প্রকাশ: 06/03/2024
বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন দেশের
প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ
নূরুল হক। যিনি এর
আগে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ছিলেন
এবং তার সময়ে অন্ধত্ব
নির্বারণের অনেকগুলো মৌলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই
সাথে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর সিদ্ধান্ত
নেয়া হয়। এটা এখনও
চলমান রয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাবে ডা. দ্বীন
মোহাম্মদ এটা করতে সক্ষম
হয়েছেন। এরপর তিনি স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানেও
তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন।
আমার মনে হয় দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা অনেক ভেবে চিন্তেই অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হককে এই দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন। কারণ হল বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে বিশেষ অবদান রেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এটা গড়ে তোলার জন্য। এটা গড়ে তোলার পর দ্বীন মোহাম্মদ সেখানে নিয়মিত দেখভাল করেছের এবং নিয়মিত রোগী দেখেছেন। সুতরাং আমি মনে করি যেখানে বঙ্গবন্ধু নাম, বঙ্গমাতার নাম জড়িত সেখানে দ্বীন মোহাম্মদ এর উপস্থিতি। এখন তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরেকটি চ্যালেঞ্জের কাজ দিতে যাচ্ছেন।
দ্বীন মোহাম্মদ এর শিক্ষক হিসেবে তার কাছে আমার প্রত্যাশা হল সে যেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আর সেটা করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে র্যাঙ্কিং হয় সেটা বাড়াতে হবে। র্যাঙ্কিং বাড়াতে হলে কতগুলো বিষয় খুব জরুরী প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি হল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কিছু ফাকা জায়গা থাকা দরকার। সেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে নাই। এটা একটা আমাদের বড় সীমাবদ্ধতা। সেই জায়গায় আমাদের গবেষণার ওপর গুরুত্ব হবে। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম না থাকলে বিদেশি ছাত্রছাত্রী আমাদের দেশে পড়তে আসবে না। এই বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ নিতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বারবার আমাদের বলেছেন। তিনি সবসময় আমাদের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোধ করে থাকেন। আমাদের গবেষণাগুলো যদি ল্যানসেট, ব্রিটিশ জার্নালে, আমেরিকান জার্নালে প্রকাশিত হয় তাহলে বিশ্বে আমাদের দাম বাড়বে। তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় সহজে বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ স্থান পাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে গবেষণায় বেশে এগিয়ে গেছে। এটাকে চলামান রাখতে হবে এবং আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করা হয়েছে কোরিয়ানদের সাহায্যে সেখানে বিদেশি প্রশিক্ষকদের নিয়ে আসতে হবে। সেজন্য বিএমডিসির যে সহযোগিতা দরকার সেটা নিশ্চিয় বিএমডিসি করবে। তবে আমার মনে হয় বিএমডিসি এখন তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না।
এছাড়া
ইউজিসির অনুমতি নিয়ে কিছু কিছু
নতুন বিষয় বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
যেমন হেলথ ইকোনমিকস বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেলে পড়ানো হয় কিনা আমার
জানা নেই। না থাকলে
যুক্ত করা দরকার। আজকে
‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’
স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক রোল মডেল হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়েছে। এই বিষয়টিও বিএসএমএমইউ-তে অর্ন্তভুক্ত করা
দরকার। যেহেতু এটা এখন স্বাস্থ্যসেবার
বৈশ্বিক রোল মডেল বিশ্বের
অনেকে ছাত্র পড়তে আসবে। বিশ্বের
প্রায় ১৯ টি দেশ
এখন কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে যোগাযোগ করছে
এ ব্যাপারে। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে
বিশ্বের এর প্রয়োজনীতা বা
গুরুত্ব বেড়েছে। মানুষের আগ্রহ আছে। সুতরাং আমি
প্রত্যাশা করব দ্বীন মোহাম্মদ
‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’
এই বিষয়টি বিএসএমএমইউ-তে অর্ন্তভুক্ত করবে।
কারণ দ্বীন মোহাম্মদ এর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা আছে। এই ধারণা
নিয়ে যদি তিনি অগ্রসর
হন তাহলে আমরা এই বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারাই প্রমাণ করতে পারবো যে
মেডিকেল শিক্ষায় বিশ্বে আমাদের একটা শক্ত অবস্থান রয়েছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭