এডিটর’স মাইন্ড

বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা, তারপর কে?


প্রকাশ: 15/03/2024


Thumbnail

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এলেই একটা প্রশ্ন আমাকে তাড়িত করে, শেখ হাসিনা যদি রাজনীতিতে অসামান্য সাফল্য অর্জন না করতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধু কি এভাবে ফিরে আসতেন? যেভাবে এখন জাতির পিতাকে স্মরণ করা হয়, সেভাবেই স্মরণ করা হতো?

বাংলাদেশের অস্তিত্ব আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন এক সূত্রে গাঁথা। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেয়া খোকাই বাঙালী জাতি রাষ্ট্রের নির্মাতা। বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা। তার হাতেই বাঙালীর অধিকারের ডালপালা। তিনি এ জাতিকে দিয়েছেন আত্ম মর্যাদা। অধিকার আদায়ের সংগ্রাম তার নেতৃত্বেই। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন আর জাতির পিতার বিকাশ, যেন সমান্তরাল ধারায় বহমান। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই যেমন বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের জীবনকে দিয়েছে অমরত্ব। ঠিক তেমনি বাঙালী জাতি তার অস্তিত্বের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটিয়েছে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাধ্যমে। 

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, বাঙালীর সংগ্রামকে দিয়েছে চূড়ান্ত পরিণতি। আর তাই বঙ্গবন্ধুর বেড়ে উঠাই যেন বাঙালীর স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুকে ঘিরেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস। আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। বাংলাদেশকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দু’টি ধাপ ছিলো। প্রথম ধাপে ছিলো, এই অঞ্চলের (পূর্ব বাংলা) জনগোষ্ঠীর জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা।। নিজস্ব ভুখন্ড আর পতাকা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দ্বিতীয় ধাপ ছিলো, বাংলাদেশের রূপকল্প। তিনি কেবল একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেননি, স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেননি, স্বাধীন রাষ্ট্রটি কেমন হবে তার একটি রূপকল্প তৈরী করেছিলেন। কেমন বাংলাদেশ তিনি চান, তার একটি স্বপ্নও বঙ্গবন্ধু এঁকেছিলেন। সেই স্বপ্নের চূড়ান্ত পরিণতি হলো, আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, স্ব-নির্ভর আত্ম মর্যাদাশীল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কেমন বাংলাদেশ চান তার চিন্তার প্রকাশ তিনি ঘটিয়েছেন বহুবার। 

১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পূর্ণতা পায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারে এমন কোন শক্তি নেই।’ রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে বঙ্গবন্ধু আরও বলেছেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষ যদি আশ্রয় না পায়, যদি দেশবাসী খাবার না পায়, যুবকরা চাকরী বা কাজ না পায়, তাহলে আমাদের এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে, পূর্ণ হবে না।’ বাংলাদেশকে কেমন রাষ্ট্র হিসেবে তিনি দেখতে চান, সেই স্বপ্নের কথাও বঙ্গবন্ধু ঐ ভাষণে জানিয়েছিলেন-‘বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে। আর তার ভিত্তি বিশেষ কোন ধর্ম ভিত্তিক হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এদেশের কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে।’ 

বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয় ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ। ঐ দিন বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অবয়ব আরও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘আসুন আজ আমরা এই শপথ গ্রহণ করি, বিধ্বস্ত, মুক্ত বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো। গুটি কয়েক সুবিধাবাদী নয়, সাড়ে সাত কোটি মানুষ তার ফল ভোগ করবে।’ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেন ২৩ বছর। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্নই অধরা থেকে যায়। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট কেবল জাতির পিতাকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে বাঙালীর স্বপ্নকে। বাংলাদেশের রূপকল্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সোনার বাংলা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। কিন্তু পঁচাত্তরের কালো আগষ্ট সেই ‘সোনার বাংলা’-র স্বপ্নকে ধূসর করে দেয়। শুরু হয় বাংলাদেশের উল্টো পথ চলা। বাংলাদেশ অস্তিত্বের সংকটে পড়ে। ৭৫’ এর পর বাংলাদেশ যে ধারায় চলতে শুরু করেছিল, তাতে এই রাষ্ট্রটি এতোদিন থাকতো না। থাকলেও ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের মতো পরিস্থিতি হতো বাংলাদেশে। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর কান্ডারী হলেন শেখ হাসিনা। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি যখন জাতির পিতার রক্তে ভেজা মাটি স্পর্শ করেন, তখন এখানে ঘোর অন্ধকার। বুটের তলায় পিষ্ট গণতন্ত্র। সামরিক শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক্ স্বাধীনতাহীন মানুষ আতংকের প্রহর কাটায়। এরকম এক বৈরী পরিবেশে সামরিক একনায়কের ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের লক্ষ্য একটাই- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, জাতির পিতার দেখানো পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু সেই পথ ছিলো দুর্গম, প্রায় অসম্ভব। ৭৫’এর ১৫ আগস্টের মূলত ক্ষমতা দখল করে ৭১ এর পরাজিত শক্তি। ৭৫’এর পর থেকে খুনী মোশতাক, জিয়া, এরশাদ বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর মিশনে নেতৃত্ব দেয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে চলতে থাকে দেশ। স্বাধীনতা বিরোধী ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে চলে যায় রাষ্ট্রক্ষমতা। শেখ হাসিনা স্রোতের বিপরীতে লড়াই শুরু করেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমি মনে করি, শেখ হাসিনার অভিযাত্রার মূল পর্ব ২০০৯ সাল। যখন তিনি জনতার বিপুল এবং নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেন। প্রথমবার ক্ষমতার এসে তিনি ২১ বছর কলঙ্ক মোচনের কাজ করেছেন। কিন্তু সব আবর্জনা এবং জঞ্জাল এই সময়ের মধ্যে তিনি পরিষ্কার করতে পারেননি। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেন যেন অন্য এক শেখ হাসিনা। ২০০৭ সালের এক-এগারোর চক্রান্তে শেখ হাসিনা যেন নতুন করে গড়ে তোলেন নিজেকে। এক অস্থির এবং অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল সেনা সমর্থিত অনির্বাচিত সরকার। মূলত সেনাবাহিনীর সমর্থনে এই অনির্বাচিত সরকারের নাটাই ছিলো সুশীলদের হাতে। সুশীলরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই একটি বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। ২০০৬ সালের রাজনৈতিক সহিংসতা তাদের সামনে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। রাজনৈতিক দলগুলোই দেশের সর্বনাশের মূল, এমন একটি বক্তব্য সামনে এনে তারা সেনা সমর্থনে ক্ষমতা করে। ক্ষমতা দখলের পরপরই এক-এগারো সরকার মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নে তৎপরতা শুরু করে। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিলেই বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণ বাস্তবায়িত করা যায়, এমন একটি ভাবনা থেকেই শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীল নকশার বাস্তবায়ন শুরু হয়। এই নীল নকশার একদিকে যেমন তাকে নানা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে রাজনীতিতে অযোগ্য করার পরিকল্পনা ছিলো, তেমনি দলের ভেতর শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোর চক্রান্তও ছিলো। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবে উদ্ভট মামলায় শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট চার নেতা ‘মাইনাস ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব হাজির করেন। কিন্তু নিজস্ব রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতা দিয়ে শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেন। পরাজিত হয় চক্রান্তকারীরা। ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন অন্য এক শেখ হাসিনা। 

২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় আছেন তিনি। অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নীরব বিপ্লব ঘটেছে এই সময়ে। বাংলাদেশ হয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কৌশল হলো- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন। বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সেরকম আধুনিক উন্নত এবং স্বনির্ভর করাই শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, আর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির নেতা। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বদলে গেছে। তার নেতৃত্বেই বিশ্বে আজ বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আর শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। বাংলাদেশ মানে এখন বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ মাত্র দু’জন নেতা পেয়েছে, যারা এদেশের জনগণের জন্য কাজ করেছেন। জনগণের হৃদয় জয় করেছেন, জনগণকে করেছেন আন্দোলিত। জনগণ যাদের বিশ্বাস করেছেন, যাদের উপর আস্থা রেখেছেন। এই দুই নেতার একজন হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্যজন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিকাশ ও অর্জনের ইতিহাস এই এই দু’জনকে ঘিরে। আবার বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা দু’জন মিলেই যেন বাংলাদেশের পরিপূর্ণ রূপ। কিন্তু এখন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কিংবা বিশেষ অর্জনে একটি কথাই বারবার সামনে আসে, শেখ হাসিনার পর কে? বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশ ভয়াবহ অন্ধকার আর অনিশ্চয়তার মধ্যে নিপাতিত হয়েছিল। ঠিক একই ভাবে শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে না থাকেন, তাহলে দেশ এবং আওয়ামী লীগের কি হবে তা নিয়ে অনেকে উৎকন্ঠিত, চিন্তিত। বাংলাদেশে হাল শেখ হাসিনার পর কে ধরবে? এনিয়ে আলোচনায় সবাই কম-বেশী উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা এখন ৭৬। এই মেয়াদ শেষে তিনি হবেন ৮১। বৈশ্বিক বাস্তবতা এবং গড় আয়ু বিবেচনায় অনেকেই মনে করেন, সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকলে এরপর আর এক মেয়াদ হয়তো তিনি দায়িত্ব পালনে সক্ষম থাকবেন। কিন্তু তারপর? এই মুহুর্তে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই বিরোধী দলে কিংবা সুশীল সমাজে। আওয়ামী লীগেই বা কে শেখ হাসিনার পর হাল ধরবেন। 

অনেকে এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে, শেখ হাসিনা কেন তার উত্তরাধিকার মনোনয়ন করছেন না। শেখ হাসিনার পর কে হাল ধরার যোগ্য এনিয়েও আওয়ামী লীগে চর্চা হয়। নানা জন বিশেষজ্ঞের মতো তাদের নিজস্ব মতামত দেন। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত তার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে সে সম্পর্কে কোন ইঙ্গিত পর্যন্ত দেননি। বরং বিভিন্ন সময়ে তিনি যা বলার চেষ্টা করেছেন তা হলো নেতৃত্ব আসবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছায়। যেভাবে ৮১ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ থেকে ৮১’র ১৭ মে পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছিলো বিভক্ত, অস্তিত্বের সংকট এবং বিভক্তিতে জর্জরিত। শেখ হাসিনা ছাড়া এই দেশ যে একটা টাল মাটাল এবং অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। একটা দুর্যোগ আসবে দেশে এবং আওয়ামী লীগে। বাংলাদেশ পথ হারাবে। অস্তিত্ব বিপন্ন হবে আওয়ামী লীগের। অযোগ্য নেতৃত্ব দেশকে যে কি ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায়, তা আমরা ৭৫ থেকে ৯৬ সালে দেখেছি। দেখেছি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে। সঠিক নেতৃত্বের জন্যই এদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল। আর এক যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশকে আজকের গৌরবজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। আগামীতে যোগ্য হাতে না থাকলে আবার বাংলাদেশ পথ হারাবে। শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসন থেকে পাদপ্রদীপে আনা যেত না। শেখ হাসিনার কীর্তি গাঁথা ভবিষ্যতে স্মরণ কররবে কে? কে সেই নেতা যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করবেন, ধরে রাখবেন শেখ হাসিনার অর্জন? আপনি কি জানেন, কে তিনি?    

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭