ইনসাইড বাংলাদেশ

চুপসে গেছে হতাশ সুশীলরা


প্রকাশ: 20/03/2024


Thumbnail

বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ যারা মনে করেছিলেন যে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন শেষ পর্যন্ত অগ্রহণযোগ্য হবে আন্তর্জাতিক মহলে এবং এই নির্বাচনের পর আন্তর্জাতিক চাপ বাংলাদেশে তীব্র হবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সরকারকে নতুন করে নির্বাচন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে এবং বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তারা এখন চুপ গেছেন। তাদের মধ্যে হতাশা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন তাদেরকে টকশোতে এবং লেখালেখিতেও কম আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। 

মাত্র ছ’মাস আগেও তাদের নিদ্রাহীন দিনরাত্রি কাটাতে হতো, তারা সকাল সন্ধ্যা নানারকম তথ্য এবং তথ্য কপচাতেন। এই সরকারের কিভাবে পতন হবে, কিভাবে এই নির্বাচন দেশের সর্বনাশ ডেকে আনবে সে সম্পর্কে তারা জ্যোতিষীর মতো ভবিষ্যৎবাণী করতেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যিনি সরব ছিলেন, তাদের মধ্যে বদিউল আলম মজুমদার, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান অন্যতম ছিলেন। তাদের সকাল থেকে রাত অবধি বিরামহীন কথাবার্তা সকলের মধ্যে একধরনের বিরক্তি উৎপাদন করেছিলেন। 

শুধু এরা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও বাংলাদেশ সরকারের পতন দেখছিলেন এবং এই নির্বাচনের পর কি কি ঘটতে পারে তা নিয়ে সতর্কবাতা ঘোষণা করেছিলেন। আর এই সমস্ত সুশীল বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে হতাশা নিয়ে এখন কোন লুকোচুরি নেই। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন সবকিছু ঠিকঠাক মতো মেনে নিল এবং কেন বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল না, বাংলাদেশ কেন বিপদে পড়ল না এ নিয়ে এই রীতিমতো ক্ষুব্ধ ও হতাশ। 

কোনো কোনো সুশীল একান্ত আলাপ আলোচনায় এটা বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কথা রাখেনি। এখন তাদের দূতাবাস পাড়ায় দৌড়ঝাঁপও কমে গেছে। নির্বাচনের পর পরও এই সমস্ত সুশীলরা সোচ্চার ছিলেন। তারা মনে করেছিলেন তাদের লেখালেখি এবং কথাবার্তাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করবেন না, নতুন নির্বাচন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করবে। এ জন্য বদিউল আলম মজুমদার নির্বাচনের পর থেকে অব্যাহত গতিতে লেখালেখি করেছিলেন। টিআইবির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তথাকথিত গবেষণার নামে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে আজগুবি এবং উদ্ভট কিছু তথ্যউপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছিল। যে তথ্য উপাত্তগুলোর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সংস্থার প্রতিবেদনের সম্পূর্ণ বৈপরীত্য লক্ষ্য করা গেছে। এনডিআই এবং আইআরআই তাদের প্রতিবেদনে বলেছে যে, বাংলাদেশে সহিংসতা অন্য নির্বাচনগুলোর চেয়ে কম হয়েছে। অথচ টিআইবি তার রিপোর্টে সম্পূর্ণ বিপরীত মতামত প্রকাশ করেছে।

একই ভাবে আলী রিয়াজ নির্বাচনের আগে রীতিমতো একজন জোতিষ্যীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তার তল্পিবাহক এজেন্ড একান্ত অনুগত জিল্লুর রহমান বিভিন্ন টকশোতে এমন ভাবে বয়ান দিতে যাতে মনে হতো যে, সরকার এখন পতনের মুখে আছেন। সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা নির্বাচনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবে এখন হতবাক। তবে চুপসে যাওয়া হতাশ সুশীলরা এখনই রণভঙ্গে দেবেন এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। তারা হয়তো নতুন কৌশল খুঁজছে। সে নিয়ে তাদের নীল নকশার পরিকল্পনা এখন নিশ্চিয় টেবিলে রয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭