ইনসাইড থট

কর ফাঁকি দেয়ার সংস্কৃতির প্রবর্তক ড. ইউনূস


প্রকাশ: 14/03/2024


Thumbnail

নিয়মিত কর দেয়া বা কর ফাঁকি না দেয়ার দিক থেকে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের মানসিকতা। কর দেয়ার মত মানসিকতা আমাদের মধ্যে এখনও গড়ে উঠেনি। আরেকটি কারণ হলো যাদের মাধ্যমে আমরা কর প্রদান করি তারা আমাদের বুঝায় যে, কিভাবে কর ফাঁকি দেয়া যায় বা কর কম দেয়া যায়। আর এর সাথে তো দুর্নীতির বিষয়টি জড়িত আছেই।

সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ড. ইউনূস কর ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং তাকে কর পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ তিনি একজন শান্তিতে নোবেলজয়ী। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে, ড. ইউনূসের মত আরও রাঘববোয়াল কর ফাঁকি দিয়েছেন এটা নিশ্চিত।

ড. ইউনূস বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বেশ ভালো কথা কিন্তু তিনি নিয়মিত কর দেননি। আর এরকম মানুষের জন্য আমাদের দেশের কতগুলো ভাড়া করা বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন। আবারও বিদেশেও তার ভাড়া করা লবিস্ট আছে। একজন নোবেলজয়ী ব্যক্তি যদি কর ফাঁকি দেয় তাহলে অন্যদের কাছে কর আদায় করা বা প্রত্যাশা করা তো অন্যায়। ড. ইউনূস শুধু কর ফাঁকি দেননি, তিনি কর না দেয়ার একটি সংস্কৃতি এদেশে গড়ে তুলেছেন। ড. ইউনূসের মত আরও ছাড়া আছেন তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে। অবাক করার বিষয় হলো কর ফাঁকি দেয়ার পরও ড. ইউনূস আবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন। অর্থাৎ আমাদের কাছে দেশ বড় হলেও ড. ইউনূসের কাছে তিনি নিজে বড়।

আমার সৌভাগ্য হয়েছে চারজন নোবেলজয়ীর কাছে মেশার। তাদের সাথে আমি বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য দিয়েছি। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন এর সাথে একবার বক্তব্য দেওয়া সৌভাগ্য হয়েছিল। দেখলাম উনি আমার বক্তব্য খুব কনভিন্সড হয়েছিলেন। আমি মাত্র চার মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমি দেখেছি এ সমস্ত নোবেলজয়ীরা সত্যিকার অর্থে একেক জন আইকন। আমরা তো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আইকনের সন্ধানে আছি। আমরা কাকে অনুসরণ করব।

আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, দার্শনিক শেখ হাসিনা এদেশের যুব সমাজ থেকে শুরু করে সবার আইকনে রূপান্তরিত হতে পেরেছেন। তার কোন আয়কর ফাঁকির রেকর্ড নেই। এদেশে ড. ইউনূস ছাড়াও অনেকে আছেন আয়কর ফাঁকির তালিকায়। এদেশের অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত আয়কর ফাঁকির তালিকায় আছেন। প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান অনেক ভালো কাজ করেছেন বৈকি কিন্তু তিনিও আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। কর ফাঁকির একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে এদেশে। আমরা যদি নিয়মিত কর না দেই তাহলে দেশ কিভাবে উন্নত হবে। এই সংস্কৃতি থেকে অবশ্যই আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

আমি মনে করি আমাদের আইন-আদালত সঠিক ভাবে চলছে। একজন নোবেলজয়ী ব্যক্তি যিনি তার আয়কর ফাঁকি দিয়েছে, আমাদের এটা বুঝতে হবে যে, তার হাতে আমাদের ভবিষ্যত নেই। তিনি আমাদের জন্য, দেশের জন্য ক্ষতিকর। দেশের দুর্যোগের সময় এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদের অনুসরণ করলে আমাদের প্রজন্ম পিছিয়ে যাবে। এখান থেকে আমাদের অবশ্য মুক্তি পেতে হবে। আর সেজন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে ড. ইউনূসের মত লোকদের সঠিক ভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যারা কর ফাঁকি দেয়া সহ এরকম নিয়ম বহির্ভূত উদাহরণ তৈরি করছেন বা সংস্কৃতি তৈরি করছেন তারা আমাদের দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবেন এটা নিশ্চিত। সুতরাং এদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে একটি বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কারণ শুধু আইনের দ্বারা দেশ সঠিক পথে চলে না। আইন না থাকলে দেশ যেমন সঠিক পথে চলে না, তেমনি শুধু আইনের মাধ্যমে দেশ সঠিক ভাবে চলবে না। জনগণকে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। সচেতন থাকলে ভবিষ্যতে এদেশের প্রজন্ম ড. ইউনূসকে অনুসরণ করবে না। ইউনূসের মত কর ফাঁকি দেয়া ব্যক্তি অত্যন্ত কারও পথপ্রদর্শক হবে না কিংবা তাদের খপ্পরে পড়বে না।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭