ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজারে সবজি-ফলের দামে কিছুটা স্বস্তি


প্রকাশ: 15/03/2024


Thumbnail

প্রতিবছর রমজান আসলেই যেন বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হিড়িক পড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। রোজার শুরু থেকেই সব জিনিসের দামই ছিল বাড়তি। তবে এবার রোজার শুরুতে ব্যাপক চাহিদা থাকা শাকসবজি ও ইফতার সামগ্রীর দাম কমতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি নিত্যপণ্যের বাজার ও পাড়া-মহল্লার হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজার শুরুতে ১২০ টাকার শসা এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০০ টাকার লেবুর হালি দুদিনের ব্যবধানে এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া ৮০ টাকার টমেটো গতকাল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১২০ টাকার পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ১২০ টাকায় উঠে যাওয়া কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ১০০ টাকার বেগুনের কেজি এখন আকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুধু সবজি নয়, কিছুটা কমেছে ফলের দামও। আপেল, কমলার কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৫০ টাকার আঙুর এখন ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার প্রথম কয়েকদিন নিত্যপণ্যসহ শাকসবজির বাজারে অস্থিরতা থাকে। পরবর্তী সময়ে ঈদের কয়েকদিন আগ পর্যন্ত দাম স্বাভাবিক থাকে। এ বছর বাজারে শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বেশি থাকায় রোজার মাসে দামে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার সুযোগ কম। ফলে কয়েকদিনের মধ্যে বেশিরভাগ সবজির দাম কমে যাবে। পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে।

তবে বাজারে এখনো বেশি দামে কয়েকটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোলা ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা, সাধারণ মানের খেজুরের কেজি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। চিনিতে শুল্ক কমলেও প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি পিস ফুল ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ৪০ টাকা কেজি মুলা, পেঁপে ও শালগম বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের দাম কমে ৫০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। নতুন সবজি পটোল, বরবটি ও ঢ্যাঁড়শের কেজি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলার কেজি ১২০ টাকা, লতির কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুরমুখি ১২০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

এদিকে রোজা উপলক্ষে রাজধানীর ২৫টি স্থানে ৬০০ টাকা কেজি দরে এবং আরও পাঁচটি স্থানে ৬৫০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে গরুর মাংসের দোকানে এর কোনো প্রভাব নেই। এসব দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, গরুর দাম বেশি হওয়ায় তারা কমদামে মাংস বিক্রি করতে পারছেন না।

জানা গেছে, বাজারে বিদ্যমান দামের তুলনায় কমদামের গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রমে সরকারকে সহায়তা করছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন। এ প্রসঙ্গে সমিতির সভাপতি মো. ইমরান হোসেন কালবেলাকে বলেন, খামারিরা তাদের লাভ রেখেই গরু বিক্রি করছে। সরকারের উদ্যোগ থাকলে একই দামে সারা বছর গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব।

অপরদিকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। ব্রয়লারের দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে যৌক্তিক কোনো কারণ না থাকলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারের ওপর দায় দিচ্ছেন। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহকারী বড় প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭