ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় দলীয় পরিচয় ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে আওয়ামী লীগ?


প্রকাশ: 24/03/2024


Thumbnail

উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছে না আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তারা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না—এরকম একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। দলের কোন্দল কমাতে এবং বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, দাঙ্গা-হাঙ্গামার দায়-দায়িত্ব যেন আওয়ামী লীগের ওপর না বর্তায় সেটি এড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

দলীয় পরিচয় ব্যবহার করা যাবে না—এর অর্থ হলো যিনি আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক বা সহ-সভাপতি তিনি যদি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তবে তিনি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু দলীয় পরিচয় ব্যবহার করা নয়, এক্ষেত্রে আরও কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও থাকছে।

এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় ৮-১০ জন প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেন—এমন শঙ্কার কথাও জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের টিকিটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, যারা মনোনয়ন পাননি এবং যারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছেন তারা প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিতে চাইছে। এছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ বা অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। 

প্রথম দফায় যে ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বাম্পার ফলন হয়েছে। একেকটি উপজেলায় ৭-৮ জন বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু তারা যদি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করেন, ধরা যাক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বা জেলা যুবলীগের সভাপতি যদি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করেন তবে সেখানে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে যাবে। কাজেই আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, উপজেলা নির্বাচনে যিনি অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি দলীয় পদ-পদবী বা পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। কোন পোষ্টারে কেউ যদি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করেন তবে তার বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যে, কোন প্রচার প্রচারণাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা আওয়ামী লীগের অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ছবি ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনের প্রচারণায় কেউ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বা আওয়ামী লীগ সমর্থিত বা আওয়ামী লীগের কর্মী ইত্যাদি পরিচয় ব্যবহার করে কোন ধরনের নির্বাচনী প্রচার করবে না। যদি কেউ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ গঠন করা হবে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রার্থী আওয়ামী লীগের কথা, আওয়ামী লীগে তার অবদান বা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না। 

আওয়ামী লীগ মনে করছে, যদি দলীয় পরিচয় এবং দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা না যায় তাহলে এ নির্বাচনটি উন্মুক্ত হবে এবং সে নির্বাচনের কোন দায়-দায়িত্ব আওয়ামী লীগের ঘাড়ে আসবে না। তবে আওয়ামী লীগ বার বার করে সতর্ক করে দিচ্ছে যে, মাঠ পর্যায়ে যারা উপজেলা নির্বাচন করবেন তারা কোন অবস্থাতেই যেন সহিংসতার আশ্রয় না নেন। সহিংসতা যদি কেউ করে, এজন্য যে দায়ী থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংগঠনিক সম্পাদকদের ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।    



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭