প্রকাশ: 11/03/2024
বাংলাদেশের
তিন জেলার বিভিন্ন গ্রামে পালন করা হচ্ছে
রোজা। এসব গ্রামের নির্দিষ্ট কিছু পরিবারের সদস্যরা
রোববার (১০ মার্চ) তারাবির
নামাজ পড়েন। মাঝ রাতে তারা
সেহরি খেয়ে আজ সোমবার (১১
মার্চ) রোজা পালন করছেন।
জানা
গেছে, সৌদি আরবে পবিত্র
রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায়
আজ সোমবার থেকে দেশটিতে রোজা
পালন শুরু হয়েছে। এ
খবরে চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফরিদপুরের বিভিন্ন
গ্রামে রোজা পালন শুরু
হয়। সৌদি আরবে সঙ্গে মিল
রেখে এ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা
পালন করছেন তারা।
দেশের
৩ জেলার গ্রামগুলোর মধ্যে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, সাদ্রা দরবারের আশপাশের গ্রাম, মতলব উত্তরের দেওয়ানকান্দি,
নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম,
বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম,
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত
ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ভুলবাড়িয়া, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল এবং
আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটা গ্রাম।
এ ছাড়া বেশ কয়েকটি
গ্রামে রোজা রাখছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ
মিশকাত চৌধুরী বলেন, ‘আগাম রোজা ও
দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক
মাওলানা ইসহাক (রহ.)। প্রথম
চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা, ঈদুল ফিতর ও
ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম
চালু করেন। সৌদি আরবে পবিত্র
রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর
পেয়েছি। তাই রোজা রাখছি’।
ফরিদপুরের
আলফাডাঙ্গার বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক বলেন, ‘যারা
মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের
সঙ্গে মিল রেখে রোজা
রাখা, ঈদুল ফিতর এবং
ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। সেই
হিসেবে সৌদি আরবে রোজা
শুরু হওয়ায় আমাদের ১৩ গ্রামেও রোজা
শুরু হয়েছে’।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯২৮ সালে চাঁদপুরে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক (রা.)। তার অনুসারীরা এ প্রথা টিকিয়ে রাখেন। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে এ প্রথা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭