এডিটর’স মাইন্ড

সবচেয়ে সস্তা এখন মানুষের জীবন


প্রকাশ: 04/03/2024


Thumbnail

বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যেদিন (২৯ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো, সেদিন রাতেই ভয়ংকর দুর্ঘটনায় বেইলি রোডে প্রাণ হারালেন বহু নিরীহ মানুষ। বাংলাদেশে গ্যাস দুর্ঘটনা, আগুন লাগা ইত্যাদি নানা বিপর্যয়ে মানুষের মৃত্যু যেন এখন এক স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কয়েক মাস পরপর গ্যাস বিস্ফোরণ, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট, রহস্যময় আগুনে বহু প্রাণ যায়। কিছুদিন চলে হৈচৈ। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। অনিয়ম বন্ধে অঙ্গীকারের দীর্ঘ তালিকা তৈরি হয়। কিছু মানবিক বিপর্যয়ের গল্প আমরা সংবাদপত্রে পড়ি। ব্যস, তারপর সব ঠিকঠাক।

সবকিছু চলে আগের মতোই। কেউ দায় নেয় না, কারও বিচার হয় না, অনিয়ম বন্ধ হয় না। আমরা অপেক্ষা করি, আরেকটি বড় দুর্ঘটনার। বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন—মনে হচ্ছে অন্ধকার যুগে বাস করছি। এসব দুর্ঘটনায় যারা মারা যান, তাদের খবর পরে কেউ রাখে না। প্রতি বছর ঘটা করে এরকম বিপর্যয় আমাদের সামনে আসে। মানুষের মৃত্যু হয়, আমরা আর্তনাদ করি। তারপর...। নিমতলী, চুড়িহাট্টা, বনানী এফআর টাওয়ার, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, মগবাজার দুর্ঘটনার এই তালিকা দীর্ঘ। এসব ঘটনা প্রমাণ করেছে আমাদের জীবন কত তুচ্ছ, মূল্যহীন। এসব ট্র্যাজেডিতে যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের পরিবারগুলোর খবর কজন রেখেছে? এসব হৃদয়বিদারক ঘটনার পর সরকার কোথাও কোথাও নিহত পরিবারকে যৎসামান্য আর্থিক সহায়তা দেয়। কিন্তু এত নগণ্য যে, যারা এসব চেক বা টাকা হস্তান্তর করেন, তারাও লজ্জায় কুণ্ঠিত থাকেন।

বেইলি রোডে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পরিবারের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো আর্থিক অনুদানের ঘোষণা জানা যায়নি। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার পর নিহতদের পরিবার পায় একদিনের সান্ত্বনা। সাধারণ মানুষের চোখের জল আর মিডিয়ার প্রচারণা। কোথাও এক লাখ, কোথাও পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক কিংবা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। এক লাখ টাকায় কত কেজি চাল কিনতে পাওয়া যায়? কত কেজি পেঁয়াজ হয় এই টাকায়? বাজারে জিনিসপত্রের দামের সঙ্গে একটি জীবনের দাম মেলালে দেখা যায়, জীবনের মূল্যই সবচেয়ে সস্তা, সুলভ। এরকম হিসাব মাথায় এলো এ কারণে যে, মুদ্রাস্ফীতির চাপে মানুষ এখন পিষ্ট। বাজারে গিয়ে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের দম বন্ধ হয়ে আসে। ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বাজারের ফর্দ।

এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। প্রতিমন্ত্রী অবশ্য একে মূল্যবৃদ্ধি বলতে শরম পান। তিনি বলেন দাম সমন্বয়। বাংলাদেশে দাম সমন্বয় এক অদ্ভুত গণিত। সমন্বয়ে শুধু মূল্য বাড়ে, কমে না। পেট্রোল, অকটেনের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও দাম কমেনি বাংলাদেশে। এই দেশে কোনো কিছুর দাম বাড়লে সেটি আর কমে না। স্থিতিশীল থাকলেই মানুষ স্বস্তি পায়। সামনে রোজা। সবকিছুর দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দৃশ্যত বাজারের ওপর কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজারের ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় কি না, তা নিয়েও আজকাল জনগণের সন্দেহ। গত মেয়াদে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন এক অর্বাচীন বাঁচাল।

পাঁচ বছরে তিনি বাজার ব্যবস্থাপনার সর্বনাশ করেছেন। বাজারকে তুলে দিয়েছেন সিন্ডিকেটের হাতে। সেই সিন্ডিকেট এখন দানবে পরিণত হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের অভিযান হয় বটে। কিন্তু ফল হয় হিতে-বিপরীত। জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ে। মজুতদাররা আরও সতর্ক হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটকে গণধোলাই দিতে। এ থেকে বোঝা যায় সিন্ডিকেট কত শক্তিশালী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয় সিন্ডিকেটের কাছে বশীভূত অথবা অসহায়। এজন্য জনগণের প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সিন্ডিকেটের কাছে জনগণও অসহায়। গত পাঁচ বছরে টিপু মুন্সির উদ্ভট মন্ত্রিত্বের অবসানের পর আশা করেছিলাম এবার একজন দক্ষ, যোগ্য মন্ত্রী দেওয়া হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। সরকার এই মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল নেতাকে দেবে। এরকম বহু ব্যক্তি আওয়ামী লীগে আছেন, যারা ব্যবসায়ী, মজুতদারদের বেপরোয়া মুনাফার লাগাম টেনে ধরতে পারবেন। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীও দেওয়া হলো না। অনভিজ্ঞ এক তরুণের হাতে তুলে দেওয়া হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়টি। নতুন বালক পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে যেমন পানিতে হাবুডুবু খায়, বর্তমান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর হয়েছে সেই হাল। নতুন সরকারের কথা আর কাজের অসামঞ্জস্যতা এখানে বিকটভাবে ধরা দেয়। আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিল যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ তাদের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার।

১১ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রত্যেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন। কিন্তু সরকারের এ আগ্রহের প্রতিফলন দেখা যায়নি মন্ত্রিসভার দপ্তর বণ্টনে। এটি যদি সরকারের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুই হয়, তাহলে এখানে কেন সিনিয়র মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হলো না? এরকম সংকট মোকাবিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতার এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিলে জনগণ আশ্বস্ত হতো। তারা বুঝত যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সত্যিই আন্তরিক। কিন্তু তা হয়নি। তা ছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শুধু সিন্ডিকেটের কারণে হয় না। বিদ্যুতের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়বেই। চালের দাম বাড়লে শাকসবজির দাম বাড়বে। পুরো বাজার অস্থির হবে। পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। একটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আরেকটি পণ্যের দাম বাড়ার কারণ। সরকার বাজার ব্যবস্থাপনা, পরিবহন খাতে নৈরাজ্য এসব বন্ধের উদ্যোগ না নিলে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে পারবে না। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষণা দিয়ে কিছু জিনিসের দাম বাড়াচ্ছে। সরকারি সেবা সংস্থাগুলোতে যেন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যে ওয়াসা সাধারণ মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে পারে না, তারা পানির দাম বাড়াতে চায়।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের মূল্য আরেক দফা বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো চিনির মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আবার সরে এসেছে বটে, কিন্তু ততক্ষণে অঘটন যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। সরকারের এসব সিদ্ধান্তের প্রভাব চাল-ডাল-পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে পড়বেই। এটা অর্থনীতির সাধারণ সূত্র। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ভর্তুকি সংস্কৃতি থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে চাইছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি বন্ধে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ ঋণদাতাদের বড় চাপ আছে। সরকারের রাজস্ব আহরণ ঠিকঠাকমতো হচ্ছে না। ঋণে জর্জরিত অর্থনীতি বাঁচাতে জনগণের ওপর চড়াও হওয়ার সহজ পথ বেছে নিয়েছে সরকার। ভর্তুকি কমিয়ে, কর বাড়িয়ে ঘাটতি মেটানোর কৌশল পুরোনো ও বস্তাপচা। এর মধ্যে কোনো সৃজনশীলতা নেই। এই পথ গণবিরোধী ও স্ববিরোধীও বটে, একদিকে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে, অন্যদিকে আবার সরকারই সেবা খাতে মূল্য বাড়াচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কেউ বলছেন, সংকট মোকাবিলায় বাধ্য হয়েই সরকারকে এটা করতে হচ্ছে। সরকার উপায়হীন। কিন্তু আসলে কি সরকার উপায়হীন? সরকারের হাতে কি আর কোনো বিকল্প ছিল না? আমি মনে করি, সংকট মোকাবিলায় সরকারের কাছে আরও বিকল্প আছে। জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি না করেই সরকার অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে পারে। খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর হচ্ছে না কেন? ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা জনগণের টাকা লুণ্ঠন করে রাজার হালে আছে। ব্যাংক লুটের টাকায় তারা বিলাসী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ সংসদেও জায়গা করে নিয়েছে। এসব লুটেরার বিরুদ্ধে সরকার কেন অসহায়? খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি কমিয়ে আনলে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। অর্থ পাচারকারী লুটেরাদের ব্যাপারে সরকার নির্মোহ এবং কঠোর হতে পারছে না কেন? কারা অর্থ পাচার করেছে সবাই জানে। বিদেশে কার কোথায় সম্পদ কারও অজানা নয়। সুইস ব্যাংকে টাকা উদ্ধারে সরকার কি কোনো ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? কদিন আগে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন নিয়ে দেশ-বিদেশে হৈচৈ হলো। সাবেক এক মন্ত্রীর লন্ডনে সম্পদের ফিরিস্তি দেখে গোটা জাতি হতবাক। কিন্তু এ খবর প্রকাশের পর সরকার নীরব কেন? ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লন্ডনে গেল কোন পথে? আওয়ামী লীগ সরকার কেন এসব অনিয়মকে প্রশ্রয় দিচ্ছে? এসব অপকর্মের ভাগীদার হচ্ছে। খেলাপি ঋণ, অর্থ পাচার আর দুর্নীতি বন্ধ করলে বাংলাদেশের অর্থনীতির এ বিবর্ণ চেহারা থাকবে না; এটা সবাই জানে। কিন্তু তারপরও সরকার এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন জনগণের ওপর নিত্যনতুন বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে?

কালো অর্থনীতিতে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যখন বাড়ে তখন ঘুষের রেটও বাড়ে। বাংলাদেশেও এখন ঘুষের পরিমাণ বেড়েছে। টেন্ডার থেকে শুরু করে চাকরি, ব্যবসা থেকে পদোন্নতি সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধির আওয়াজ শোনা যায়। রাজনীতিতেও মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ বোঝা যায়।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কোন কোন প্রার্থী শতকোটি টাকা খরচ করে বিজয়ী হয়েছেন, এমন খবর রাজনীতির আড্ডায় কান পাতলেই শোনা যায়। রাজনৈতিক দলের কোনো কমিটিতে ঢুকতেও এখন আগের চেয়ে বেশি টাকা গুনতে হয়। মূল্যবৃদ্ধি কোথায় নেই? চাল থেকে নুন। মাছ-মাংস-ডিম-দুধ। বিদ্যুতের দাম থেকে বাসের ভাড়া। স্কুলের বেতনসহ হাসপাতালের চিকিৎসা। এমনকি ভিক্ষুকের দানেও এখন মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ। এমন কোনো পণ্য নেই যার মূল্য বৃদ্ধি হয়নি। শুধু একটি ছাড়া—একমাত্র জীবনের মূল্য কমছে। মানুষের দাম বাড়ছে না। এক কেজি পেঁয়াজের চেয়েও সস্তা মানুষের জীবন। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই মানুষের জীবন ক্রমেই মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। গাজায়, মধ্যপ্রাচ্যে, ইউক্রেনে। মানবতার আর্তনাদ আজ বিশ্বজুড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে মানুষের মৃত্যু যেন পাখির পালক পড়ার মতো। আমরা যেন বাস করছি এক মৃত্যু উপত্যকায়। আপনি সাবধানে গাড়ি নিয়ে আধুনিক সড়কে বাড়িতে ফিরতে যাবেন, হঠাৎ নির্মাণাধীন রড, ইট কিংবা গার্ডার পড়বে আপনার ওপর। কেউ আপনার মৃত্যুর দায় নেবে না। আপনি মূল্যহীন। আপনার সন্তানকে আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাবেন সুন্নতে খতনার জন্য। তার মৃত্যু হবে অবহেলা, অযোগ্য চিকিৎসকের হাতে। জীবন মূল্যহীন। কফি পানের জন্য আপনি কোনো অভিজাত রেস্তোরাঁয় যাবেন। আপনি ফিরবেন লাশ হয়ে। এভাবেই মানুষের জীবন হয়ে যাচ্ছে মূল্যহীন। সবকিছু দামি, বাড়ছে সবকিছুর দাম, তুচ্ছ শুধু মানুষের জীবন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭