ইনসাইড থট

দ্য শেখ হাসিনা এন্ড দ্য উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট


প্রকাশ: 08/03/2024


Thumbnail

আজ ৮ মার্চ ২০২৪ সাল। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও নারী দিবস পালন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নারী জাগরণে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, নারীদেরকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে এসেছেন তারা আজ ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। তারা মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আজ নারী দিবসে আমি এমনই একজন নারীর কথা উল্লেখ করতে চাই। আর তিনি হলেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। দার্শনিক শেখ হাসিনা নারীদের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্র যেভাবে প্রশস্ত করেছেন আমার মনে হয় এটা বিশ্বে আর কেউ করতে পারেননি। বিশ্বে এমন উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর। তিনি সেটা করতে পেরেছেন কারণ তিনি দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশ পরিচালনা করছেন। যার জন্য আজ তিনি সারা বিশ্বে ব্রান্ডিং হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

সারা বিশ্ব তাকে চেনেন, তার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এটা আমরা কেউ স্বীকার করি বা না করি কিন্তু এটাই আজ চিরন্তন সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর নারী জাগরণে দার্শনিক শেখ হাসিনা যে অবদান সেজন্য আমি তাকে ‘শেখ হাসিনা ফর দ্য আপলিফমেন্ট অব উইমেন্স ইন বাংলাদেশ এন্ড এক্সাম্পল ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাই। অর্থাৎ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত।

এর কারণ আমি এভাবে ব্যাখ্যা করতে চাই। আমি দার্শনিক শেখ হাসিনার নির্দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করি। যেখানে নারী জাগরণের এক নীরব বিপ্লব ঘটেছে। আর এটি ঘটিয়েছেন দার্শনিক শেখ হাসিনা। তিনি দেখলেন যে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মেয়েদের বাল্য বিবাহ বেশি হচ্ছে। তারা লেখাপড়ায় বেশি এগোতে পারছে না। এটা উপলদ্ধি করার পর শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকে মেয়েদের প্রধান্য দিতে নির্দেশ দিলেন। অর্থাৎ তিনি শুধু স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ই খেয়াল করলেন তা নয়, তিনি সামগ্রিক ভাবে প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে মেয়েদের প্রাধান্য দেওয়ার ফলে এখানে মেয়েদের একটা বিরাট ক্ষমতায়ন ঘটল। গ্রামে যারা আজ কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করছেন তাদের আলাদা একটি পরিচয় হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়েছে, তেমনি তাদের মধ্যে লেখাপড়ার গুরুত্ব বেড়েছে আবার একই সাথে আজ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যেও নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে। যার পুরো কৃতিত্বটা এই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। এরকম উদাহরণ বিশ্বে বিরল।

কদিন আগেই দেশে পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণমাধ্যমের কল্যাণে দেখলাম যে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। খুব সহজে চোখ আটকানোর মতো তাদের সংখ্যা। এটা গর্বের। কনস্টেবল থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যন্ত নারীর সংখ্যা ইর্ষনীয়।

আর্মিতেও আজ নারীরা খুব ভালো করছে। আগে আর্মিতে নারী বলতে শুধু ডাক্তারই মনে করা হতো। কিন্তু এখন সেটা পাল্টে গেছে। আনসার বাহিনীতেও নারীদের সংখ্যা বিরাট। প্রতিটি ক্ষেত্রে এভাবে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এভাবে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি নারীদের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাদের পথটা প্রশস্ত করেছেন বিরামহীন ভাবে।

নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটেছে এবারের মন্ত্রিসভায়। এবারের মন্ত্রিসভায় রেকর্ড সংখ্যক নারী ঠাঁই পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ এবারের মন্ত্রিসভায় নারীর সংখ্যা আট। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য রেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশে কোনো মন্ত্রিসভায় এত জন নারী সদস্য থাকেননি। ১১ জানুয়ারী যে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল তাতে চারজন নারী সংসদকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় আরও চারজনকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এটি অনন্য রেকর্ড। শেখ হাসিনার এই অবদানকে আমি ব্যাখ্যা করতে চাই যে, দ্য শেখ হাসিনা এন্ড দ্য উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট। অর্থাৎ দার্শনিক শেখ হাসিনা এবং নারী ক্ষমতায়ন। সুতরাং আসুন আজ ১৭ কোটি মানুষ আমরা দার্শনিক শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধাভরে সালাম জানাই। আজকের এই নারী দিবস আমরা দার্শনিক শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭