ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির চোখে যারা সন্দেহভাজন


প্রকাশ: 27/03/2024


Thumbnail

বিএনপি এখন দলে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছে এমন অনেক নেতাকেই বিশ্বাস করে না। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কাছে এ রকম তথ্য উপাত্ত আছে যে, তারা আসলে সরকারের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করেছে এবং বিএনপির সঙ্গে থেকে আন্দোলনকে দুর্বল করেছে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই সমস্ত নেতাদের কেউ কেউ বিএনপির দলের আবার কেউ কেউ দলের বাইরে। 

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিএনপির চোখে যারা সন্দেহভাজন এরকম কয়েকজন নেতার নাম উচ্চারণ করেছেন। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। গোপন কোন কথা তাদের সাথে আছে আদান প্রদান না করার জন্য এবং দলের পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। গতকালের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সমস্ত নেতাদের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। 

বিএনপির চোখে যারা সন্দেহভাজন নেতা তাদের মধ্যে রয়েছেন;

মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনকে বিএনপি সন্দেহজনক নেতা হিসেবে মনে করে। তার গতিবিধি, আচার-আচরণ এবং কথাবার্তা সবকিছুই সন্দেহজনক। তিনি বারবার মত পাল্টাচ্ছেন এবং একেক বার একেক রকম কথা বলছেন। তার সম্বন্ধে ধারণা হল যে, সরকারের কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই হয়তো মেজর হাফিজকে আবার মাঠে নামানো হয়েছে এবং সেই কারণে তিনি এখন বড় বড় বক্তৃতা দিচ্ছেন, লম্বা লম্বা কথা বলছেন। 

কর্নেল অলি আহমেদ: কর্নেল অলি আহমেদ বিএনপির তালিকায় আরেকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। এলডিপির এই নেতা মাঝেমাঝেই বিএনপির ব্যাপারে জ্ঞান দেন এবং বিএনপিকে বিভিন্ন রকম উপদেশ এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কর্নেল অলি আহমেদের সঙ্গেও গোপনে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ আছে এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সরকার বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন বলে তারেক জিয়া দলের নেতাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন। 

মাহমুদুর রহমান মান্না: একদা মাহমুদুর রহমান মান্না তারেক জিয়ার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে তিনি বিএনপিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বিএনপির সন্দেহভাজনদের তালিকার মধ্যে পড়েছেন। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন যে, মান্না এখন বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে মিশলেও গোপনে গোপনে সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে এবং সরকারের অনেক গোপন এজেন্ডা মাহমুদুর রহমান বাস্তবায়ন করছেন বলেও তাদের কাছে তথ্য আছে। মাহমুদুর রহমান মান্নার কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে বিএনপির মধ্যেই এখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।

রেজা কিবরিয়া: একদা বিএনপির ঘনিষ্ঠ নেতা রেজা কিবরিয়াকেও এখন বিএনপি সন্দেহের চোখে দেখছে। তবে রেজা কিবরিয়াকে আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে নয়, বরং অযোগ্য এবং রাজনীতিতে অপরিপক্ক একজন ব্যক্তি হিসেবে মনে করে বিএনপি। এ ধরনের বাচাল এবং অতি কথকদের এখন বিএনপি আর আশেপাশে ভেড়ানোর প্রয়োজন নেই বলে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন। 

আ স ম আব্দুর রব: বিএনপির এক সময় জোটের ঘনিষ্ঠ আ স ম আব্দুর রবকেও এখন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সন্দেহের চোখে দেখছেন। আ স ম আব্দুর রবরাও সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে তাদের কাছে খবর আছে। আর এ সমস্ত সন্দেহভাজন লোকদেরকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭