ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় চমক দেখাবে বিএনপি-জামায়াত


প্রকাশ: 25/03/2024


Thumbnail

মুখে যায় বলুক না কেন, বিএনপির অধিকাংশ স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। প্রথম দফা যে ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে প্রায় সবগুলোতেই বিএনপির প্রর্থীরা ইতোমধ্যে প্রচারণা এবং প্রাক-প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দলগত ভাবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। যেহেতু দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হচ্ছে না, কাজেই এ বিষয়টি বিএনপি উপেক্ষা করবে বলে জানা গেছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ বিষয়টিকে বিএনপি এড়িয়ে যাওয়ার নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করছে, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি একটি সুনির্দিষ্ট একটি কৌশল গ্রহণ করেছে। এ কৌশলগুলো হলো;

প্রথমত, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় পরিচয় ব্যবহার না করে যারা ইচ্ছুক তারা নির্বাচন করবে। তবে কোন স্থানেই একজনের বেশি বিএনপির প্রার্থী যেন না দাঁড়ায় সে ব্যাপারে একধরনের তদারকি থাকবে। 

দ্বিতীয়ত, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনের ব্যাপারে একটি সমঝোতা করবে। যে সমস্ত স্থানে জামায়াত নির্বাচন করবে সেখানে বিএনপির প্রার্থীরা প্রার্থী হবেন না। 

তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তারা দলীয় পদ-পরিচয় ইত্যাদি ব্যবহার করবে না। 

চতুর্থত, প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তিকে একাট্টা করা হবে। 

সর্বশেষ, আওয়ামী লীগকে হারানোই হবে তাদের প্রধান লক্ষ্য। 

বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, বিএনপি এবং জামায়াত উপজেলা নির্বাচনে একটি সমঝোতা করছে এবং এ সমঝোতার অংশ হিসেবে যেখানে যেখানে জামায়াত শক্তিশালী সে উপজেলা গুলোতে বিএনপির কোন প্রার্থী দাঁড়াবেন না। আর যেখানে বিএনপি প্রার্থী দাড়াবে সেখানে জামায়াত বিএনপিকে সমর্থন দিবে। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিভক্ত আর বিএনপি জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করছে। ফলে উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের চমক দেখাতে চায় বলে জানা গেছে। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণ না করার জন্য সমালোচিত হচ্ছে। বিএনপিকে কূটনীতিকরাও বলেছেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়, কি হয় না সেটি দেখার জন্য হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত ছিলো এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বুঝা যেত বাস্তব অবস্থা কি? কিন্তু বিএনপি ঐ নির্বাচন বর্জন করেছে। কাজেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না করার দায় সরকারের ওপর বর্তানো যাবে না। এজন্যই সরকার যে অবাধ, সুষ্টু নির্বাচন করতে চায় না তা প্রমাণের জন্য বিএনপি উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে। এই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তারা আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করতে চায়। বিভক্ত আওয়ামী লীগের ওপর ছুরি ঘুরিয়ে তারা অধিকাংশ উপজেলায় বিজয়ী হতে চায়। আর যদি আওয়ামী লীগ কারচুপি করে তাহলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রমাণিত হবে যে উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি করা হচ্ছে। আর এর ফলে আওয়ামী লীগের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হবে এবং আওয়ামী লীগ যে জনপ্রিয় নয় তা বিশ্বে আরেকবার প্রমাণিত হবে। একারণেই উপজেলা নির্বাচনে একটি ভিন্ন কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭