ইনসাইড পলিটিক্স

‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ আওয়ামী লীগের যারা


প্রকাশ: 15/03/2024


Thumbnail

আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা আছেন, যারা সরকারে এবং দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। একাধারে তারা মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন, আবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও তারা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এ ক্ষেত্রে অন্যতম। তবে আওয়ামী লীগে হতভাগা নেতাও রয়েছেন। আওয়ামী লীগে এমন কিছু সম্ভাবনাময় মেধাবী নেতা রয়েছেন, যারা এখন মন্ত্রিসভাতেও নেই, আবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও নেই। তারা অবস্থান করছেন ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে।’ 

আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করেন যে, মেধাবী কর্মীবান্ধব এবং এবং জনপ্রিয় এই সমস্ত নেতৃবৃন্দকে হয় মন্ত্রিসভায়, না হলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার দলের স্বার্থে এবং সরকার পরিচালনার স্বার্থে। তবে যে কারণেই হোক তারা এখন নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করছেন। এই ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ যারা অবস্থান করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন;

এনামুল হক শামীম: এনামুল হক শামীম ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাও ছিলেন। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু গত মন্ত্রিসভায় তাকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়। এই উপমন্ত্রীর করাকে অনেকে নেতিবাচক ভাবে দেখেছিলেন। কিন্তু তারপরও এনামুল হক শামীম সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। 

মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হারান এনামুল হক শামীম। কাউন্সিলে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে রাখা হয়। এখন এনামুল হক শামীম মন্ত্রিসভাতে অন্তর্ভুক্ত নন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার জায়গা নেই। তিনি অবস্থান করছেন ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’। এর ফলে আওয়ামী লীগের এই কর্মীবান্ধব নেতার সার্ভিস পাচ্ছেন না  কর্মীরা-এমনটাই মনে করেন অনেকে। 

শ. ম রেজাউল করিম: অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক হিসেবে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে পূর্ণমন্ত্রী হওয়াটাকে তার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবে অনেকে মনে করেন। প্রথমে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শ. ম রেজাউল করিম আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা এবং দল আলাদা নীতির আরেকজন প্রতীক। তাকে পরবর্তী কাউন্সিল আইন সম্পাদক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আর থাকেননি। 

এবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করার পর দেখা যাচ্ছে যে, শ. ম রেজাউল করিম মন্ত্রিসভাতেও নেই। আবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও নেই। টকশো সহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিমের সার্ভিস আওয়ামী লীগ পাচ্ছে না। এবং সরকারেও নেই। এর ফলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা মনে করছেন যে, যোগ্য ব্যক্তিরা সঠিক জায়গায় অধিষ্ঠিত নয়। এরকম আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছেন যারা এখন ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ অবস্থান করছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণ। তিনি জানেন কখন কাকে কি কাজে লাগাতে হবে। কৌশলগত কারণেই হয়তো এখন এদেরকে দূরে রাখা হয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭