ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রীদের কি দপ্তর বদল হবে?


প্রকাশ: 01/03/2024


Thumbnail

আর কিছুক্ষণের মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভার শপথের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা পূর্ণতা পাবে। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠছে তা হলো মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সাথে সাথে কি মন্ত্রীদের দপ্তরও বদল হবে নাকি ১১ জানুয়ারি প্রথম মন্ত্রিসভায় যে মন্ত্রীদের দপ্তর দেওয়া হয়েছিল, সেই দপ্তরই অব্যাহত থাকবে? 

এ ব্যাপারে কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। তবে সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা প্রায় সবাই প্রথমবার মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থাকলেও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা এদের একেবারে নেই বললেই চলে। তারা মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে বুঝতে-শুনতে কিছুটা সময় নেবেন এবং তাদেরকে বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তারা সফল হবেন, না ব্যর্থ হবেন তা নির্ভর করবে তারা কিভাবে দ্রুত মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম গুলোকে আত্মস্থ করেন তার ওপর। আর এ বিবেচনা থেকেই অনেকেই মনে করছেন যে, মন্ত্রিসভা যে ভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে এবং নতুন মুখদের মন্ত্রিসভায় সন্নিবেশিত করা হয়েছে তাতে ধারণা করা যেতে পারে যে, মন্ত্রিসভার দপ্তরও বদল হবে। যেমন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত যাদের নাম আছে তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব নিতে পারেন। 

ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন, যিনি একেবারেই নতুন এবং আনকোরা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। এরকম বাস্তবতায় এই মন্ত্রণালয়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা আছে। 

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে একজন প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়েও একজন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হবে কিনা সে নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। তবে আবার এই বিপরীতে ভিন্নমতও পাওয়া গেছে। অনেকেই মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী সাধারণত একজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে তাকে সময় দিতে চান। গত মন্ত্রিসভায় যারা দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তাদের দু একজন ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে সবাইকে পাঁচ বছরের জন্য রাখা হয়েছিল। তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা অযোগ্যতার পরও মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করা হয়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকার কারণে মন্ত্রণালয়ের কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারেননি। এমনকি তিনি মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হতেন একেবারেই কম। তারপরও তাকে পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী বহাল রেখেছেন। 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কথা বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হয়েছে। কিন্তু তিনি বহাল তবিয়তে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন। একই অবস্থা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ক্ষেত্রেও। তবে গুরুতর কিছু কারণে মন্ত্রীদেরকে বাদ দেওয়া বা মন্ত্রীদের দপ্তর পরিবর্তন ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটি বিরল ঘটনার মতোই। যেমন ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় প্রথমে গ্রহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী থাকার সময় শ. ম রেজাউল করিমকে পরবর্তীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছিল। এ রকম ছোটখাটো পরিবর্তন মন্ত্রিসভায় হয়েছে বিশেষ কারণে। তাছাড়া শিষ্টাচার বিরোধী তৎপরতার কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তার মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। এই ব্যতিক্রম ঘটনা ছাড়া মন্ত্রিসভার সব সদস্যরাই পুরো পাঁচ বছর মেয়াদেই ছিলেন। এবার ১১ জানুয়ারি যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী আরও কিছু সময় দিতে চান বলেই বিভিন্ন মহল মনে করেন। সেই সময় দেওয়ার বিবেচনার প্রেক্ষিতেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সাথে সাথে ১১ জানুয়ারির মন্ত্রিসভার দপ্তর পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তবে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কি করবেন তা শপথের পরই বুঝা যাবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭