ইনসাইড থট

মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট এবং কিছু অনাকাঙ্খিত অভিজ্ঞতা


প্রকাশ: 06/03/2024


Thumbnail

‘‘ঢুকতে কষ্ট, ঢুকলে কষ্ট,
বের হতে কষ্ট এবং বের হলেও কষ্ট’’

ওপরের কথাগুলো কোন ধাঁধাঁ নয়। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কথাগুলো বলেছিলেন নেপালের প্রাক্তন পরিবেশ সচিব ড. শীতল বাবু রিগমি। আমি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে ২০০৯-২০১০ সালে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ড. শীতল বাবু রিগমির সাথে একাধিকবার দেখা হয়। ভদ্রলোক কোলকাতায় পড়াশুনা করেছেন। কাজেই ভালোই বাংলা জানেন। কনফারেন্সের ফাঁকে সুযোগ পেলেই তিনি আমাদের সাথে কথা বলতে আসতেন। 

ড. শীতল বাবু রিগমির তিন কন্যা। তিন জনই চিকিৎসক। সরকারি সেক্টরে। আমার স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক। ভাই ও তাদের স্ত্রী নিয়ে আমাদের পরিবারে ডাক্তারের সংখ্যা ০৭ জন। এ শুনে ড. রিগমি চিকিৎসক পেশা সম্পর্কে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছিলেন। তার ভাষায় মেডিকেলে পড়ার জন্য শুরু হয় ভর্তিযুদ্ধ। অর্থাৎ ঢুকতে কষ্ট। ভর্তি হওয়ার পরে পড়াশুনার চাপ অনেকটাই বেশি। ঢুকলে কষ্ট। কোন সাবজেক্টে ফেল বা সাপ্লিমেন্টারী না পেয়ে পাশ করা বেশ কঠিন। বের হতে কষ্ট। পাশ করার পরে বা বের হয়ে চাকুরি পেতে যেমন কষ্ট। তেমনি চাকুরি পেলে বদলী ও পদোন্নতিতেও অনেক যুদ্ধ বা কষ্ট। এসব মিলিয়ে চিকিৎসক পেশা নিয়ে ড. রিগমির এ ছন্দোবদ্ধ মন্তব্য। পরিবারে ডাক্তারের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত একটু বেশি এবং তাদের পদায়ন ও পদোন্নতির যুদ্ধের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি ড. রিগমির মতামতের সাথে সহমত পোষণ করি। 

বেশ কয়েক বছর হলো অবসরে গিয়েছি। পরিবারের চিকিৎসক সদস্যরাও এখন অবসরে। কাজেই, বদলী বা পদোন্নতির জন্য এখন আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর অভিমুখে যেতে হয়না। ক'দিন আগে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘‘৪২% শিক্ষকের পদ খালি রেখে চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজ’’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদক শিশির মোড়ল। শিশির মোড়ল স্বাস্থ্য সেক্টরে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখেন। বেশ ভালো লেখেন। তবে শিক্ষকের পদ শূন্য কেন ? এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য থাকলে আরো ভালো হতো। তাঁর তথ্যবহুল প্রতিবেদনটি পড়ে নেপালী সচিব ড. শীতল বাবু রিগমির কথাগুলো আবার মনে পড়ে গেলো।

চিকিৎসা শিক্ষায় যদি ৪২% শিক্ষকের পদ খালি থাকে, তবে দেশে ভালো চিকিৎসক হবে কি ভাবে? অথচ শূন্য পদের এরূপ চিত্র চলছে বহু বছর ধরে। এমন নয় যে ডিগ্রীধারী যোগ্য প্রার্থী ছিলনা বা নেই। পদ আছে, প্রার্থীও আছে। প্রকাশিত গবেষণা পত্র আছে। কিন্তু পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় আছে দীর্ঘসূত্রতা এবং অহেতুক প্রতিবন্ধকতা। বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রদান করেন। সরকারি কলেজে শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য কমিটি আছে। সচিবসহ উচ্চ পর্যায়ের পদে পদোন্নতির সুপারিশের জন্য আছে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড বা এসএসবি। সেখানে চিকিৎসা শিক্ষার অধ্যাপকসহ সকল ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদের পদোন্নতি বিবেচিত হয়। কিন্তু চিকিৎসা শিক্ষায় পদোন্নতির জন্য ছিল একটু ভিন্নধর্মী ব্যতিক্রম। তা আবার দীর্ঘ সময়। বছরের পর বছর। ২০১০ সাল পর্যন্ত চিকিৎসা শিক্ষায় ৮০% পদ পূরণে সুপারিশের দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের। পরে তা ৫০% এ নামানো হয়। বর্তমানে সরকারি কর্ম কমিশনের এখতিয়ারে আছে ২০% পদ পূরণের। পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক শুন্য পদে পদোন্নতির জন্য প্রথমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে।  পরে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা, নির্বাচিত করা এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের পদোন্নতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করা বেশ সময় সাপেক্ষ। সুপারিশের পরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতির আদেশ জারী করা। এ দীর্ঘ পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় কতজন স্নাতকোত্তর প্রফেশনাল ডিগ্রী, প্রকাশনা এবং পদোন্নতির যোগ্যতাসহ পদোন্নতির পথে হারিয়ে গেছেন। তার তালিকা অনেক দীর্ঘ। এমন একজন ভুক্তভোগীর নাম ডা. বৃন্দাবন বিশ্বাস। 

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বৃত্তি নিয়ে চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক হয়ে ডা. বৃন্দাবন বিশ্বাস দেশে আসেন ১৯৮৪ সালে। রক্ত পরিসঞ্চালনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী করেন । ১৯৯৮ সালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপকের চলতি দায়িত্বে যোগদান করেন। তখনই তাঁর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতির যোগ্যতা ছিল। কিন্তু কর্ম কমিশনের বিজ্ঞপ্তি না থাকায় চলতি দায়িত্বে যোগদান। ডিসেম্বর, ২০১০ সালে অবসর ছুটিতে যাবার সময়কালে অর্থাৎ দীর্ঘ ১২ বছরেও তার সেই চলতি দায়িত্ব শেষ হয়নি। পদোন্নতি হয়নি। সরকারি কর্ম কমিশন রক্ত সঞ্চালনের সহকারী অধ্যাপকের পদে পদোন্নতির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০০৬ সালে। তখনই কেবল তার পদোন্নতির জন্য আবেদন করার সুযোগ হয়। আবেদন করেন এবং সাক্ষাতকার প্রদান করেন নির্ধারিত তারিখে। কর্ম কমিশন পদোন্নতির জন্য প্রার্থী নিবার্চন করে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ প্রেরণ করে ২০০৯ সালে। কিন্তু মন্ত্রণালয় ডিসেম্বর, ২০১০ পর্যন্ত এ সুপারিশের ভিত্তিতে কোন পদোন্নতি আদেশ জারী করেনি। যোগ্যতা, স্নাতকোত্তর ডিগ্রী, গবেষণাপত্র ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষক পদে চাকুরি করার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে হয়েছে। অথচ যথাসময়ে পদোন্নতি হলে ডা. বিশ^াস অধ্যাপক হতে পারতেন। পড়ানোর আগ্রহ ও উদ্দমে গতি পেত। তা হয়নি। তিনি নিজে যেমন বঞ্চিত হয়েছেন। ছাত্ররাও বোধ করি বঞ্চিত হয়েছেন। অবসরের পরে বেসরকারী মেডিকেল কলেজে যদিও তার পদোন্নতি হয়েছে। কিন্তু মূল চাকুরীতে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ায় কষ্ট নিশ্চয়ই ভুলতে কষ্ট হবে।

সরকারি কর্ম কমিশনের এ পদোন্নতি প্রক্রিয়া থেকে বের হবার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পদোন্নতি বিধিমালা ২০১০ সালের পরে সংশোধন করে। কর্ম কমিশনের কাছে ২০% এবং মন্ত্রণালয়ের কাছে ৮০% পদ রাখা হয়। কিন্তু ভোগান্তির জটিলতা  শেষ হয় না। শূন্য পদ পূরণের জন্য সকল সার্ভিসে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া হয়। যোগ্যতা থাকলে এবং পদ থাকলে পদোন্নতি পাওয়া একটা প্রাধিকার। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে শূন্য পদে পদোন্নতির দীর্ঘ প্রক্রিয়া সহজ হয়নি খুব একটা। পদোন্নতির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলে তখনই কেবল আবেদন করা যায়। মধ্যে কেটে যায় মাসের পর মাস। বছরের পর বছর। চিকিৎসা শিক্ষার বিভিন্ন বিভাগের পদোন্নতিযোগ্য শুন্য পদের তালিকা করা, যোগ্য প্রার্থী তালিকা করা এবং পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেটে যায় দীর্ঘ সময়। সকল শূন্য পদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া একত্র করতে সময় নেয় অনেক। পদোন্নতির এ পথ পরিক্রমায় হারিয়ে যান অনেক প্রার্থী। 

পদোন্নতি বঞ্চনার এ তালিকায় আছে অনেক চিকিৎসক। এর মধ্যে একজন ডা. গীতা রাণী। আমার স্ত্রী। নিউক্লিয়ার মেডিসিনে এম.ফিল করেছেন ২০০৪ সালে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে পদ ছিল, কিন্তু কাজ ছিলনা। তাই থেকে গেছেন ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিনে। প্রেষণে। সেখানে প্রচুর কাজ। এ ইনস্টিটিউট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। কাজ থাকলেও এখানে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকের পদোন্নতির সুযোগ নেই। পদোন্নতির আশায় তাই বদলী হয়ে ফিরে এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখানে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে অধ্যাপকসহ সকল পদ আছে। কিন্তু রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন সুবিধা নেই। সচল বিভাগ নেই। কাজ নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নিউক্লিয়ার মেডিসেন সেন্টার আছে। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান। রোগ নির্ণয় সম্পর্কিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার চাপ অনেক বেশি। সিরিয়াল দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেরী হয়ে যায়। সেখানে রোগ নির্ণয়ের সুবিধা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের দায়িত্ব দিলে রোগীর চাপ কমে। হাসপাতালে রোগীকে অহেতুক বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়না। এ বিষয়ে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের আবেদন আমি নিজে গিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে দিয়েছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে কোন কক্ষ বরাদ্দ দিয়ে কাজ করানোর প্রস্তাব দিয়েছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে দেখা করেছি। অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীতে অনেক পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইউনিট কাজ শুরু করেছে। 

পদোন্নতির আশায় নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ডা. গীতা রাণী ২০১০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। মন্ত্রণালয় পদোন্নতির উদ্যোগ না নেওয়ায় পদোন্নতির আবেদন করা যায়নি। তাই সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি হয় ২০১৬ সালে। শুধূ আবেদন করার অপেক্ষার জন্য পদোন্নতিতে বিলম্ব। অভিজ্ঞতা, গবেষণা, ডিগ্রী, প্রকাশনা সব ছিল। পদোন্নতির উদ্যোগ না নেওয়ায় সহযোগী অধ্যাপকের পদেও আবেদন করতে বিলম্ব হয়। মন্ত্রণালয় ০৭/০৫/২০১৯ তারিখে সহযোগি অধ্যাপকের পদে পদোন্নতির উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কিত চিঠি জারী করে এবং তথ্য হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়।  সেমত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৪/০৭/২০১৯ তারিখের স্মারক অনুযায়ী নির্ধারিত ছকে আবেদন করেন। আবেদনপত্র প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালেই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে এসেছে। ৩০/০৬/২০২০ তারিখ ডা. গীতা রাণীর অবসরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মন্ত্রণালয় পদোন্নতির সভা করতে পারেনি। আমি কয়েকবার নিজে গিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে অনুরোধ করেছি। বলেছেন হবে। সভা হয়নি। আর তাই পদোন্নতির আদেশ জারী হয়নি। 

মান্না দের কন্ঠে একটা গানের অতি পরিচিত কলি হচ্ছে “ধুপ ছিল, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে আলো জ্বললো না”। পদ ছিল। প্রার্থী ছিল। যোগ্যতা ছিল। ডিগ্রী ছিল। গবেষণাপত্রের প্রকাশনা ছিল। তারপরেও পদোন্নতির এ দীর্ঘ ও বিলম্বিত প্রক্রিয়ার জন্য ডা. বৃন্দাবন বিশ্বাস, ডা. গীতা রানীদের পদোন্নতি হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিনের সহযোগি অধ্যাপক পদটি বোধ করি এখনও শূন্য আছে। অথচ যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি হয়নি। ঐ যে বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা। সে অনুযায়ী আবেদন করা ও আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষা। আর মন্ত্রণালয়ের সভার জন্য অপেক্ষা। সরকারি কর্ম কমিশনের দায়িত্বের শেষ নেই। তাদের হাতে ২০% পদ পূরণের দায়িত্ব রাখার কারণ অজানা। যে ৮০% পদ মন্ত্রণালয় পূরণ করতে পারে। তার জন্য নিয়মিত মন্ত্রণালয় পদোন্নতি সভা করলে কি অসুবিধা হয় জানিনা। সকল বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগি অধ্যাপক বা সহকারী অধ্যাপকের শূন্য পদ কেন একত্রে পূরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে তাও জানিনা। শুধু এটুকু জানি বা দেখি যে স্বাস্থ্য বিভাগের পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় আছে অনেক বিলম্ব। পদোন্নতির উদ্যোগ নিলেই কেবল পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে হয়। সকল ধরনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনা থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে পদোন্নতি হয় না। পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে হবে, এ প্রক্রিয়া কোন মন্ত্রণালয় বা কোন সার্ভিসে নেই। 

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সূত্রে জানা যায় পদোন্নতির জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বন্ধ হচ্ছে। এ বিলম্বিত প্রক্রিয়া বুঝতে কেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪ বছর সময় লাগবে- বুঝতে পারিনা। এ কার্যক্রম ১০ বছর আগেই শুরু করলে অনেক জটিলতা দূর হতো। শূন্য পদ পূরণে আবেদন করার পদ্ধতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।  সকল বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগি অধ্যাপক বা সহকারী অধ্যাপকের পদ একত্র করে পদোন্নতির পদ্ধতিও পাল্টাতে হবে। শূন্য পদ হলেই বিভাগ ভিত্তিক পদোন্নতি দিতে হবে। না হলে চিকিৎসা শিক্ষার অনেক শূন্যপদ এভাবে শূন্যই থাকবে। মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট থাকবে। আর পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থীদের পদোন্নতি বঞ্চিত অবস্থায় অবসরে যাওয়ার  তালিকা ক্রমে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭