ইনসাইড বাংলাদেশ

রেকর্ড সংখ্যক নারী মন্ত্রী: নারীর ক্ষমতায়নের আরেক ধাপ


প্রকাশ: 01/03/2024


Thumbnail

এবারের মন্ত্রী সভায় রেকর্ড সংখ্যক আট জন নারী মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় চারজন এবং আগের মন্ত্রিসভায় চারজন সহ মোট আটজন নারী এবার সরকারের মন্ত্রিসভায়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য রেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশে কোনো মন্ত্রিসভায় এত জন নারী সদস্য থাকেননি। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও নারী মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ডা.দীপু মনি। ১১ জানুয়ারী যে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল তাতে চারজন নারী সংসদকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এই দুজন ছাড়াও ছিলেন রুমানা আলী এবং সিমিন হোসেন রিমি। এবার মন্ত্রিসভায় যে নতুন সাত জনকে সম্প্রসারণ করা হলো তার মধ্যে চারজনই নারী। আর এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভায় আটজন নারী অন্তর্ভুক্ত হলেন। 

আমরা যদি সংসদ উপনেতার কথা বিবেচনা করি তাহলে সেক্ষেত্রে এই সংখ্যা দাঁড়াবে নয়। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত সংখ্যক নারী কখনওই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এটি নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অন্য রেকর্ড বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী পদে মাত্র দুইজন নারী রয়েছেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। 

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ২০ বছর ধরে এই নারীর ক্ষমতায়নের এক নীরব বিপ্লব চলছে। এই বিপ্লবের একটি অর্জন এবার মন্ত্রিসভায় রেকর্ড সংখ্যক নারী মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসেন তখনও তিনি হাইকোর্টে প্রথম নারী বিচারপতি নিয়োগ করেন। তার আগে কেউ জেলা প্রশাসক পদেও নারীদেরকে নিয়োগ দেননি। শেখ হাসিনাই প্রথম যিনি সচিব পদে নারীদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করেন। এখন বেশ কয়েকজন সচিব নারী।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করেন। তিনি মাঠ পুলিশে নারীদেরকে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। আস্তে আস্তে কর্মক্ষেত্রের সকল শাখায় নারীদের অংশগ্রহণ এবং নারীদের ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য তিনি নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। 

উল্লেখ্য যে, জাতীয় সংসদের এখন স্পিকারও নারী। এই হিসাবে বাংলাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে নারীদের প্রভাব এবং অংশগ্রহণ দুটিই বেড়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যে সমস্ত নারীদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যোগ্যতা দিয়েই। তারা নারী এজন্য আলাদা কোনো ছাড় পাবেন না। বরং ভালো কাজ দিয়ে তাদের প্রধানমন্ত্রীর যে আস্থা সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে বলে মনে করছেন নারী বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন যে, নারীদেরকে এখনও এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর। নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এখনও অনেক বাধা রয়েছে। এখনও নারীরা গৃহবন্দি এবং শৃঙ্খলিত। এক্ষেত্রে মন্ত্রিসভায় নারী সদস্যদের সংখ্যাধিক তাদেরকে একটি প্রেরণা দিবে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নারী জনগোষ্ঠী এ থেকে অনুপ্রাণিত হবে। এছাড়া নারীরা নারীদের জন্য পথ আরও সুগম করবেন, নারী বান্ধব একটি সমাজ এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের কাজ করবেন এই প্রত্যাশাই করেন নারী জাগরণে জন্য কর্মরত নারী নেত্রীরা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭