ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবিত থাকা সত্ত্বেও প্রস্তুত কবর, জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


প্রকাশ: 16/03/2024


Thumbnail

ঊনষাট বছর বয়সী উসমান হারুন। পেশায় তিনি একজন মাদরাসা শিক্ষক। জীবদ্দশায় পারিবারিক কবরস্থানে তিনি ও তার স্ত্রীর জন্য দুইটি কবর তৈরি করেছেন। ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য আরসিসি ঢালাই করা এ কবরের মাঝখানে রয়েছে একটি দেয়াল। স্বামী-স্ত্রী’র পাশাপাশি কবর দিতে এমন কাঠামো তৈরি করেছেন তিনি।

পেশায় একজন মাদরাসা শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও জীবদ্দশায় স্বামী-স্ত্রীর কবর তৈরিকে কেন্দ্র করে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কেউ কেউ বলছেন, এটা শরিয়ত বিরোধী। মাদরাসা শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও উসমান হারুনের এমন কর্মকান্ডে হতবাক স্থানীয়রা।

উসমান হারুন লক্ষ্মীপুর সদরের ঐতিহ্যবাহি টুমচর ইলামিয়া কামিল মাদরাসার বিএসসি শিক্ষক। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম পাঁচপাড়া গ্রামের লালার বাড়ির প্রয়াত নুরুল হক মাষ্টারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মাদরাসার শিক্ষক উসমান হারুনের এমন কর্মকান্ডে হতবাক তারা। জীবদ্দশায় কবর তৈরি করে সামাজিক কুসংস্কারসহ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তিনি। ইতোপূর্বে এমন কর্মকান্ড এ এলাকায় দেখেননি কেউ, শুনেননিও কেউ। 

উসমান ফারুকের ভাতিজা রিফাত চৌধুরী জানালেন, চাচার এমন কর্মকান্ডে হতবাক তারা। তার সাথে কথা বলেও এমন কর্মকান্ড থেকে তাকে নিরুৎসাহিত করা যায়নি।

স্থানীয় পাঁচপাড়া দারুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইসমাইল জানালেন, যে কেউ জীবদ্দশায় তার কবরস্থান উছিয়ত বা চিহিৃত করে দিতে পারেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে কাঠামোগতভাবে কবর তৈরি করা নাজায়েজ। ইসলাম কোনভাবেই এমন কর্ম সমর্থন করে না।

এদিকে উসমান ফারুকের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার বসতঘরে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, আবেগের তাড়নায় তিনি এধরনের কাজ করেছেন। কাজটি নাজায়েজ বলেও জানান তিনি।

জীবদ্দশায় কবর তৈরির মাধ্যমে এলাকায় কুসংস্কার ও বিভ্রান্তি যাতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭