ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোমালিয়ানদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি


প্রকাশ: 18/03/2024


Thumbnail

দারিদ্রতায় ঘিরে থাকা সোমালিয়ান জনগোষ্ঠীরাও পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করেন। শেষরাতে সেহেরি খান, আবার সন্ধ্যায় ইফতার করেন। রমজানের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে ঈদ পালন সবকিছুতেই থাকে তাদের উৎসব-উত্তেজনা।

কোথাও হাদিস, কোথাও কোরআন, কোথাও বা মাসআলা-মাসায়েলের পাঠদান চলতে থাকে পুরো রমজান মাস জুড়ে। ইফতার করে কেউ আর বাড়িতে অবস্থান করেন না। নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, যুবক-বৃদ্ধ সবাই তারাবিহর জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। অধিকাংশ মসজিদে খতমে তারাবিহ হয়। এটাই প্রথাগত নিয়ম সোমালিয়ানদের।

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো সোমালিয়ান মুসলিমদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি-

আফ্রিকার এই দারিদ্রপীড়িত দেশে সমাজে সাধারণ শিক্ষার হার কম থাকলেও এখানে কোরআনে হাফেজ আছেন ঘরে ঘরে। ২৭তম রমজানেই তারা কোরআন খতম করেন।

সম্প্রতি সোমালি জলদস্যুদের বাংলাদেশি জাহাজ অপহরণের ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। মূলত দারিদ্রতা কারণেই দেশটিতে জলদস্যুতা বিস্তার লাভ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। আফ্রিকার এই দারিদ্রপীড়িত দেশে কেমন হয় রোজার ইফতার? 

ইফতার ও সেহরি

ইফতারে সাধারণ ভারী খাবারের আয়োজন করে থাকেন সোমালিয়ানরা। তাদের ইফতারে তালিকার শীর্ষে থাকে উটের মাংস। উটের মাংস ও দুধ অত্যন্ত সমৃদ্ধ বলে বিশ্বাস সোমালিয়াবাসীদের। যাযাবর জীবনযাত্রায় 'ওটকা' নামক একটি খাদ্যদ্রব্য তাদের বেশ পছন্দ। এছাড়াও, খেজুর, সমুচা ও শরবতসহ তৈরি বিভিন্ন পদ খেতে পছন্দ করেন। 

এরপর এশা ও তারাবিহর নামাজ আদায় করে রাতের খাবার খান। রাতের খাবারে তারা আনবোলা খেতে পছন্দ করেন। আনবোলা সোমালিয়ানদের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। অনেকটা সময় ব্যয় করেই আনবোলা রান্না করেন তারা। মাখন, চিনি ও চালের সঙ্গে মটরশুঁটি মিশিয়ে ৫ ঘণ্টার মতো রান্না করেন। রান্না হয়ে গেলে আবারও কিছু চালের গুঁড়া, মাখন ও চিনি ছিটিয়ে পরিবেশন করেন। এছাড়াও সোমালিয়ানরা চাল দিয়ে প্রস্তুত করা খামিরে মসলা, মাংস বা মাছ এবং ভেষজ মাখিয়ে নানা পদ বানিয়ে খান।

সোমালিয়াদের আরও একটি প্রিয় খাবার হলো, এলাচি ও দুধে তৈরি জিলাতিয়া হালুয়া। এই হালুয়া দিয়ে রুটি খেতে তারা বেশ পছন্দ করেন। এছাড়াও আরও নানা ধরণের হালুদা তৈরির রীতি রয়েছে তাদের মধ্যে।

এছাড়াও, সোমালিয়ার দক্ষিণের অঞ্চলগুলোর জনপ্রিয় খাবার একসালুছুমালি। বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও তেল দিয়ে এই খাবারটি তৈরি করা হয়।

উচ্ছ্বাসমুখর রমজানের চাঁদ

রমজানের চাঁদ দেখার জন্য উচ্ছ্বাসমুখর পরিবেশে দল বেঁধে সোমালিয়ান বাসীরা খোলা স্থানে অবস্থান করেন। এখানকার প্রচলিত নিয়ম হলো, প্রতিটি এলাকায় চাঁদ দেখতে হবে। অন্য এলাকার চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করলে হবে না। আর মজার ব্যাপার হলো- তারা প্রতিদিন মাগরিবের পর উচ্চ গলায় পরদিন রোজার নিয়ত করেন এবং এটা বেশ উল্লাসের সঙ্গে করেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭