ইনসাইড পলিটিক্স

অপেক্ষা শেষ হচ্ছে কবির বিন আনোয়ারের?


প্রকাশ: 12/03/2024


Thumbnail

কবির বিন আনোয়ার, এক সময়ে ডাকসাইটে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ ছিল, সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করেছিলেন যারা তাদের মধ্যে অন্যতম কবির বিন আনোয়ার। এরপর তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি মেধা এবং দক্ষতার সাফল্য অর্জন করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বারবার তাকে কক্ষচ্যুত করার চেষ্টা করেছিল, পদোন্নতি বঞ্চিত করেছিল, দিয়েছিল ডাম্পিং পোস্টিং। কিন্তু তারপরও কবির বিন আনোয়ার তার নিজস্ব আদর্শ এবং নীতি থেকে সরে দাঁড়াননি। আদর্শের কাছে সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন। আদর্শ বিসর্জন দিয়ে তিনি বিএনপি-জামায়াতের অনুগ্রহ লাভ করেননি। 

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ধাপে ধাপে পদোন্নতি পান। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে থাকা অবস্থায় সেখান থেকে তাকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব করা হয়। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মাত্র ১৪ দিন। এরপর তাকে অবসরে পাঠানো হয়। যদিও বাংলাদেশে এখন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ডাল ভাত। কিন্তু কবির বিন আনোয়ার এর ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। বরং কবির বিন আনোয়ার একদিনও চুক্তির নিয়োগ পাননি। অবসর গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি দেখা করেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে এইচ টি ইমাম এর দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান এবং নির্বাচন পরিচালনার বিষয়গুলো দেখভাল করা শুরু করেন। এসময় অবশ্য তার অন্যরকম একটা সমস্যা হয়েছিল। যেহেতু তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন সেজন্য তার পিআরএল শুরু হয়েছিল। পিআরএল হল এক ধরনের চাকরি যে সময় একজন সরকারি কর্মকর্তা অবসরের প্রস্তুতির ছুটিতে থাকেন। এই সময়ে তিনি কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা সহ অন্য কোনো কিছু করতে পারে না। একজন সরকারি কর্মকর্তা যে নিয়ম নীতির মধ্যে বন্দি থাকেন পিআরএল-এ থাকা একজন কর্মকর্তাকেও সেই একই নিয়ম নীতি এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হয়। পিআরএল শেষ হয়ে গেলে নির্বাচনের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেন। 

অনেকের ধারণা করেছিল যে, যেহেতু তার পিআরএল শেষ হয়ে গেছে, এখন তিনি সরকারের সাথে কোনরকম সম্পর্ক বিহীন। কাজেই তিনি হয়তো মন্ত্রী বা সরকারের উপদেষ্টা হবেন। কিন্তু দুই দফা মন্ত্রিপরিষদ গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবির বিন আনোয়ারকে মন্ত্রী বা উপদেষ্টা নিয়োগ করেননি। 

তবে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, কবির বিন আনোয়ার এর অপেক্ষার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। কবির আনোয়ারকে খুব শীঘ্রই সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীতে দেখা যেতে পারে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবির বিন আনোয়ার এর বিষয়টি নিজে বিবেচনা করছেন এবং যেকোনো সময় তাকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। ঈদের পরপর তার এ ধরনের নিয়োগ প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে। কবির বিন আনোয়ার যদি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান তাহলে সেটি হবে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের জন্য একটি অভূতপূর্ব বিজয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭