ইনসাইড বাংলাদেশ

উৎপাদন বাড়লেও পূরণ হয়নি দুধের ঘাটতি


প্রকাশ: 13/03/2024


Thumbnail

স্বাধীনতার পর দেশে তরল দুধের উৎপাদন বেড়েছে ১৩ গুণ। আর গত ১১ বছরে দেশে দুধের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ। তারপরও দেশে দুধের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এই ঘাটতি পূরণ করাই এখন বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। এই ঘাটতি মেটাতে না পারলে একদিকে যেমন আমাদের পরনির্ভরশীল হতে হবে অন্যদিকে আমাদের পুষ্টির অসম্পূর্ণতা থেকে যাবে।

পুষ্টিবিদমতে, সুস্থ্-সবল শরীরের জন্য সব বয়সী মানুষেরই নিয়মিত দুধ পান করা উচিত। দুধের মধ্যে ভিটামিন সি ছাড়া রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান। 

দুধের উপকারিতা সম্পর্কে পুষ্টি বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, পুষ্টি গুণে দুধ হলো একটি সেরা খাবার। দুধ হলো ক্যালসিয়ামের খুব ভালো একটি উৎস। আর ক্যালসিয়াম সব বয়সের মানুষের জন্য জরুরি উপাদান। আমরা জানি, মানবজীবনের শুরু হয় দুধ দিয়ে। শিশু কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের জন্য দুধ ভীষণ প্রয়োজনীয় খাবার। যেসব শিশু জন্মের পর ঠিকভাবে দুধ খেতে পায় না, তারা অধিকাংশ সময় কোয়াশিয়রকর (kwashiorkor), ম্যারাসমাস (Marasmus) নামক অপুষ্টিজনিত অসুখে আক্রান্ত হয়। তাছাড়া দুধ ও দুধজাতীয় খাবারের অভাবে বয়স্ক ব্যক্তিরা অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস অর্থাৎ হাড়ের দুর্বলতা ও হাড়ের ভঙ্গুরতাজনিত অসুখে আক্রান্ত হন। কিন্তু মাথাপিছু দুধপানও কাঙ্খিত মাত্রার চেয়ে কম। আবার উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে দুধের দাম।

এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সে ভাবে উৎপাদন বাড়ছে না। সেজন্য এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া উচিত।

দুধের উৎপাদন বেড়েছে

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর দেশে তরল দুধের উৎপাদন বেড়েছে ১৩ গুণ। স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭১-৭২ অর্থ বছরে দুধ উৎপাদন ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দুধ উৎপাদন হয়েছে ১৪০ দশমিক ৬৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুধ উৎপাদন ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জনপ্রতি দৈনিক ২৫০ মিলি হিসেবে দেশে দুধের চাহিদা ১৫৮ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন। এ হিসেবে দুধের ঘাটতি রয়েছে ২৫ দশমিক ৯৪ লাখ মেট্রিক টন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে দুগ্ধ খামারির সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ২০২২-২৩ বছরে ১৪০ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম সারির দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলো ৭-৮ লাখ টন দুধ প্রক্রিয়াজাত করে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুত করছে। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দুধের মূল উৎস গরু। শতকরা ৯০ ভাগ দুধ আসে গরু থেকে। ৮ শতাংশ ছাগল এবং ২ শতাংশ আসে মহিষ থেকে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েক বছর ধরে ছাগলের দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে মোট দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ২৩তম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ দুধ উৎপাদন হয় এশিয়ায়। 

উৎপাদন বাড়লেও ঘাটতি থাকার পিছনে ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দুধ পাওয়ার পর সেটি যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করা খুব জরুরি একটি বিষয়। কর্পোরেট গ্রুপগুলো সেটি করতে সক্ষম হলেও আমাদের দেশের খামারিরা সেটি করতে পারছে না। তাছাড়া এ বিষয়ে তাদের ধারণা কম থাকায় এবং ব্যবস্থাপনা না থাকায় যথাযথভাবে দুধ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মেশিনারিজের অভাবে অনেক সময় কোম্পানিগুলোর কাছেও দুধ পৌঁছায় না। দেশের দুধ উৎপাদক কোম্পানিগুলো ১০-১৫ শতাংশ দুধ ব্যবহার করতে পারে। বাকি সব দুধ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। ফলে সারাদেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না।

তবে খামারিরা বলছেন ভিন্ন কথা। দেশে উৎপাদনে ঘাটতির কারণ হিসেবে তারা বলছেন সিন্ডিকেটের কথা। তারা বলছেন, কিছু কর্পোরেট গ্রুপ দুগ্ধ খাতকে আমদানি নির্ভর করে ফেলেছেন। তারা আমদানি করে চাটুকারি বিজ্ঞাপন দিয়ে বাণিজ্য করছেন। ফলে আমরা দুধের ন্যায্য মূল্য পাই না। বাজারে টিকে থাকতে পারি না। তাদের দাবি, বড় বড় দুধের কোম্পানিগুলো খামারি পর্যায়ে দুধের দাম বাড়াচ্ছে না। অন্যদিকে খরচ বাড়া সত্ত্বেও খামার পর্যায়ে দুধের দাম সেই অনুপাতে বাড়েনি। এর ফলে অনেক খামারি দুধ উৎপাদন ছেড়ে দিতে বা কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন, অথবা গাভির সংখ্যা কমিয়ে আনছেন।

খামারিরা জানান, দুধ কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে দুধের দাম সাময়িকভাবে বাড়ালেও কিছুদিন পরই আবার তা কমিয়ে দেয়।

টাঙ্গাইলের খামারি হালিম পাটোয়ারি নিয়মিত মিল্ক ভিটাকে দুধ দিয়ে থাকেন। তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তার আয় বাড়েনি, কিন্তু খামার পরিচালনার খরচ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ব্যবসাটি করতে গিয়ে আমার বাবা কষ্ট করেছেন, আমি কষ্ট করছি কিন্তু আমার ছেলে মেয়েদের কষ্ট দিতে চাই না। আমি এই ব্যবসা করলেও ছেলে মেয়েরা এই পারবারিক ব্যবসায় আসুক সেটা চাই না। আমি ছেলে মেয়েদের এই ব্যবসায় আসতে দিব না । তারা পড়াশোনা করছে। তারা এই ব্যবসা করতে চাইলেও করতে দিব না।

উৎপাদনের সাথে দামও বেড়েছে

প্রতি বছর উৎপাদন বাড়া সত্ত্বেও দুধের বাজারে অস্থিরতা রয়ে গেছে। উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে এর দামও বেড়েছে। অর্থনীতির সাধারণ তত্ত্ব হলো উৎপাদন বাড়লে দাম কমে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা যেন ব্যতিক্রম। তবে খামারিদের দাবি, দুধের পুষ্টিগুণ এবং বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিবেচনায় দুধের দাম অনেক সস্তা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিবেচনায় দুধের দাম বেড়েছে এটা মানতে নারাজ খামারিরা।

বাজার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে এক লিটার পাস্তুরিত তরল দুধের দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। কিন্তু এখন সেটা ১০০ টাকা ছুই ছুই।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, সন্দেহ নেই, দেশে গত এক দশকে দুধের উৎপাদন বেড়েছে। তবে উৎপাদনের সরকারি হিসাব কতটুকু বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কিভাবে হিসেবে করেছে সেটা সম্পর্কে আমি জানি না। তাছাড়া আমদানিকৃত বিষয়টি এখানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে নাকি সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের খামারিদের মধ্যে সিংহভাগ খামারি আছেন যারা একজন অন্যজনকে দেখে খামার দিয়েছেন। বস্তুত গবাদি পশু সম্পর্কে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই। যেহেতু তারা এ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে না ফলে গরুকে কোন খাবার কতটুকু দিতে হবে কিংবা অসুখ বিসুখে কি করতে হবে সেটা তারা জানে না। এই বিষয়গুলো দুধ উৎপাদনে প্রভাব ফেলে। ফলে খামারিরা লোকসানে পড়ে। কেউ কেউ একটা সময়ে গিয়ে এটা (খামার) ছেড়ে দেয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে দুধ উৎপাদন হতো প্রায় ৬০ দশমিক ৯২ লাখ মেট্রিক টন। পরের তিন অর্থবছরে তা বেড়ে ৭২ দশমিক ৭৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি হয়। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন হয় ১৪০ দশমিক ৬৮ লাখ মেট্রিক টন।  তবে এতে দেশে দুধের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। কারণ, দেশে বছরে চাহিদা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, একজন মানুষের দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা দরকার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে দিনে মাথাপিছু দুধ উৎপাদিত হয় ২২১ দশমিক ৮৯ মিলিলিটার।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর অগ্রগতি প্রতিবেদন (জানুয়ারি ২০১৯- ডিসেম্বর ২০২৩) অনুযায়ী দেশে দুধের ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মিল্ক কালেকশন সেন্টার, প্রসেসিং জোন উল্লেখ্যযোগ্য। 

এলডিডিপি'র কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো হয়ে গেলে কোম্পানিগুলোর একক কর্তৃত্ব কমে যাবে এবং তখন খামারিরা ভালো দাম পাবেন। এর মাধ্যমে পুরো সাপ্লাই চেইনের আধুনিকায়ন হবে।

সরকারের উদ্যোগ

ডেইরি হাব স্থাপন: দুধের সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার ডেইরি হাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে যে সকল দুগ্ধ সমৃদ্ধ এলাকায় দুধের বাজার ব্যবস্থাপনা দুর্বল সেখানকার দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা যেন সঠিক মূল্যে তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। সারা দেশে মোট ২০ টি হাব স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০ টি হাব স্থাপনে চুক্তি এবং বাস্তবায়নের কাজ আরম্ভ হয়েছে।

ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টার: সারা দেশে ৪০০ টি ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। উৎপাদনকারীরা বিশেষ করে মহিলা খামারিরা যেন খুব সহজে এবং ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারে সেজন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রম: মেধাবী জাতি বিনির্মাণে দুধের চেয়ে ভালো খাবার আর নেই। এ বিবেচনায় সরকার মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। দুধের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারব্যবস্থা জোরদারকরণ, দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণসহ স্কুলফিডিংয়ের মাধ্যমে দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে পাইলট আকারে ৩০০ টি স্কুলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২০০ মি.লি ইএইচটি মিল্ক ফিডিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে দুগ্ধশিল্প উন্নয়নে ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্প’ চলমান রয়েছে; যা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রি: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালক করে থাকেন। বিশেষ করে রমজান মাসে এ কার্যক্রম জোরদার করা হয়। এবারও রাজধানীর ২৫ স্থানে এই ভ্রাম্যমান বিক্রয় পরিচালনা করা হবে বলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্মরা নিশ্চিত করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো-

(১) নতুনবাজার (বাড্ডা), (২) কড়াইল বস্তি (বনানী), (৩) খামারবাড়ি (ফার্মগেট), (৪) আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), (৫) গাবতলী, (৬) দিয়াবাড়ী (উত্তরা), (৭) জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), (৮) ষাটফুট রোড (মিরপুর), (৯) খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), (১০) সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), (১১) সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), (১২) আরামবাগ (মতিঝিল), (১৩) রামপুরা, (১৪) কালশি (মিরপুর), (১৫) যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), (১৬) বসিলা (মোহাম্মদপুর), (১৭) হাজারীবাগ (সিকশন), (১৮) লুকাস (নাখালপাড়া), (১৯) আরামবাগ (মতিঝিল), (২০) কামরাঙ্গীর চর, (২১) মিরপুর ১০, (২২) কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), (২৩) তেজগাঁও, (২৪) পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) (২৫) কাকরাইল।

স্থায়ী বাজারগুলো হলো-

(১) মিরপুর শাহ আলী বাজার, (২) মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট (৩) নতুন বাজার (১০০ ফুট), (৪) কমলাপুর, (৫) কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭