ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাইজেরিয়ানদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি


প্রকাশ: 30/03/2024


Thumbnail

রজবের চাঁদ দেখার পর থেকেই শুরু হয় রমজানের প্রস্তুতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পাশাপাশি ইবাদতের জন্যও চলে নানা ধরণের প্রস্তুতি। রমজানে যেন অপার্থিব প্রশান্তি বিরাজ করে সর্বত্র। 

এরপর, রমজানের চাঁদ ওঠলে শুরু হয় আনন্দ মাহফিল। পুণ্য ও বরকতের মাস রমজানকে স্বাগত জানিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বের হয় আনন্দ মিছিল। মাহফিল ও মিছিলে বিশেষ ধর্মীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এভাবেই অত্যন্ত উষ্ণ আন্তরিকতায় রমজানকে বরণ করেন নাইজেরিয়ানরা।  

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো নাইজেরিয়ানদের মুসলিমদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি- 

মহিমান্বিত মাস রমজানকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী রয়েছে নানা অনুষ্ঠান আর রীতি-রেওয়াজ। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় বাহারি ইফতার, ইফতারের পর তারাবিহের নামাজ পড়া ইত্যাদি ছাড়াও আনন্দ-উৎসব করার মাধ্যমেও সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় রমজানের খুশির আমেজ। পশ্চিম আফ্রিকান দেশ নাইজেরিয়া। দেশটির মুসলমানদের মধ্যে প্রবল ইসলামি মূল্যবোধ লক্ষ্য করা যায়। রমজান মাসে তাদের জীবনযাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায়।

তারাবিহ আদায় করতে নাইজেরিয়ান পুরুষরা মসজিদে যায়। দেশটিতে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তারাবিহ আদায় করা হয়। বেশির ভাগ মসজিদে আসরের পর নসিহত, কোরআন তেলাওয়াত ও কোরআনের তাফসির হয়। কোথাও কোথাও এসব মজলিস হয় এশার নামাজের পর। শিশুরা ঘরে আলাদা জামাত করে। তারাবিহ শেষ করে তারা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এটি নাইজেরিয়ান সমাজের সৌন্দর্য।

আবার কোনো কোনো পুরুষ তাদের সঙ্গে স্ত্রীকে মসজিদে নিয়ে যান। রমজানের শেষাংশে জাকাত ও ফিতরা আদায় করেন।

এছাড়াও, প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে কোনো বাড়ির আঙিনায় ইফতার করা নাইজেরিয়ান মুসলিমদের প্রথাগত ঐতিহ্য। ইফতারের সামান্য আগে নাইজেরিয়ান পরিবারগুলো পরস্পরের মধ্যে ইফতার বিনিময় করে। 

ইফতার আয়োজনে তারা 'হুম' ও 'কোকো' নামক পানীয় পছন্দ করে, যা গম ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। সামান্য ইফতার গ্রহণ করে তারা মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যায়।

নাইজেরিয়ানরা ইফতারে শর্করা জাতীয় খাবার ও ফলমূলকে প্রাধান্য দেয়। যেমন- জল্লফ রাইস, এটি নাইজেরিয়ানদের অন্যতম প্রধান খাবার। চাল, পিঁয়াজ, টমেটো, মরিচ ইত্যাদির সমন্বয়ে এটি তৈরি করা হয়। এটি তারা সবজি বা মাংসের সাথে খান।

পাশাপাশি মই মই (পুডিং), ইয়াম (এক ধরনের আলু), আকারা (বিন কেক), মাসা (রাইস কেক), ইলুবো ও আমালা'র (ইয়াম দিয়ে তৈরি এক বিশেষ খাবার) মতো আরও নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারও তাদের ইফতার তালিকায় থাকে। আর খাবার শেষে তারা চা পান না করলে তাদের চলেই না। 

নাইজেরিয়ার মুসলমানরা প্রকৃতপক্ষে নামাজ-রোজা ছাড়েন না। বছরের অন্য সময়ের মতোই তারা নির্বিঘ্ন ইবাদতে রমজান কাটিয়ে দেন। সেহরি ও ইফতারে কোনো বিশেষ আয়োজন থাকে না তাদের। একটি সিদ্ধ ভুট্টা ও এক গ্লাস পানি দিয়েই সেহরি পর্ব সারেন অধিকাংশ নাইজেরিয়ান। নাইজেরিয়ার তরুণরা কঠিন অসুখ নিয়েও রোজা ছাড়তে রাজি নন। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭