ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত


প্রকাশ: 03/03/2024


Thumbnail

বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। বিএনপির সঙ্গে একমত হয়ে দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি জামায়াত। এমনকি নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচিতে অগ্রভাগে ছিল ইসলামী এই দলটি।

বিএনপির বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে, জামায়াতের পরামর্শেই বিএনপি নির্বাচনের আগে আগে জ্বালাও পোড়াও এর মতো সহিংস কর্মসূচিতে যায় এবং রেলে পরিকল্পিত সহিংসতা ঘটায়। আর এ ধরনের সহিংসতার পথ বেছে নেওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে নির্বাচন বানচালের যে পরিকল্পনা বিএনপি নিয়েছিল সেটি ভেস্তে যায় শেষ পর্যন্ত পশ্চিমাদের সমর্থন না পাওয়ার কারণে। এ নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তবে এবার সে দূরত্ব ঘোচানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি এবং জামায়াত।

উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগ আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে দলগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। কোন প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হবে না। এমনকি, এমপি-মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতারা কোন প্রার্থীকে প্রকাশ্য সমর্থনও দিতে পারবেন না। ফলে এবার উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীক ছাড়াই। আর এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে বিএনপি-জামায়াত উভয়ই।

বিএনপি এবং জামায়াতের নীতিনির্ধারক মহল মনে করছে যে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর বিশেষ করে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। ফলে সাংগঠনিক ভাবেও উভয় দলই এখন বিপর্যস্ত। এরকম বাস্তবতায় উপজেলা নির্বাচনকে সংগঠন গোছানোর সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি এবং জামায়াত জোট। আর এই বিবেচনা থেকে ইতোমধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা করবে না। তারা বিষয়টিকে দলীয় ভাবে উপেক্ষা করবে। দলগত ভাবে বিএনপি এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিবে না। যে যার মতো করে নির্বাচন করবে এবং ব্যক্তিগত ভাবে বিএনপির যে সমস্ত নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চায় বা আগ্রহী ইতোমধ্যে বিএনপির হাইকমান্ড থেকে তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে তারা প্রকাশ্যে কোন তৎপরতা চালাবে না বলেও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কারও বিরুদ্ধে দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নেবে না।

এদিকে বিএনপির মিত্র জামায়াতের যেহেতু নিবন্ধন নেই তাই জামায়াতও উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিএনপির মতো তারাও ব্যক্তি পর্যায়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক এমন প্রার্থীদেরকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি এবং জামায়াত এক সঙ্গে কাজও শুরু করেছে। বিশেষ করে নির্বাচনে জয় সুনিশ্চিত করতে যেখানে যেখানে বিএনপির প্রার্থী থাকবে সেখানে যেন জামায়াতের কোন প্রার্থী না দাঁড়ায় সেটি বিষয়টি নিয়ে দুই দলই এক সঙ্গে কাজ করছে বলে জানা গেছে। উপজেলা নিয়ে ইতোমধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে অন্তত তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে এভাবেই বিএনপি-জামায়াত আবার একত্র হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এখন দেখার বিষয় উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত কি চমক দেখায়।




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭