ইনসাইড বাংলাদেশ

তারেকসহ ৬ নেতা হামলার মাস্টারমাইন্ড?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/04/2018


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হতে পারেন বিএনপির একাধিক নেতা। প্রাথমিক গোয়েন্দা তদন্তে, ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি গোয়েন্দাদের কাছে, এরকম তথ্য আছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু একটা ঘটবে এই তথ্য বিএনপির কয়েকজন নেতা আগে থেকেই জানতেন। একটি সূত্র বলছে, তারেকসহ বিএনপির ছয়জন নেতাকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ হলেই তাঁদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্দেহের তালিকায় বিএনপির যে পাঁচ নেতা রয়েছেন তারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং মূল হোতা তারেক জিয়া।

রোববার মধ্যরাতে ঘটনা ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা গাজীপুর এবং খুলনার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের কিছুক্ষণ পরই লন্ডনে তারেক জিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন বিএনপির নেতারা। দুই সিটিতে মেয়র নিয়ে তারেকের সঙ্গে কথা হয় নেতাদের। একপর্যায়ে তারেক বলেন, ‘আজ মনোনয়ন চূড়ান্ত করার দরকার নাই। দেখেন কাল কি হয়।’ তারেক দ্রুত মিটিং শেষ করারও তাগিদ দেন।

ওই বৈঠক শেষ হওয়ার পর তারেক জিয়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে টেলিফোন করেন। দুজনের কথোপকথনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা হয়েছে। দুইজনই কথোপকথনে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।

রোববার সকাল থেকেই বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু কয়েকজন ছাত্রদল নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। দুপুরের পর থেকে তাঁর ফোনে লন্ডনের বিভিন্ন নাম্বার থেকে অন্তত ৫টি ফোন এসেছে। প্রতিটি ফোনেই মিন্টু ‘সব ঠিক আছে’, ‘চিন্তার কোনো কারণ নাই’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করেছেন। রাত সাড়ে ১২টায় আবদুল আউয়াল মিন্টু কথা বলেন রুহুল কবীর রিজভীর সঙ্গে। মিন্টু রিজভীর কাছ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের দুই নেতার নম্বর নেন। রিজভী মিন্টুকে জিঙ্গেস করেন খবর কি? উত্তরে মিন্টু বলেন, ‘টেলিভিশন দেখো।’টেলিভিশনে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পরার পর রিজভী টেলিফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যায় রিজভী ২১টি টেলিফোন করেছেন।

ঘটনার দিন মির্জা আব্বাসও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এদের একজনকে ‘রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর নিতে বলেন। মির্জা আব্বাস দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে আবদুল আউয়াল মিন্টুকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানান। একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব  এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল নীলক্ষেত এলাকায় ছিলেন। সেখান থেকে একটি রবি নম্বর দিয়ে সোহেল লন্ডনে কথা বলেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, মোবাইল লোকেশন অনুযায়ী তাঁর অবস্থান ছিল সম্ভবত ক্যাম্পাসের কোনো কোয়ার্টারে।

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা হঠাৎ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল না এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত ঘটনা।’ তাঁর মতে, ‘এই ঘটনায় একদল অংশগ্রহণ করেছে, আর ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল কয়েকজন। যারা প্রত্যক্ষ ভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের আমরা চিহ্নিত করছি। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ঘটনার মূল হোতাদের খুঁজে বের করা।’ তিনি বলেন, ‘ওই কাজে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’




Read In English: https://bit.ly/2qkbfrc


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭