ইনসাইড থট

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বিএমআরসিকে পাদপ্রদীপে এনেছেন শেখ হাসিনা


প্রকাশ: 24/03/2024


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘স্বাধীনতা সুফল পেতে চাই চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা জাতির পিতার হাতে সূচনা, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দিলেন দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী যে আলোচনা করেছেন তার চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধু জানতেন, স্বাধীনতার সুফল সব মানুষকে পৌঁছে দেয়ার জন্য উন্নত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের বিকল্প নেই। সব মানুষের জন্য উন্নত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রয়োজন গবেষণা। আমরা যদি জাতির পিতার সাড়ে তিন বছরের শাসনামল বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব বঙ্গবন্ধু সব ধরনের গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। গবেষণার জন্য স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। আবার গবেষণার মধ্যে বঙ্গবন্ধু চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। এজন্য দায়িত্ব গ্রহণের অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি বিএমআরসি গঠন করেন। বিএমআরসিকে তিনি চিকিৎসা গবেষণার 'পথ প্রদর্শক' তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে স্বপ্ন হোচট খায় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন গুলো ধ্বংস হয়েছিল, বিবর্ণ হয়েছিল। বাংলাদেশ তার উল্টো পথে হাটতে শুরু করে। ফলে সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। সব থেকে বেশি পিছিয়ে পরে চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায়। 

স্বাধীনতার সুফল মানে রাষ্ট্রের নাগরিকদের সুখ, নিরাপত্তা, উদ্বেগহীনতা এবং উৎকণ্ঠামুক্ত জীবন। কিন্তু পঁচাত্তরের পর ধনিক গোষ্ঠীর লুটপাট এবং ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি সাধারণ নাগরিকদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করে। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর দেশ পরিচালার দায়িত্ব পান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় একটিই দর্শন অনুসরণ করে চলেছেন, তা হলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ। বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতির পিতা যে রূপকল্প তৈরি করেছিলেন, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে অবিচল থেকেছেন। বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকে এই অহংকারের জায়গায় এনেছেন। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বিএমআরসিকে পাদপ্রদীপে এনেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণাসহ সব ধরনের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশকে। তার দিক নির্দেশনাতেই বিএমআরসি আজ আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উদ্ভাসিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য যে পথ যাত্রা করেছিলেন, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাকে কাঙ্খিত বন্দরে নোঙ্গর করিয়েছেন। মাঝখানে একুশ বছর যদি অপশাসনের যাতাকলে বাংলাদেশ পিষ্ট না হতো, তাহলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নত আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক এক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো। তাই মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক, স্বাধীনতার সুফল সব মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়া, আর এজন্য প্রয়োজন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং নির্দেশনা।  


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭