন সরকারের বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পিত প্রচারণার মিশন নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং সেই মিশনের অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন যেখানে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন। বিশেষ করে নির্বাচনের পর যখন আন্তর্জাতিক মহল সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং নতুন সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশগুলো কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে তখন ড. ইউনূস যেন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭