গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতেই উৎকর্ষ লাভ করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১১ মার্চ) শাপলা হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক/বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা-গবেষণাসহ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যা যা প্রয়োজন, সবই করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিজ্ঞানকে বঙ্গবন্ধুই বেশি গুরুত্ব দিতেন। ৭৫ এর পর স্বেরশাসকরা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি। এছাড়া পাবনাতেই দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আজকের প্রজন্মই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগোচ্ছে দেশ। এজন্য গবেষণার ফলাফল যেন বাংলাদেশের মানুষের কাজে লাগে, এমন গবেষণা করতে হবে। বিজ্ঞান, গবেষণা, উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এ ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় একটু পিছিয়ে আছি। ডাক্তার সাহেবরা শুধু প্র্যাক্টিস করে আর টাকা কামাই করে, গবেষণার দিকে বেশি যায় না। এখন গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, কারিগরি শিক্ষা আমাদের অত্যন্ত দরকার। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো গবেষণা। গবেষণায় কোনো বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো না। ৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে ১২ কোটি টাকা গবেষণায় বরাদ্দ দিই। বিশেষ করে কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব দিই। কারণ তখন আমাদের ত্রিশ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি ছিল। তারপর থেকে প্রতি বাজেটে আমরা প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া শুরু করি। এভাবেই আমরা কাজ করে যাই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫৪ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ জনকে ন্যাশনাল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ১০জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও ১৯জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।