সম্প্রতি দাম নির্ধারণ করে দেয়ার বিজ্ঞপ্তিতে নিম্নমানের খেজুর উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুলের জন্য ক্ষমা চান তিনি।
গত ১১ মার্চ খেজুরের দর ঠিক করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তাতে উল্লেখ করা হয়, প্রতি কেজি অতিসাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের মূল্য ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ে মন্ত্রণালয়।
নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কী সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানি উৎসাহিত করছে। অবশেষে তাদের রোষানলে পড়ে নিম্নমানের খেজুরের নাম সাধারণ মানের খেজুর করে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিন তা সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়েছে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ পচ্ছি আমরা। এটা কন্টিনিউ করতে চাই। এর মধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়। আমি বলব অনুগ্রহ করে, সেটাকে হাইলাইট করবেন না। বরং আমাদের ইফোর্টকে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে আমাদের ছোট একটা ভুল। অবশ্য আমি বলবো বড়ই।শব্দটার ব্যবহার ঠিক হয়নি। যদিও ইতোমধ্যে আমরা তা সংশোধ করে দিয়েছি। তবে সেটা হাইলাইটেড হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিতে চেয়েছিলাম আমরা। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করতে। কিন্তু তারা গড়িমসি করেছে। ফলে প্রথম রোজায় তাড়াহুড়ো করে দর ঠিক করা হয়। এতে ভুল টাহয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।