ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রঙবেরঙের বাতি জ্বালিয়ে মিশরীয় ইফতার


প্রকাশ: 15/03/2024


Thumbnail

সূর্যাস্তের পর রং-বেরঙের বাহারি বাতি জ্বলে উঠে ঘরে ঘরে। খেজুর ও পানিসহ বাহারি মজাদার খাবারে সাজানো থাকে ডাইনিং। প্রাচীন ঐতিহ্যে মেনে তারা আজও দেশটিতে রোজা শুরু হয় বেশ ধুমধাম করেই।  

ঘড়ি, টিভি বা মোবাইলফোন আবিষ্কারের পূর্বে ইফতারের সময় হলে পুরো শহরকে কামানের গোলা বিস্ফোরণের শব্দে অবহিত করা হতো। যেন পুরো শহরের মুসল্লিরা তাদের রোজা ভঙ্গের সংকেত শুনতে পান।   

হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন আমি বলছি, প্রাচীন সভ্যতা এবং ঐতিহ্যে বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ মিশরের কথা। বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো মিশরীয়দের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি- 

বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা রোজা পালন করছেন। দেশ ও অঞ্চলভেদে বিভিন্ন সংস্কৃতি মেনে রমজান মাসকে উৎসব মূখরভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে।  

ফেরাউনের স্মৃতিবিজড়িত মিশরে কামানের গোলার শব্দে শুরু করা হয় সেহরি ও ইফতার। দুপুরের পরই অলিগলিতে বসে, ইফতারির পসরা।

রমজানে রোজাদারকে খাওয়ান ধনীরা। অলি-গলির ইফতারি স্টলগুলোও থাকে তাদের জন্য একেবারে ফ্রি। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ইফতার করানোও মিশরীয়দের ঐতিহ্য। 

সাধারণভাবে সব দেশের ইফতারে ফল, জুস, খেজুর, পানি, দুধ বেশ প্রচলিত। আর এগুলোর সাথে  যুক্ত হয় স্থানীয় কোনো কোনো আইটেম। মিশরীয়রা ইফতারে কি কি খান এনিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। চলুন জেনে নিই মিশরীয়রা ইফতারে কী খায়...

মিশরীয়রা ইফতারে যা খায় 

মিশরের ইফতার আয়োজনেও এক নম্বরে থাকে খেজুর। সঙ্গে দুধ ও নানা রকম ফল-ফলাদি।

এছাড়াও,  মিশরীয়দের ইফতারের খাদ্য তালিকায় থাকে বাদামি রুটি ও মটরশুঁটির মাধ্যমে তৈরি মেডেম। মটরশুঁটি স্বাস্থ্যকর ও পেটের জন্য ভালো। বেশির ভাগ পরিবারে তেল, লবণ ও মরিচ দিয়ে রান্না করা হয় মেডেম। অনেকে আবার পেঁয়াজ ও টমেটোর সংমিশ্রণেও খাবারটি তৈরি করেন। 

এক বিশেষ ধরনের পানীয়ও তৈরি করেন মিশরীয়রা, যার নাম কামার আল দিনান্দ আরাসি। শুকনা আখরোট সারাদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানীয়টি তৈরি করা হয়। 

রমজানে এদের আরেকটি বিশেষত্ব হলো চাঁদ আকৃতির এক ধরনের রুটি তৈরি করা, যার নাম খাবোস রমজান। 

এছাড়াও, মিশরীয়রা মিষ্টিপ্রিয় বলে রোজার মাসে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিও তারা তৈরি করেন। সেগুলোর মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো- ‘কানাফাহ’, ‘কাতায়েফ’ ও ‘বাকলাওয়াহ’। 

ইফতারে সবশেষে কড়া চা পান করে তারা তারাবীহ নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।

ইবাদত

ইফতারের পর পরই অন্য রূপে ধরা দেয় মিশর। খোলা আকাশে তারাবির নামাজের দৃশ্য মুগ্ধ করার মতো। ওই সময় আল্লাহর ইবাদত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মশগুল হয়  দেশের মানুষেরা।  

এছাড়াও, রমজানে সিয়াম সাধনার জন্য কমানো হয় কর্মঘন্টা। দিনে কর্মব্যস্ততা আর রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন মুসল্লিরা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭