ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্যারিয়ার শুরু ক্রিকেটার হিসেবে, এখন তিনি এলিট প্যানেলে


প্রকাশ: 30/03/2024


Thumbnail

শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত, বাইশগজে ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্রিকেটার হিসেবে। তবে সেই ক্যারিয়ার খুব একটা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ইনজুরিতে পড়ে শেষ হয় আইসিসি ট্রফি খেলা এই স্পিনারের ক্যারিয়ার। এরপরই শুরু করেন আম্পায়ারিং। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে বেশ কয়েকবার ইতিহাস গড়েছেন সৈকত। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম কোন বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন সৈকত। সেই সাথে আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুকদের দিয়েছেন পরামর্শও। এমনকি ক্রিকেট ছেড়ে আম্পায়ারের পেশা বেছে নেওয়ার স্মৃতিচারণও করেছেন সৈকত।

বাবার চাকরিসূত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়েন তিনি। সেখানকার ছাত্র থাকাবস্থায় সৈকত সূর্যতরুণের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেন। ১৯৯২ সালে সুযোগ হয় সাফ গেমসের বাংলাদেশ দলে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কও হন সৈকত। পরে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ আইসিসি ট্রফিতে জায়গা হয় তার।
 
সেখানে দ্বিতীয় রাউন্ডের তিন ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করেন। তবে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনো ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করার আগেই ব্যাকপেইন ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন তিনি।

তাই পরবর্তীতে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেও বাইশগজের মায়া ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হওয়ার অন্য উপায় হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন আম্পায়ারিংকে। ১৪ বছর পর এলিট প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন সৈকত। আর এটাকে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পুরস্কার বলে মনে করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, 'প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে গিয়েও নার্ভাস ছিলাম না। আমার মনে হয় সেটিরই পুরস্কার আজকের এই অর্জন।’

প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার স্মৃতি নিয়ে সৈকত বলেন, ‘আমার খুব পছন্দের আম্পায়ার ছিল সাইমন টোফেল। তখন আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার হন তিনি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে (বাংলাদেশের) ম্যাচটা ছিল ২০১০ সালে, সম্ভবত ৮ জানুয়ারি। মিরপুরে আমার অভিষেক হয় (আম্পায়ারিংয়ে) শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ-ভারত ত্রিদেশীয় সিরিজে। প্রথম দুইটা ম্যাচেই আমি সাইমন টোফেলের সঙ্গে আম্পায়ারিং করি।’

তিনি আরও বলেন, সেদিন উত্তেজনা কাজ করছিল প্রচুর। আমি যখন প্রথম আম্পায়ারিংয়ে দাঁড়ালাম, তখন দেখলাম বোলার অনেক জোরে বল করছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো আমি এত জোরে বল ফেস করে অভ্যস্ত না। তাই মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়েছিল।’

সৈকতের মতে, বিদেশের চেয়ে দেশের মাটিতে আম্পায়ারিং করা কঠিন। তিনি বলেন, ‘বিদেশে ম্যাচ পরিচালনার চেয়ে দেশে করা অনেক কঠিন। সহজ মনে হলেও এটি কঠিন কাজ, এখানেও উত্থান-পতন আছে।’

সৈকতের এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া বাংলাদেশি আম্পায়ারিং ইতিহাসে একাধিক কীর্তি গড়া সৈকতের মেয়েদের ক্রিকেটেও ১৩টি ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭