এডিটর’স মাইন্ড

এতো ভয় দেখান কেন


প্রকাশ: 01/03/2024


Thumbnail

ছোট বেলায় খুব ডানপিটে ছিলাম। বন্ধুদের সাথে কাঁদা মেখে ফুটবল খেলতাম। ভরদুপুরে পুকুরে সাঁতার কাঁটতাম। পড়াশুনার ধারে কাছেও ছিলাম না। আমার এই বহেমিয়ান শিশুকাল দেখে মুরুব্বীরা ভয় দেখাতেন। ‘এই ছেলের লেখা পড়া হবে না। একে হাল চাষ করে খেতে হবে।’ আমি ভয়ে আঁতকে উঠতাম। প্রায়ই স্বপ্নে দেখতাম আমি হাল চাষ করছি। মাঝে মাঝে স্বপ্নে নিজেকে নাপিত হিসেবেও দেখতাম। জেলা স্কুলে ভর্তি হলাম। কিন্তু তাতে আমার দুরন্তপনা এতোটুক কমেনি। গুরুজনরা বাবা-মাকে পরামর্শ দিলো, একে মানুষ করতে হলে ক্যাডেট কলেজে পাঠিয়ে দাও। কিন্তু ক্যাডেট কলেজে ভর্তি কি এতো সোজা। আত্মীয়-স্বজনরাই ভয় দেখালেন। তারপরও ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। কেউ কেউ বললেন, ‘ওর হবে না।’ কিন্তু কি আশ্চর্য আমি ঠিকই ক্যাডেট কলেজে চান্স পেলাম। পড়াশুনা এবং দুষ্টমি রেল লাইনের মতো সমান্তরাল ধারায় চলতে থাকলো। এবার এসএসসি পরীক্ষার পালা। 

আমার দুই মামাকে ছোট বেলায় দেখেছি এসএসসি পরীক্ষার আগে বাড়িতে রীতিমতো কেয়ামত করে ফেলেছিলেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে চিৎকার করে সারা দিনরাত পড়তেন। ডিম খেতেন এক হালি। দু গ্লাস দুধ খেতেন অংক ঠিক ঠাক মতো করার জন্য। সাথে নানা রকম গাছগাছালী। এক মামা গলায় তাবিজও লাগিয়েছিলেন। এসময় নানা বাড়িতে রীতিমতো কারফিউ জারি করা হয়েছিল। কেউ জোরে কথা বলতোনা, পাছে পরীক্ষার্থীর পড়াশুনার ক্ষতি হয়। সবাই পা টিপে হাটতো। এরকম এক সময়ে গ্রীষ্মের ছুটিতে গিয়ে আমি রীতিমতো আঁতকে উঠেছিলাম। সেদিন মনে মনে ভেবেছিলাম জীবনেও এতো কঠিন লেখাপড়া করতে পারবো না। আমার এসএসসি পাশ করাও হবে না। এসএসসি পরীক্ষার আগে সবাই ভয় দেখালো। আমার লেখাপড়ায় মন নেই, এনিয়ে নানা জনের হতাশা। পরীক্ষা দিলাম। রেজাল্টের দিন দেখলাম আমি মেধা তালিকায় ষষ্ঠ হয়েছি। কি আশ্চর্য কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে দেখি চারপাশে বন্ধু বান্ধবরা কেউ কথা বলে না। সবাই কোচিং এ ব্যস্ত। সারাদিন বই এর মধ্যে ডুবে থাকে। 

ঢাকায় এসে আমি উঠলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফজলে রাব্বী হলের ৯ নম্বর রুমে। এই রুমের অধিপতি জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু। এটা যেন রুম না লঙ্গর খানা। খাট নেই, চাদর বিছিয়ে শোয়ার ব্যবস্থা হয় রাতে। দিনে সবাই বাইরে থাকে। আমাদের ক্যাডেট কলেজের সিনিয়র রুমী ভাইয়ের কল্যাণে এখানে জায়গা পেয়েছিলাম। সবাই লাইব্রেরীতে ভর্তির পড়া পড়ে। আমি পড়ি গল্পের বই, বায়োগ্রাফি। বলাকা, গুলিস্তান সিনেমা হলে ছবি দেখি। বড় ভাইরা বললো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হলে অন্য কোথাও চেষ্টা কর। রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ইত্যাদি। আমি কোথাও পরীক্ষা দিলাম না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে রংপুরে চলে গেলাম। আমার বন্ধু তাহের আলীর আড্ডায়। হঠাৎ একদিন ঢাকা থেকে ফোন করলো বড় ভাইয়া। বললো, তুই তো ভালোই রেজাল্ট করেছিস। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়লাম। এবার সবাই ভয় দেখালো, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অনেক কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করলাম। চাকরি করলাম। নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললাম। কিন্তু ভয় দেখানো মানুষেরা পিছু ছাড়লো না। এখনও মানুষ ভয় দেখায়। বয়স হচ্ছে শরীরের যত্ম নাও। নিজের একটা ফ্ল্যাট কর। সঞ্চয় কর। পিছনে ফিরে তাকিয়ে মনে হলো, ভয় পেয়েই জীবনটা কেটে গেল।

না, নিজের জীবন কাহিনী লিখতে বসিনি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের পর এক বিরোধী দলের নেতার সাথে টেলি আলাপের প্রেক্ষিতে ‘ভয়ের সংস্কৃতি’র মধ্যে বেড়ে ওঠা ছোট্ট জীবনটা স্মৃতির পর্দায় ভেসে উঠলো। আমি ঐ নেতাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যুক্তরাষ্ট্র কেন ইউটার্ন নিলো? গুরুগম্ভীর ভঙ্গিতে ঐ নেতা আমাকে বললেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখনও কিছু পরিকল্পনা করছে। সামনে ভয়ংকর কিছু করবে।’ আবার ভয়। আমার জীবনের মতো ‘বাংলাদেশ’কে সবাই সারাজীবন ভয় দেখিয়েই গেল। আর এই অপরূপা দেশটি ভয়কে জয় করেই এগিয়ে চলছে অবিরত।

ভাষা আন্দোলনের সময় বলা হলো, বাঙালীরা এসব আন্দোলন করে কি পারবে নিজের ভাষাকে বাঁচাতে? কিন্তু তরুণরা বুকের রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায় করলো। টুঙ্গিপাড়ার অজো পাড়া-গাঁ থেকে উঠে আসা এক তরুণ বাঙালীর মুক্তির দাবী উচ্চারণ করলো। বাঙালীর অধিকারের কথা বললো। সবাই বললেন, এতো সব বড় বড় সব নেতা আছেন, হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী-এদের ছাপিয়ে এই পুচকে তরুণ নেতা হবে? কিন্তু অমিত সাহস আর দেশ প্রেমকে পুজি করে শেখ মুজিব হয়ে উঠলেন বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু যখন ছয়দফা ঘোষণা করলেন, তখন তাচ্ছিল্যের হাসির লোকের অভাব হয়নি। অনেকে বলেছিলেন, এসব পাগলামী। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধও এর মধ্যে খুঁজেছিলেন অনেকে। কিন্তু ছয় দফাই হয়ে উঠেছিল বাঙালীর মুক্তি সনদ। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পর ভয় দেখানোর লোকের অভাব হয়নি। অনেকেই মুজিবের রাজনীতির সমাপ্তি দেখেছিলেন। কিন্তু বন্দী মুজিব হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। আগরতলা মামলা শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধুতে রূপান্তর করেছিল। ৭১ এ ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের পর ভয়ে কুঁচকে অনেকে বলেছিলেন ‘সব শেষ’। বাঙালী জাতির নাম নিছানা মুছে দেবে পাকিস্তানিরা। লাঠি সোটা নিয়ে লুঙ্গিপড়া ভেতোঁ বাঙালী কিনা যুদ্ধ করবে পৃথিবীর অন্যতম সেরা সামরিক শক্তির সাথে? কি তাজ্জব কথা! কিন্তু বীর বাঙালী নয় মাসের যুদ্ধে ভয়কে জয় করেছিল। প্রমাণ করেছিল, বাঙালী জাতিকে দাবায়ে রাখা যায় না। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ভয়কে জয় করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্দয় হলো। কিন্তু ভয় দেখানো ভুতরা বাংলাদেশের পিছু ছাড়লো না। বলা হলো, বাংলাদেশ টিকবে না। এটা হবে দারিদ্রের মডেল। হেনরি কিসিঞ্জার বললেন, বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুঁড়ি। জাদরেল মার্কিন অর্থনীতিবিদ ভ্রু কুচকে বললো, বাংলাদেশ ঠিকবে না। কিন্তু বাংলাদেশ টিকে আছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। 

৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ উল্টো পথে হাটতে শুরু করলো। আবার ‘ভয়’ দেখানোর উৎসব শুরু হলো। আওয়ামী লীগ কবে বিলুপ্ত হবে তা নিয়ে গবেষণা চললো। পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আওয়াজ উঠলো। কিন্তু ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা ভয়কে জয় করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলেন। তিনি যেন দেশে না ফেরেন এজন্য কত ভয় দেখানো হলো তার ইয়াত্তা নেই। কিন্তু ভয়ের টুটি চেপে ধরেই শেখ হাসিনা পিতার রক্তে ভেজা মাটি স্পর্শ করলেন। নতুন করে শুরু করলেন গণতন্ত্রের সংগ্রাম। মুক্তির আন্দোলন। আবার ‘ভয়’ এর ভুতরা নৃত্য শুরু করলো। ‘শেখ হাসিনা ভুল করছেন’। ‘তাকে দিয়ে হবে না।’ ‘রাজনীতি কি ছেলে খেলা’- ইত্যাদি কত কথা। সব শঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করে ৯৬ এর নির্বাচনে জয়ী হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। দীর্ঘ ২১ বছর আবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আবার শুরু হয় ভয় দেখানো। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ভালো, দেশ পরিচালনার যোগ্য না-এমন কথা বলার লোকের অভাব ছিলো না। বাংলাদেশ ভারতের দখলে চলে যাবে। দুর্ভিক্ষ গ্রাস করবে-ইত্যাদি কত ভবিষ্যৎ বাণী। আমরা আতঙ্কিত হলাম। ভয়ে কুকুড়ে থাকলাম। কিন্তু পাঁচ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করলেন অসম্ভব দক্ষতায়। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বলা হলো আওয়ামী লীগ শেষ। এই দলই আর থাকবে না। আওয়ামী লীগের ‘মুসলিম লীগে’ রূপান্তর নাকি সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরপরও আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাড়ালো। 

২০০৯ সালের সরকার গঠনের পর থেকে এপর্যন্ত ভয়ের ভুতের নৃত্য চলছে অবিরত। ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহের পর বলা হলো, সরকারের পতন হচ্ছে খুব শিগগিরই। আমরা ভয় পেলাম। সরকার টিকে থাকলো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর বলা হলো, এটা হজম করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। ‘শেখ হাসিনা নিজেই নিজের পতন ডেকে আনলেন।’ এমন কথা আওয়ামী লীগ শিবিরেও চর্চা হতে লাগলো। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর, ভয়ে আওয়ামী লীগেরই অনেকের ভয়ে ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির পর কিছুই হয়নি এই দেশে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের পর ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের অনেক বীর পুরুষ।। সরকার পতনের খোয়াব দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু হেফাজতই পরে খাঁচায় ঢুকে গেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ভয় দেখানো মানুষের সংখ্যাই ছিলো বেশী। যেই নির্বাচনের পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা মেয়াদ পূর্ণ করেন। এভাবে ভয় আর জোতিষীদের অনুমানের ফিরিস্তি দিলে আরব্য রজনীও হার মানবে। করোনার সময় ভয় দেখানো হলো, রাস্তায় নাকি লাশ পরে থাকবে। মৃত্যুর মিছিল হবে। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর এক কথক অর্থনীতিবিদ মুখ বেঁকিয়ে বললেন ‘বাংলাদেশ অচিরেই শ্রীলঙ্কা হবে।’ 

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে এক বাঁচাল সুজন ঘোষণা করলেন, দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে। কোন আশঙ্কাই সত্যি হলো না। তবে সত্যি সত্যি আমরা ভয় পেয়েছিলাম, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা দেখে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নির্বাচন নিয়ে মার্কিন হুমকির পর দেশজুড়ে ভয়ের কোরাস সঙ্গিত শুরু হয়েছিল। কার কার ভিসা বাতিল হলো এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চললো হৈ চৈ। বিদেশে বসে বাংলাদেশি গোয়েবলসরা প্রলাপ বকার নতুন রেকর্ড করলো। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কি কি করবে তারা ফিরিস্তি নিয়ে টেলিভিশনে সুশীলদের কর্কশ চিৎকারে রীতিমতো মাথা ধরে গেল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কাউন্ট-ডাউন চললো লাগাতার। বিএনপি নেতারা ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে আর বলে ‘ঘুম থেকে উঠলেই দেখবেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত।’ আহা কি আনন্দ। নির্বাচন বর্জন করে তারা চুপচাপ ঘরে বসে থাকলো। নির্বাচন হয়ে গেল। ভয় এবং আতঙ্কের ক্ষণগণনা শুরু হলো নতুন করে। সুশীলদের কথা শুনে মনে হলো, শিগগিরিই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে টর্নেডো। কিন্তু কোথায় কি? অভিনন্দনের বৃষ্টি শুরু হলো। এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত অভিনন্দন জানালেন শেখ হাসিনাকে। এরপরও শুরু হলো নানা ব্যাখা বিশ্লেষণ। বাইডেনের চিঠির মর্মার্থ উদ্ধারে যদি, কিন্তু আবিষ্কারের গবেষণা শুরু হলো। এর মধ্যেই এলেন তিন সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল। এবার ভয় সন্ত্রাসীরা বলা শুরু করলো, এবার হবে আসল খেলা। বাংলাদেশে এসেই নাকি আফরিন আক্তার বোমা ফাটাবেন। এমন বক্তব্য দিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবী তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন। ওমা কিসের বোমা, কিসের কি। মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক মেরামতে যেন মরিয়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাদের আন্তরিকতায় ‘ভয় বাদীরা’ কি কিঞ্চিত লজ্জিত?

আমাদের সমাজে কিছু নেতিবাচক মানুষ আছেন। এরা সব কিছুর মধ্যে ছিদ্র খোঁজেন। মানুষকে আতঙ্কিত করে এরা এক ধরনের পৈশাচিক আনন্দ পান। নৈরাশ্যবাদীদের আপনিও নিশ্চয়ই আপনার চলার পথে পেয়েছেন। সারাজীবন ভয়কে জয় করে আমি যেমন বেড়ে উঠেছি, তেমনি হয়তো অনেকেই। বাংলাদেশের গল্পটাও ভয়কে মিথ্যা প্রমাণের। বাংলাদেশ নিয়ে হতাশাবাদী, নিরাশাবদীদের ভবিষ্যৎ বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে বারবার। মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। জাগরণের মাস। আমাদের আত্ম পরিচয়ে উজ্জীবিত হবার মাস। এই মাসের শুরুতে যারা ভয় দেখিয়ে নিজেদের জ্ঞানী ভাবেন, তাদের বলতে ইচ্ছা করে ‘এতো ভয় দেখান কেন?’

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭