ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোমালীয় জলদস্যুতার পর বেরিয়ে এলো আরও এক জাহাজ লুটের খবর


প্রকাশ: 15/03/2024


Thumbnail

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ 'এমভি আব্দুল্লাহ' সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে। এবার বেরিয়ে এলো কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে একটি জাহাজে দস্যুতার খবর। ঘটনাটি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘটলেও এতদিন তা প্রকাশ পায়নি। 

দেশ-বিদেশে যখন সোমালীয় জলদস্যুদের নিয়ে আলোচনা চলছে তখন এ নিয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ মামলা করে। এ মামলার সূত্রে ঘটনাটি জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আকিজ শিফিং লাইন লিমিটেডের অপারেশন বিভাগের সিনিয়র অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোম্পানির পক্ষে কুতুবদিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজটিতে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। সিমেন্টের ক্লিংকারবাহী এমভি আকিজ লজিস্টিক-২৩ জাহাজটি এ বিপদে পড়ে।

আরও জানা গেছে, ৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে সিমেন্টের ক্লিংকার লোড করে এমভি আকিজ লজিস্টিক-২৩ জাহাজটি কুতুবদিয়া বাতিঘরের প্রায় চার কিলোমিটার পশ্চিমে নোঙর করে।

পরদিন রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বড় একটি ফিশিং ট্রলারে করে দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে জাহাজে উঠে মুখোশধারী ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল।

এ সময় জাহাজের মাস্টারসহ ১২ জন কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করা হয়। এরপর নাবিকদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, ব্যাটারি, ইঞ্জিন-রাডার-ইকোসাউন্ডের মনিটর, জিপিএস, সোলার প্যানেলসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

মুখোশধারী ওই ডাকাতদের চিহ্নিত করা না গেলেও তারা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিলেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত দলের সবার বয়স ২০-৩৫ বছরের মধ্যে।

এদিকে সাগরে জাহাজ ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কবির বলেন, ‘সাগরে অপরাধ নির্মূলে আলাদা একটি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। তবুও ওই ঘটনায় কুতুবদিয়ার কোনো জলদস্যু জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করবে পুলিশ।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭