ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার বাংলাদেশ নিয়ে তৎপর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


প্রকাশ: 03/03/2024


Thumbnail

নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ইস্যুতে নীরবতা পালন শুরু করেছিল। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে ইউটার্ন প্রথম লক্ষ্য করা যায়। এই সময় হঠাৎ করেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুপচাপ হয়ে যায়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যিনি সবসময় ব্যস্ত থাকতেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর তিনি অনেকটাই তার তৎপরতা কমিয়ে দেন। এরপর তিনি অবশ্য রাজনৈতিক সংলাপ নিয়ে তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডোনাল্ড লু এর একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। 

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে মন্তব্য করে কিন্তু বাংলাদেশের ওপর কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো রকম নেতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই নির্বাচনের কিছুদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। এর পরপরই আফরিন আক্তার সহ তিন সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন এবং সেখানে তারা বিএনপি-আওয়ামী বিরোধী কট্টরপন্থী কয়েকজন সুশীল এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। অতীতের ভুল বোঝাবুঝি পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়। কিন্তু একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানাচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে তাদের তৎপরতা শেষ করেনি। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বাংলাদেশের ব্যাপারে তৎপর হচ্ছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে মাথা ঘামাচ্ছে বলেও একাধিক সূত্র মনে করছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরামর্শ দিয়েছে এবং নতুন করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 

তাছাড়া বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার নতুন করে তৎপরতা শুরু করছে। বাংলাদেশের মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ড. ইউনূস ইস্যুটিকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে এবং এই ইস্যুটি নিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে নতুন করে আলাপ আলোচনা করতে চাচ্ছে। 

তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সরকারের ওপর কোন ধরনের চাপ দেবে না। বরং আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তারা বিদ্যমান ইস্যুগুলোকে সমাধানের জন্য চেষ্টা করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যে ইস্যু গুলোকে সামনে আনছে তা হলো- বিরোধী দলের রাজনীতি করার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তারা সরকারকে পরামর্শ দিবে। আটক নেতাকর্মীদেরকে যেন মুক্তি দেওয়া হয় এবং রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ করা হয় সে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে। মানবাধিকার যেন সংরক্ষিত হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেন কমে আসে সে বিষয়টি নিয়েও তারা সরকারের সাথে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করবে। 

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ড. ইউনূস যেন ন্যায় বিচার পান এবং তার বিচার যেন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয় সে ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগ্ৰহ দেখাবে। আর এই সবকিছু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন করে তৎপর হচ্ছেন বলেও একাধিক সূত্র মনে করছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭