ইনসাইড বাংলাদেশ

মসিক নির্বাচনে মেয়র পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কে?


প্রকাশ: 06/03/2024


Thumbnail

আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন পাঁচজন। ভোট যুদ্ধের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আগামী শনিবার (৯ মার্চ)  নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেয়নি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৩ নেতা।

মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক (ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেসামুল আলম (ঘোড়া) এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি (টজু) হাতি। এছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (লাঙ্গল) ও কৃষিবিদ রেজাউল হক (হরিণ) প্রতীক নিয়ে শেষমূহর্তের ভোটের মাঠে প্রচারণায় ব্যস্ত থেকে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

তবে, সবকিছু ছাপিয়ে ভোটের মাঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সাবেক মেয়র ইকরামুল হক। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলবদ্ধতা দূরীকরণ, অবকাঠামো ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ময়মনসিংহ সিটির অকল্পনীয় উন্নয়ন, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় অন্য প্রার্থীদের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে টিটু।

মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও নগরবাসীর মুখে মুখে এখন শুধু তিন প্রার্থীর নাম। বিকালে লিফলেট হাতে নিয়ে নগরীর নাসিরাবাদ কলেজ রোড এলাকার সেনবাড়ি, চুকাইতলাসহ আশপাশের গলিতে হাত মিলিয়ে, কুশল বিনিময় করে এবং ২৩ দফা ইশতেহারের লিফলেট তুলে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার দাবি জানান তিনি।

অপরদিকে হাতি প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা অনেকটা ক্লিন ইমেজের প্রার্থী সাদেকুল হক খান (টজু) বিকালে নগরীর সিকদার বাড়ি, আরকে মিশন রোড এলাকার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরেন। তিনি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনকে একটি আধুনিক ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, নগরীর বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখাসহ ১৫ দফা উন্নয়নের ইশতেহার সংবলিত লিফলেট তুলে দেন।

এছাড়া দুপুরে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম নগরীর উন্নয়নে ২০ দফা ইশতেহার সংবলিত লিফলেট ভোটারদের হাতে তুলে দেন। মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করছেন তিনি।

নগরীর গোলকিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান পেশায় একটি ঔষধ কোম্পানির পরিবেশক তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই অফিসের কাজ শেষ করে রাত করে বাসায় ফিরি, আগে এই এলাকায় মাদকসেবী-ছিনতাইকারীদের ভয়ে কেউ আসতো না, ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢাকা ছিল রাস্তাগুলো, কিন্তু এখন লাইটের কারণে দিনের আলোর মতো সব পরিষ্কার দেখা যায়, চুরি-ছিনতাইয়ের কোন ভয় নেই।‘

নাগরিকদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছেন সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, এমনটিই দাবি করেছেন ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি ও যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীনূর রহমান।

ছাত্রলীগ নেতা নওশেল আহমেদ অনি মনে করেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ যখন প্রকট আকার ধারণ করে,তখন বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঘরে বসে ছিলেন। কেবলমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, তিনি কিন্তু ঘরে বসে থাকেননি, ছুটে গিয়েছিলেন নগরীর অলিগলিতে। সরকারের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়ণে নগরবাসীকে নাগরিক সেবাদানে মহা মূল্যবান অক্সিজেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান  ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন তিনি।

জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারিতেও সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছি সফলতা ও সর্বমহলের ভালোবাসা পেয়েছি। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সিটির অবকাঠামোগত উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছি। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মহাপরিকল্পনা তৈরি করে উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। সিটির উন্নয়নে ১,৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য করা হলেও মাত্র ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আশাকরি ভোটারগণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিবেচনায় নিয়ে পুনরায় আমাকে মেয়র নির্বাচিত করবেন।’

উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন ও ১১ টি সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭