ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ মুহূর্তের গোলে হারল বাংলাদেশ


প্রকাশ: 26/03/2024


Thumbnail

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের দ্বিতীয় লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে পুরো ম্যাচ শক্তিশালী ফিলিস্তিনকে আটকে রেখেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। তবে শেষ মুহূর্তে নিজেদের রক্ষণভাগের ভুলে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। এতে ১-০ গোলে হার দেখতে হলো হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের।

মঙ্গলবার ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে নামে ফিলিস্তিন। ম্যাচটির অতিরিক্ত সময়ে (৯০+৪) একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন সফরকারীদের মিশেল তেরমানিনি। এই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের দুইয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখলো ফিলিস্তিন।

এর আগে বাছাইপর্বের প্রথম লেগে কুয়েতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচেও ১টি গোল হজম করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-০ গোলে এগিয়ে থেকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট আদায় করে নিলো মুসাব আল-বাত্তাতের দল।

ম্যাচের ১২তম মিনিটেই মোহাম্মদ রশিদের ফ্রী কিকে গোলরক্ষক মিতুলের সামনে বল ড্রপ করে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক গ্রীপ করতে না পারলেও অবশ্য বড় সমস্যা হয়নি।

এরপর ২১তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে হঠাৎ আক্রমণে ওঠে স্বাগতিকরা। তপু বর্মণের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ। তবে বামপ্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকা সতীর্থের কাছে ঠিকঠাক ক্রস দিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। 

এর মিনিট আটেক পর ফের ভালো একটি আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের কর্ণার কিক থেকে পাল্টা আক্রমণে ওঠে জামালরা। এবার রাকিব হোসেন একাই বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। তবে ব্যাক পাস পেয়ে জনি আটকে পড়েন জটলার মধ্যে। শট নেওয়ার আগেই কিংসের এই খেলোয়াড়ের থেকে বল কেড়ে নেয় ফিলিস্তিন।

৩১তম মিনিটে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। জামালের ফ্রি কিক বক্সের ডানপাস ঘেষে বেড়িয়ে যায়। তিন মিনিট পর বক্সের সামনে থেকে অন টার্গেটে শট নেন ফিলিস্তিনের ওদে দাব্বাঘ। তবে তার নেওয়া কোনাকুনি শটটি ধরে সহজেই ফেলেন মিতুল।

ম্যাচের ৩৯ মিনিটে বক্সের কয়েক গজ বাইরে মুসাব ভাট ফ্রি কিক নিতে আসেন। বক্সে দাঁড়িয়ে হেড নেন শিহাব কুম্বোর। তবে দুর্দান্ত মিতুলকে পরাস্ত করা যায়নি। এর দুই মিনিট পরেই প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। তবে সেই সুযোগ ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি ক্যাবরেরার শিষ্যরা।

৪৩তম মিনিটে রাকিবের হেড করা বলটি বুক দিয়ে ঠেকিয়ে পায়ে নেন জামাল। ডানপ্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যান প্রতিপক্ষের বিপদসীমায়। মাঝ মাঠ দিয়ে তাকে অনুসরণ করে বক্সে ঢুকে পড়েন ফাহিম। প্রতিপক্ষের দুজন খেলোয়াড়ের বাধা টপকে জামাল বল ক্রস দেন ফয়সালকে। কিন্তু সামনে থাকা গোলরক্ষককে বোকা বানাতে পারেননি তিনি।

ওয়ান বাই ওয়ান দুর্দান্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফাহিম। খেলার প্রথমার্ধে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ, যেটি মিস করে বাংলাদেশ। এরপর কোনো গোল না হওয়ায় গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতিতে থেকে ফিরেই ফিলিস্তিনের ডেরায় একের পর এক আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। দারুণ কয়েকটি সুযোগ তৈরিও করে স্বাগতিকরা। কিন্তু নিখুত ফিনিশিংয়ের অভাবে কাঙ্ক্ষিত গোলটি আসছিল না। 

ম্যাচের ৪৮তম ম্যাচে দুর্দান্ত সুযোগ পান ফিলিস্তিনের ওদে দাব্বাঘ। মিতুল মারমা ও দুই ডিফেন্সকে কাটিয়েও শেষ পর্যন্ত বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ৫৭তম মিনিটে দলকে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন মিতুল। দাব্বাঘের নেয়া হেডের বলটি দুর্দান্তাভাবে আটতে দেন তিনি। 

দ্বিতীয়ার্ধে যেন বাংলাদেশের জন্য রক্ষাকর্তাই হয়ে উঠেন মিতুল। ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে আলদিনের নেয়া দূরপাল্লার শটটিও ফিরিয়ে দেন স্বাগতিকদের গোলরক্ষক।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফিলিস্তিনের অমিদ মাহজনাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তিনি মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ফিলিস্তিন। 

এর দুই মিনিট পরেই বাট্রানের ডিফেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়া হেডের বল পায়ে নিয়ে বাংলাদেশের জালে পাঠিয়ে দেন মিশেল তেরমানিনি। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭