ইনসাইড গ্রাউন্ড

পর্দা নামলো বিপিএলের, কে পেল কোন পুরস্কার?


প্রকাশ: 02/03/2024


Thumbnail

অবশেষে পর্দা নামল প্রায় দেড়মাস ধরে চলা বিপিএলের দশম আসরের। শুক্রবার (১ মার্চ) এবারের আসরের গ্র্যান্ড ফাইনালে চারবারের শিরোপাজয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল।

গতকাল সন্ধ্যায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লার ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখেই কাঙ্খিত জয় তুলে নেয় তামিম বাহিনী। আর এতে করেই প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা জিতল বরিশাল।

বিপিএলের প্রতিটি আসরে দেখা যায় বিদেশি খেলোয়াড়ের আগমন। তাদের মাঠে চার-ছক্কার প্রদর্শনীও থাকে চোখে পড়ার মতো। তবে আগের আসরের মতো বিপিএলের দশম আসরেও বিদেশিদের আসা-যাওয়ার মাঝে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের উজ্জ্বলতায় এগিয়ে দেশীয়রা।

এবার চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও শিরোপা জেতার মঞ্চে কুমিল্লার খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ঠিকই নিজেদের আধিপত্য দেখিয়েছেন। অপরদিকে আসরে দুর্দান্ত ঢাকা বিদায় নিয়েছে গ্রুপপর্ব থেকেই। গ্রুপপর্ব পর্যন্ত খেললেও দলের ওপেনার নাঈম শেখ জিতেছেন সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার। ১২ ম্যাচে ৮টি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।

বিপিএলের দশম আসরটা দুর্দান্ত কেটেছে ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামেরও। দল ভালো না করলেও বল হাতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকার করেন এ পেসার। ফলস্বরূপ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির পুরস্কার পেয়েছেন শরিফুল।

এবারের আসরের ফাইনাল সেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কাইল মেয়ার্স। বরিশালের এই ক্রিকেটার ফাইনালে বল হাতে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে খেলেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস। শুধু ফাইনালই না, টুর্নামেন্টজুড়েই আলো ছড়িয়েছেন এ ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।

তবে এবার পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আলোচনায় ছিলেন দেশসেরা ওপেনার ও চ্যাম্পিয়ন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এর ফল হিসেবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার। ১৫ ম্যাচে ১২৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৯২ রান করেছেন তিনি। ফাইনালে তার ব্যাট থেকে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রান।

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেও কৃতিত্বটা একা নেননি তামিম। নিজ দলের দুই সতীর্থ মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ সহ পুরো দলের অবদানের কথা স্বীকার করে সকলকে ধন্যবাদ জানান দেশসেরা এই ওপেনার। সেই সাথে জেতা শিরোপাটাও উৎসর্গ করেন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহকেই। 

ফাইনাল ম্যাচ শেষে বিজয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে তামিমের কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে তামিম প্রথমেই বলেন, ‘এটাকে আসলে মুশির ট্রফিই বলা যায়। কারণ মুশি মাঠে বিরাট কাজ করেছে। সে সব সময় ফিল্ডার পাল্টেছে। এটা তারই ট্রফি। আমি অধিনায়ক হওয়ার কারণে কৃতিত্বটা দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক চাপ থাকে। মুশি আমার থেকে চাপ দূর করেছে। এটা মুশি, রিয়াদসহ (মাহমুদউল্লাহ) বাকিদের ছাড়া সম্ভব হতো না।’ 

এসময় বন্ধু ও সতীর্থ তামিমকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহও। মুশফিক বলেন, ‘এটা আমার তৃতীয় ফাইনাল এবং প্রথমবার জিতলাম। খুব ভালো নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তামিমকে ধন্যবাদ।’ মাহমুদউল্লাহর কথা, ‘সত্যি খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে। সবার প্রথমে আমি তামিমকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭