ইনসাইড বাংলাদেশ

পানি শান্তি কিংবা সংঘাত উভয়ই ঘটাতে পারে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ: 22/03/2024


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানি শান্তি কিংবা সংঘাত উভয়ই ঘটাতে পারে। পানির অসম বণ্টন বা দুষ্প্রাপ্যতা উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করে। সুষম পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে পানির সর্বজনীন ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা।

শুক্রবার (২২ মার্চ) ‘বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পানি দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘ওয়াটার ফর পিস’।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ এবং পানিসম্পদের ওপর এর প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতামূলক মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। আবহমানকাল হতে পানি আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। তাই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পানিসম্পদকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানির পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাই আমাদের জলবায়ু ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করাসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সহিষ্ণু বদ্বীপ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন করেছে। অভিযোজনভিত্তিক কারিগরি এবং অর্থনৈতিক এ মহাপরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করে পানিসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা, ভূমি ব্যবহার এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ উন্নয়নের অঞ্চলভিত্তিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পানি ব্যবহার শৃঙ্খলা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পানি আইন, জাতীয় পানি নীতি ও পানি বিধিমালা প্রণীত হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নদী ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও নিষ্কাশন, নদীতীর ভাঙন প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যার পূর্বাভাস সংবলিত প্লাবন মানচিত্র ও আগাম সতর্কবার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

বাণীতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ‘বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭