ইনসাইড থট

ইফতার পার্টি না করতে শেখ হাসিনার নির্দেশ: নেপথ্যে দার্শনিক ভিত্তি


প্রকাশ: 02/03/2024


Thumbnail

রমজান মাস হলো সংযমের মাস। সংযম হিসেবেই আমরা রোজা রাখবো আর ইফতারের নামে ইফতার বিলাশ করবো এটা একটা আরেকটার সাথে বিশেষ করে বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক বিচারে মানায় না। সম্প্রতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। কি জন্য বারবার তাকে দার্শনিক বলি এটাই হচ্ছে তার বড় প্রমাণ। তিনি দেখলেন যে, যদি ইফতার বিলাশ বন্ধ না করা যায় তাহলে দুটি দিক ক্ষতি হবে। একটি হচ্ছে রোজার মাসে যে সংযম করার কথা সেটা হবে না। অন্যটি হলো ইফতার বিলাশের আড়ালে অপচয় হবে। ইফতার পার্টি না করলে অপচয় রোধ হবে। এই অপচয়কে রোধ করতে না পারলে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়বে। আপাতত দৃষ্টিতে দার্শনিক শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তটিকে ছোট মনে হলেও এর বিশাল একটা দার্শনিক ভিত্তি আছে। 

মানানীয় প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান আমাদেরকে জানিয়েছেন আমরা যদি এই আহ্বান পালন করি তাহলে রোজার মাসে কোন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। তখন আর পেঁয়াজের দামও বাড়াতে পারবে না। বেগুনির নামে বেগুনের দামও আর বাড়াতে পারবে না। কারণ এতোদিন পর্যন্ত বড় বড় ইফতার পার্টিতে আমরা দেখেছি যে অপচয়ই হয় বেশি। কারণ দাওয়াত করলে পার্টিতে অনেক কিছুর আয়োজন করা হয়। কোন কোন সময় সেটা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি করা হয়। অথচ ইফতার যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। রোজার মাসে আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযম করতে হবে। এই কারণেই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, অপচয় করা যাবে না এবং ইফতার বিলাশ বন্ধ করতে হবে। এজন্য তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। 

আমরা যদি সঠিকভাবে সংযম করতে পারি তাহলে দেশের বাইরে থেকে আমাদের অনেক কিছু আমদানি করতে হবে না। এর ফলে আমাদের ডলারেরও অপচয় রোধ করা হবে। কারণ অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস আমরা আমদানি করে থাকি যা আসলে দরকারই নয়। ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ দিয়ে দার্শনিক শেখ হাসিনার ধর্মের সাথে জাগতিক বিষয়ের একটা অসাধারণ সমন্বয় ঘটালেন। এর ফলে উনি আমাদের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করলেন। এতে বুঝা যায় যে, তিনি সত্যিকারে কতটুকু ধার্মিক। একজন সত্যিকারের ধার্মিক না হলে তার পক্ষে রোজার মাসে এ ধরনের নির্দেশ নিশ্চিয় আসত না। প্রতিটি জিনিসের ক্ষেত্রে দার্শনিক শেখ হাসিনা মাইক্রো লেভেল পর্যন্ত খোঁজ খরব রাখন এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি আমাদের দেখালেন যে, আমরা যদি ইফতার বিলাশ বন্ধ করি তাহলে শুধু অপচয় রোধই হবে না, এর ফলে জিনিসপত্রের দাম যেমন বাড়বে না তেমনি ডলারের অপচয় রোধ হবে। ফলে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী একটি পিলারের ওপর দাঁড়াতে পারবে। সুতরাং এই নির্দেশ আমাদের অবশ্যই মানতে হবে। এর সুদূরপ্রসারী একটি ফল পাবে বাঙালিরা। এই নির্দেশ মানার ফলে অপচয় না করার একটা অভ্যাস আমাদের মধ্যে তৈরি হবে এই এক মাসে। ফলে আমাদের অপ্রয়োজনীয় অনেক খরচই কমে আসবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা বিলাশ বহুল অনেক জিনিস আমদানি করি যার কোন প্রয়োজন নেই। এই যে অপচয় করার অভ্যাস এই অভ্যাস থেকে আমাদের মুক্তি হবে যদি আমরা শেখ হাসিনার নির্দেশ মানি। আমাদের রোজার মাসের যাত্রাটাও অনেক সুন্দর হবে। আমরা দার্শনিক শেখ হাসিনার নির্দেশ মানলে আমাদের আর শুনতে হবে না যে, কালকে পেঁয়াজ নাই, পরশু দিন পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সুতরাং অপচয় বন্ধের আমরা যে নির্দেশনা পেয়েছি আমরা যদি এটা পালন করি তাহলে আমরা ধর্মের সাথে আমাদের জাগতিক বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে মেলাতে পারব এবং আমাদের জীবনযাত্রায় অভূতপূর্ব ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭