ইনসাইড পলিটিক্স

ইন্ডিয়া আউট: আইএসআই এর পরিকল্পনায় তারেকের সায়


প্রকাশ: 24/03/2024


Thumbnail

ইন্ডিয়া আউট পরিকল্পনাটি মূলত আইএসআই এর পরিকল্পনা। চীন এবং পাকিস্তানের যৌথ প্রযোজনায় ইন্ডিয়া আউট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছিল মালদ্বীপে। একাধিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মালদ্বীপে চীনাদের উত্থানের পেছনে আইএসআই এর একটি ভূমিকা ছিলো এবং আইএসআই সেখানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে যেন ভারত বিরোধীতা মালদ্বীপের জনগণের মধ্যে উস্কে দেওয়া সম্ভব হয়। আর সেখান থেকেই ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি। আর বাংলাদেশে সম্প্রতি সময় বিএনপি ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচির আদলে ভারত বিরোধী কর্মসূচি শুরু করেছে। যে কর্মসূচিতে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর ভারত বিরোধী এই কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

মূলত তারেক জিয়ায় বিএনপির নেতাদেরকে ভারত বিরোধী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য উস্কে দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। শুধু তাই নয়, তারেক জিয়া ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে বলেছেন যে, আবার ভারত বিরোধী রাজনীতিতে ফিরে যেতে হবে। ঐ রাজনীতিতে না ফিরে যাওয়া পর্যন্ত এবং ভারতকে চাপ না দেওয়া পর্যন্ত কোন ভাবেই আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করা যাবে না। এরকম একটা পরিকল্পনা থেকেই তারেক জিয়া বিএনপির বিভিন্ন নেতাকে ভারতীয় পণ্য বর্জন ডাক দেওয়া এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেখান থেকেই বাংলাদেশেও মালদ্বীপের কায়দায় ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচির একটি মহড়া দেখা যাচ্ছে। 

তবে তারেক জিয়া নির্দেশ দিলেও বাংলাদেশে ইন্ডিয়া আউট বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আসল কারিগর হলো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিজেদের দেশটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এবং নিজেদের দেশের ক্ষত-বিক্ষত অবস্থার কারণে তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে মনোযোগ হারিয়েছিলো। তবে সম্প্রতি সময়ে চীন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যাপকভাবে সহায়তা দিচ্ছে। চীনের এই উপমহাদেশে বেশ কিছু স্বার্থ রয়েছে এবং এ স্বার্থগুলোকে সমুন্নত রাখার জন্যই তারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে এবং তাদের মাধ্যমে যেন এই অঞ্চলে ভারত বিরোধীতা জাগরিত হয় সে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। 

সম্প্রতি একাধিক আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মালদ্বীপে যে ভারত বিরোধীতা জিকিয়ে তোলা হয়েছে সেটির পৃষ্ঠপোষকাতায় চীন থাকলেও এর নেপথ্যে ছিল আইএসআই। আইএসআই সেখানে দীর্ঘদিন নেপথ্যে কাজ করেছে চীনের হয়ে এবং আইএসআই মোটা অংকের টাকাও পেয়েছে। 

বাংলাদেশেও এখন আইএসআই সেই একই মডেল অনুসরন করতে চায়। ভারত বিরোধীতা উস্কে দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে বিক্ষুব্ধ করতে চায় ভারতের বিরুদ্ধে। এজন্য ছোট-খাটো ঘটনাগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে একধরনের ভারত বিরোধী মনোভাবের সৃষ্টি করাই আইএসআই এর লক্ষ্য। 

তারেক জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আইএসআই এর প্যারলে। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগেও তারেক আইএসআই এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলো এবং ২০০১ সালে নির্বাচনে জয় লাভের পর আইএসআই এর স্বার্থ রক্ষার জন্যই বাংলাদেশকে অস্ত্র চোরাচালান এর রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হয় এবং বাংলাদেশের মাটি বিচ্ছিন্নতা বাদীদের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনায় সেটিই প্রমাণিত হয়। এরপর থেকেই ভারত বিএনপি এবং তারেক জিয়ার ব্যাপারে একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করে।
 
এখান থেকেই বুঝা যায় তারেক জিয়ার সাথে আইএসআই এর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং লন্ডনে তারেক জিয়ার সঙ্গে আইএসআই এর নিয়মিত যোগাযোগের খবরও জানা যায়। এ অবস্থায় ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাংলাদেশে করার ক্ষেত্রে আইএসআই এর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে বলে অনেকেই মনে করেন।  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭